নিউইয়র্ক পেলো প্রথম মুসলিম মেয়র। যার নাম জোহরান মামদানি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট দলের একজন নেতা। জোহরান মামদানির জন্ম উগান্ডার কাম্পালায় একটি ভারতীয় পরিবারে। তার বাবা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মাহমুদ মামদানি এবং মা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার।
জোহরান মামদানির বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায় এবং সাত বছর বয়সে তারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে বসতি স্থাপন করে। এই সিটিতেই বেড়ে উঠেছেন জোহরান মামদানি।
ইংরেজি ছাড়াও, তিনি হিন্দি-উর্দু, বাংলা, স্প্যানিশ এবং চীনা ভাষায় কথা বলতে পারেন, যা তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করেছেন।
আরো পড়ুন:
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি
নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ, কুওমোকে সমর্থন ট্রাম্পের
জোহরান মামদানি একজন ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে শ্রমিক শ্রেণির অধিকারের জন্য লড়াই করেন। ট্যাক্সি ড্রাইভারদের ঋণ মুক্তির জন্য অনশন ধর্মঘটেও অংশ নিয়েছিলেন। জোহরান মামদানি তার প্রগতিশীল রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে নিউ ইয়র্কের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে ভারতীয় বাংলাদেশি অভিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়।
একসময়ের আন্ডারডগ থেকে মূল ধারার রাজনীতিকে পরিণত হওয়া এই নেতার অসাধারণ উত্থান দেখলো পৃথিবী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
জোহরান মামদানির সাফল্যে ডেমোক্র্যাটদের উচ্ছ্বাস; কিন্তু ক্ষমতায় ফেরা কি সহজ হবে
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা ও নেতৃত্ব—দুটিই হারানোর এক বছর পর ডেমোক্রেটিক পার্টি এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
মাসের পর মাস আত্মসমালোচনার পর এ সপ্তাহে তিনটি বড় নির্বাচনী লড়াই ডেমোক্র্যাটদের নতুন করে অতিপ্রয়োজনীয় গতি ও আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।
৩৪ বছর বয়সী এক ডেমোক্র্যাট সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ভার্জিনিয়ায় সাবেক একজন সিআইএ কর্মকর্তা এ অঙ্গরাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হয়েছেন।
আবার, নিউ জার্সিতে গভর্নর পদে নৌবাহিনীর সাবেক এক হেলিকপ্টার পাইলট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প–সমর্থিত রিপাবলিকান প্রার্থীকে পরাজিত করে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের বিরোধিতাকে মুখ্য ইস্যু করেছিলেন তিনি।
জয়ী এই তিন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হলেন যথাক্রমে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পরিষদ সদস্য জোহরান মামদানি, অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার ও নিউ জার্সি থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল। তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের প্রচার চালিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২০২৮ সালের ভোটের আগে কোনো নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকায় ডেমোক্র্যাটরা এখন ভাবছেন কীভাবে তাঁরা একটি স্পষ্ট বার্তা দেবেন, নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করবেন ও ভোটারদের ফিরিয়ে আনার নতুন কৌশল তৈরি করবেন।তিন প্রার্থীর এ জয় ডেমোক্র্যাটদের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে—২০২৬ সালের গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচনে ও নির্বাচনের পরে দলের নেতৃত্ব কারা নেবেন—মধ্যপন্থী নাকি বামপন্থীরা?
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২০২৮ সালের ভোটের আগে কোনো নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকায় ডেমোক্র্যাটরা এখন ভাবছেন কীভাবে তাঁরা একটি স্পষ্ট বার্তা দেবেন, নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করবেন ও ভোটারদের ফিরিয়ে আনার নতুন কৌশল তৈরি করবেন।
কেউ কেউ মনে করেন, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়সংকট মোকাবিলায় মনোযোগ বাড়িয়ে ডেমোক্র্যাটরা এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। অন্যরা বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও জোরালো রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়া হবে জরুরি।
ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে বিজয়ী অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার (ডানে)