আলো যত উজ্জ্বল, ছায়া তত গভীর।কার্ল ইয়ুং (১৮৭৫-১৯৬১), সুইস মনোবিজ্ঞানী ও মনোচিকিৎসক১. মনের ভেতরের ছায়া

প্রত্যেক মানুষের মধ্যে এমন একটি অংশ আছে, যেখানে লুকিয়ে থাকে রাগ, ভয়, লজ্জা, হিংসা আর অনিরাপত্তা। কেউ কেউ এই অংশকে বোঝেন, মেনে নেন। আবার কেউ ভেতরেই চেপে রাখেন। আর সেই দমন করা আবেগ একসময় ফেটে পড়ে অন্যের প্রতি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে।

কার্ল ইয়ুং এ প্রক্রিয়াকে বলেছিলেন ‘প্রজেকশন’। বাংলায় বললে অভিক্ষেপ। মানে নিজের ভেতরের কষ্ট বা দুর্বলতাকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেন অনেকেই। যেমন কেউ নিজের অযোগ্যতা মেনে নিতে না পেরে আরেকজনকে দুর্বল হিসেবে চালিয়ে দেন। এভাবে তিনি নিজের কষ্ট থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু এতে বাস্তব চিত্রটা অকৃত্রিম থাকে না, সম্পর্ক ভাঙে আর অকারণ সংঘাত তৈরি হয়।

এই ধারণা বুঝতে পারলে উপলব্ধি করতে পারবেন, যিনি আঘাতটা করলেন, তিনি আদতে তাঁর সমস্যারই বহিঃপ্রকাশ করলেন। তখন আমরা প্রতিশোধ নয়, সহমর্মিতা বেছে নিতে পারি।

দমন করা আবেগ একসময় ফেটে পড়ে অন্যের প্রতি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোমবার থেকে কুয়াকাটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অশোভন  আচরণের কারণে ভ্যাট কর্মকর্তা জামিউল আলমকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে অপসারণ করা না হলে কুয়াকাটার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।  

শনিবার সকাল ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ আগামীকাল রবিবারের মধ্যে ওই কর্মকর্তাকে অপসারণ করা না হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

মোতালেব শরীফ বলেন, ‘‘পটুয়াখালী কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার (ভ্যাট কর্মকর্তা) জামিউল আলম নতুন আসায় গত ৮ অক্টোবর কুয়াকাটার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার মিটিং করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি মিটিং না করেই সৈকত হোটেলে গিয়ে ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে অত্যন্ত অশোভন আচরণ করেন। তিনি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। সৈকত হোটেলের ম্যানেজার ভ্যাট কর্মকর্তাকে আমার সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখন তিনি  ব্যঙ্গ করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাকে সোমবারের মধ্যে অন্য কোথাও বদলি বা অপসারণ করা না হলে কুয়াকাটার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’’

এ বিষয়ে জানতে জামিউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছে। আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি এবং সরি বলেছি।’’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, কুয়াকাটা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মাইনুল ইসলাম মান্নান, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষারসহ খাবার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম প্রমুখ।  

মানববন্ধনে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ১৬টি পেশার সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
 

ঢাকা/ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা মুফতি রেজাউল করীমের
  • সরকারের বিরুদ্ধে তিনটি দলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ ইসলামী আন্দোলনের
  • চুম্বন–বিতর্কে, দুঃখ নিয়ে দেশ ছাড়েন মল্লিকা
  • ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার শ্লীতহানির শিকার, গ্রেপ্ত
  • সোমবার থেকে কুয়াকাটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