আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থেকে সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে
Published: 4th, November 2025 GMT
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
কোর কমিটির সভায় বলা হয়, সেনাসদস্যদের বিশ্রাম ও নির্বাচনকালীন প্রশিক্ষণের জন্য অর্ধেক সদস্যকে আপাতত সরিয়ে নেওয়া হবে। বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে। তাঁদের বিশ্রাম ও প্রশিক্ষণের পর আবার মাঠে পাঠিয়ে বাকিদের সরিয়ে নেওয়া হবে। বৈঠকে উপস্থিত সরকারের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যের সরিয়ে নেওয়ার আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের তুলে আনার পর মাঠে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক থাকে, সরকার সেটাও দেখতে চায়। দীর্ঘ সময় ধরে সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখার কারণে নানাবিধ জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যদিও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনজাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও মনোনীত প্রার্থীর শোডাউন, প্রশাসনের ১৪৪ ধারা
গাইবান্ধার সাঘাটায় জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাত ও গাইবান্ধা-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলমের কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সম্ভাব্য সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানাজনি হয়। এর আগে, শনিবার সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এ আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। এতে সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকায় রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।
এ সময় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মাইকিং, আগ্নেয়াস্ত্র বা দেশীয় অস্ত্র বহন, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা নিষিদ্ধ থাকবে। তবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গাইবান্ধা-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলমের কর্মী-সমর্থক এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদের কর্মী-সমর্থকরা একই দিনে শোডাউনের ঘোষণা দিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাতকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে গত ৩ নভেম্বর গাইবান্ধা-৫ আসনে ফারুক আলম সরকারকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।
ঢাকা/মাসুম/রাজীব