পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল
Published: 20th, November 2025 GMT
স্বৈরশাসকেরা প্রায়ই মনে করেছেন, ক্ষমতা হারানোর পর অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়া মানেই নিরাপত্তা। নির্বাসন, পালিয়ে যাওয়া বা রাজনৈতিক আশ্রয়—তাঁদের জন্য একধরনের নিরাপদ স্বর্গ মনে হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বারবারই দেখিয়েছে, এই শাসকেরা কখনো পুরোপুরি দায়বোধ থেকে মুক্ত হতে পারেননি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, স্থানীয় আদালত ও জাতিসংঘ-সমর্থিত ট্রাইব্যুনালগুলোর চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত তাঁদের আশ্রয়দাতারাও নতি স্বীকার করেছেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এমন স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, প্রত্যর্পণ ও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:
হিসেনে হ্যাব্রে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি যুবরাজের সমালোচক জামাল খাশোগি যেভাবে মারা হয়েছিলো
জামাল খাশোগি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সৌদি সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং লেখক। একসময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। পরে রাজপরিবারের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পান। সৌদি রাজপরিবারের বৃত্তি নিয়ে জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি আল-আরাব নিউজ চ্যানেল-এর মহাব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। কিন্তু খাশোগির লেখায় ক্রমাগত স্থান পাচ্ছিলো সৌদি রাজতন্ত্রের নানা নেতিবাচক দিক। বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের।
২০১৭ সালের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর কড়া সমালোচক হিসেবে খাশোগি তার রোষানলে পড়েন। অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যান তুরস্কে।
আরো পড়ুন:
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প
সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে রাজি ট্রাম্প
২০১৮ সালে সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যদের দল উড়ে গিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে গত ২ অক্টোবর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। সে সময় আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে স্থান পায় খাশোগির মৃত্যুর খবর। সমালোচনায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব।
তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে স্পষ্ট হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক মূলত সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
খাশোগিকে হত্যার পর আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। কিন্তু সমালোচনা আরও বাড়তে থাকে। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কনস্যুলেট ভবনে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তবে এ হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতা জোরের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।
ঢাকা/লিপি