সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার
Published: 22nd, October 2025 GMT
উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মানব উন্নয়ন সূচক, মাথাপিছু জিডিপি এবং উচ্চ আয়ের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল বিশ্বের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির জেনারেল হাসপাতালও রয়েছে খ্যাতনামা হাসপাতালের তালিকায়।
বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ এবং জেনারেল হাসপাতালের প্রসেস কুলিং এ ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এয়ার কুলড স্মার্ট ইনভার্টার চিলার।
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে স্মার্টফোনের নতুন ‘নেক্সজি ব্র্যান্ডশপ’ চালু
কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা
এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতা প্রকাশের ক্ষেত্রে এক বিরাট মাইলফলক অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় বাজারের মতো বৈশ্বিক বাজারেও বাড়ছে ওয়ালটন এসির গ্রাহকপ্রিয়তা ও চাহিদা। ওয়ালটন এসির টেকসই গুণগতমান, এআই ও আইওটি বেজড উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব ও এনার্জি ইফিশিয়েন্ট স্মার্ট সব প্রযুক্তি এবং ফিচার বৈশ্বিক ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে দ্রুত। ফলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশগুলোর বাজারে সম্প্রসারণ হচ্ছে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট লিমিটেড’ এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশটিতে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের প্রসেস কুলিং এ ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার স্থাপন করেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালেও স্থাপন করা হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার।
ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো.
ওয়ালটন শুধু দেশের একমাত্র ভিআরএফ ও স্মার্ট ইনভার্টার চিলার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই নয়; ভিআরএফ উৎপাদনকারী বিশ্বের ৯ম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসি উৎপাদন শিল্পে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। এছাড়া রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন খাতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এসিতে এআই, আইওটি বেজড উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব ও ব্যাপক এনার্জি ইফিশিয়েন্ট স্মার্ট সব প্রযুক্তি ও ফিচার। ওয়ালটন ভিআরএফ সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে বিপিএইচই (Brazed Plate Heat Exchanger) প্রযুক্তি কুলিং দক্ষতা বাড়ায়। এতে রেফ্রিজারেন্ট পিসিবি কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা সিস্টেমের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। সিস্টেমটি সর্বোচ্চ ১৩০% কম্বিনেশন রেশিও ও ১০০ মিটার পর্যন্ত পাইপিং লেন্থ সমর্থন করে, যা বড় ভবন বা জটিল প্রকল্পের জন্য আদর্শ। অটো ডাস্ট রিমুভাল এবং লোড শেয়ারিং প্রযুক্তির পণ্যের স্থায়ীত্ব ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও টেন স্টেজ অয়েল কন্ট্রোল কম্প্রেসরের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। ওয়ালটন চিলারের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ইনভার্টার কম্প্রেসর, স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম (পিএলসি ও টাচ স্ক্রিন), কম শব্দে অপারেশন এবং স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর সহজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা। উচ্চ গুণগতমান এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় ওয়ালটন এসি অর্জন করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সার্টিফিকেট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ হলো- ISO 14001, R0HS, ISO 45001, CE Ges BSTI । এছাড়াও ওয়ালটন এসি নাসদাত-ইউটিএস (NUSDAT-UTS) অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়, যা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও গুণগতমান নিশ্চিত করে।
