রাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর
Published: 26th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাবির সুইমিংপুলে সাঁতারে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু, অনশন অব্যাহত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৬ জানুয়ারি ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের ও ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুই শিফটে সকাল ১১টা থেকে ১২টা ও বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
‘এ’ (মানবিক) ইউনিটে আছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটে আছে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট। ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে আছে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, ফিশারীজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ।
২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী তিন ইউনিটেই আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী যে ইউনিটেই আবেদন করুক না কেনো, সে যে শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, সেই শাখার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় এইচএসসি ভোকেশনাল এবং ‘এ’ লেভেল সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তির জন্য মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ ৫.০০ স্কেলে নির্ধারিত হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত দুইটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় লেভেলে মোট সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ ও তিনটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে।
ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনকালে অবশ্যই ইংরেজি প্রশ্নপত্রের জন্য অতিরিক্ত ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া ইউনিট/বিভাগ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক আরোপিত শর্তও প্রযোজ্য হবে। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদনকারী সব শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ইউনিটের ফি ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ১ ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। অনলাইনে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী কোটায় (মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, খেলোয়াড় ও বিকেএসপি) ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় প ইউন ট র র জন য ম নব ক সমম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।