স্থানীয়ভাবে উন্নতমানের ভিআরএফ ও স্মার্ট ইনভার্টার চিলার উৎপাদনের মাধ্যমে ওয়ালটন শুধু দেশের এয়ার কন্ডিশনার শিল্পকেই শক্তিশালী করে তুলছে না; বিশ্ববাজারে কমার্শিয়াল এসি রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগও সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে ওয়ালটনের লক্ষ্য হলো-বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব হাই-টেক পণ্য উৎপাদন হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশেরই এই টেক জায়ান্ট। ইতোমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।
ঢাকা/সাহেল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম র ট ইনভ র ট র চ ল র র ব র য ন ড ব জন স ভ আরএফ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ফের দুই যুবককে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ রাজ্জাক বাহিনীর বিরুদ্ধে
ফতুল্লার ইসদাইরে রাজ্জাক বাহিনীর সদস্যরা গত দেড় মাসের ব্যবধানে মোবারক হোসেন (৩২) ও নজরুল ওরফে বগল (২০) নামের দুই যুবক কে অপহরণ ও গুম করেছে বলেছে জানা গেছে। পুলিশ দুই যুবকের অপহরণ ও গুমের ঘটনায় ছোট সাজু সহ চার জনকে গ্রেফতার করলেও অপহৃতদের উদ্ধার করতে পারেনি।
অপহরন ও গুমের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে মোবারক হোসেন ও নজরুল ওরফে বগলের পরিবার।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর ফতুল্লার ইসদাইরস্থ ভাড়া বাসা থেকে রাত দুইটার দিকে লেগুনা নজরুল ওরফে বগল কে ডেকে নিয়ে যায় ওয়াসিম ও তার সহোযোগিরা।
কিন্ত রাত শেষ হয়ে দিন অতিবাহিত হলেও নজরুল ওরফ বগল ফিরে আসায় পরিবারের সদস্যরা ওয়াসিমের বাবা রাজ্জাক সহ অপর অভিযুক্তদের নিকট যায়।
সেখানে তারা নজরুল ওরফে বগলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে যে তাদের নিকট আছে। এ বিষয়ে বেশী কথা বললে বা আইনের আশ্রয় নিলে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজিঁ করে না পেয়ে নজরুল ওরফে বগলের বাবা হরমুজ মুন্সি ৫ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় ওয়াসিম(২০),জসিম(২৩) তাদের পিতা রাজ্জাক(৫০), ফরিদ(৪৮) ও আলী (৪৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় অপহরন এবং গুমের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে এই একই চক্রের হাতে ১৮ নভেম্বর রাত একটার দিকে ইসদাইর নতুন বাজার মসিজদ সংলগ্ন রাস্তা থেকে মোবারক হোসেন নামের অপর এক যুবক অপহৃত হয়। এঘটনায় মোবারক হোসেনের বাবা খলিল বাদী হয়ে ঘটনার ৫ দিন পর ২৩ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয় ১৮ নভেম্বর রাত ১ টার দিকে চাষাড়া বালুর মাঠ থেকে বাসায় ফেরার পথে ইসদাইর নতুন বাজার মসজিদের সামনে আসা মাত্র লিটন আলীর নেতৃত্বে ৮/১০ সন্ত্রাসী মেবারক হোসেন কে অপহরন করে।
পরবর্তীতে ২৩ নভেম্বর অপহৃত যুবক মোবারকের বাবা মোঃ খলিল বাদী হয়ে লিটন আলী, জাকির হোসেন, জসিম, বুলু ও রাজ্জাক সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর লিটন আলী ওরফে সোর্স লিটন সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দেড় মাসের ব্যবধানে মোবারক হোসেন ও নজরুল ওরফে বগল নামের দু যুবক অপহরন ও গুমের ঘটনায় স্থানীয়বাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরেছে।
এদিকে অপহৃত যুবক মেবারক হোসেন কে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে দাবীতে রোববার জেলা আদালত চত্ত্বরে মানব বন্ধন করেছে অপহৃতের পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে,অপহৃত দুই যুবক মোবারক হোসেন ও নজরুল ওরফে বগল অভিযুক্ত রাজ্জাকের হয়ে কাজ করতো। হয়তো মাদক ব্যবসা নিয়ে কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক সার্কেল) হাসিনুজ্জামান জানান, দু যুবকের অপহরনের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লিটনসহ তিনজন কে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গতকাল (শনিবার) ছোট সাজু কে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে অপহৃত মোবারক ও নজরুলের বিষয়ে তারা কোন সন্ধান পায়নি।