বিএনপির পর জামায়াতও কিছু উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে আপত্তি জানাল
Published: 22nd, October 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত মঙ্গলবারের বৈঠকে ‘দলঘনিষ্ঠ’ উপদেষ্টাদের বাদ দেওয়ার কথা বলেছিল বিএনপি। গতকাল বুধবার জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁর সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষে কাজ করার অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, ওই উপদেষ্টারা প্রধান উপদেষ্টাকে নানা ভুল তথ্য দিচ্ছেন, বিভ্রান্ত করছেন। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতেও বলেছে দলটি। জামায়াতের দাবি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন ও পুলিশের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ লোকই বিএনপির।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কোনো দলের প্রতি পক্ষপাত থাকা উপদেষ্টারা কারা, জামায়াত তাঁদের কারও নাম উল্লেখ করেনি। তবে এসব উপদেষ্টার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। দলটি বলেছে, নির্বাচনের আগে সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে রদবদল আনতে হবে।
তবে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার স্বার্থে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি; সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন।’
জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির হয়ে কাজ করা কয়েকজন উপদেষ্টার নামের তালিকা জামায়াতের প্রতিনিধিদল সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া সচিব পর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তার তালিকা নিয়ে গিয়েছিল, যাঁরা বিএনপির হয়ে কাজ করছেন বলে জামায়াত মনে করে। কিন্তু পরিবেশ না থাকায় তারা সে তালিকা প্রধান উপদেষ্টাকে দেয়নি। তালিকা দুটি পরে পাঠানো হবে। তবে তারা আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছে, সরকারের প্রশাসন ও পুলিশের ৭০-৮০ ভাগ লোকই বিএনপির। এখন তারা বাকিদের বের করে দিতে চাইছে।
গতকাল সন্ধ্যায় জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করে। তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত জামায়াতের অন্য তিন নেতা হলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম ও রফিকুল ইসলাম খান। এ সময় সরকারের পক্ষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এ দিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদলও পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি; সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন।অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তী সরকারসাক্ষাৎ শেষে জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁদের ব্যাপারে বলেছি, সবার ব্যাপারে নয়। আমরা বলেছি, কিছু কিছু লোক আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) বিভ্রান্ত করেন। আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আপনার কিছু লোক আপনার পাশে আপনাকে বিভ্রান্ত করেন এবং তাঁরা কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করেন আমরা মনে করি। তাঁদেরকে, তাঁদের ব্যাপারে আপনাকে হুঁশিয়ার থাকা দরকার।’
বৈঠকে কোনো উপদেষ্টার অপসারণের দাবি তুলেছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি.
এক দিন আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপিও কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। নাম উল্লেখ না করে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়েছিল দলটি।
এটি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ কি না, জানতে চাইলে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মনে করি পাল্টাপাল্টি কিছু না। যেসব উপদেষ্টা দলীয় ভূমিকা পালন করছেন, আমরা সে বিষয়ে বলেছি। বিএনপির বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়।’
৭০-৮০ ভাগ কর্মকর্তা একটি দলেরআবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন ইলেকশন কমিশনের, সচিবালয়ের, পুলিশ প্রশাসনে আজকে সেখানে ৭০-৮০ পারসেন্ট অফিসারই একটি দলের আনুগত্য করছেন। আমরা গেলে তাঁরা বলেন যে প্রচণ্ড চাপ। চাপ কোথায় থেকে? একটি দল থেকে আসছে, তারা বলেছে। পুলিশেও একই অবস্থা। তারপর আমাদের যে প্রসিকিউটর (পিপি) যাঁরা হয়েছেন, ওখানে ৮০ শতাংশ হচ্ছেন একটি বিশেষ দলের।’
তাহের বলেন, অবশ্য তাঁদের (উপদেষ্টা) কেউ বলেছেন, না এটা ৮০ না ৬৫। ৬৫–ও যদি হয়, তাহলে তা অনেক বেশি হয়ে গেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা দল ৬৫, আর বাংলাদেশ ৩৫। সারা বাংলাদেশ তো এই যে ইমব্যালেন্সটা (ভারসাম্যহীন) হয়ে আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার ‘তত্ত্বাবধায়কের মতো’ আছে, নিরপেক্ষ সরকার—এমন কথা উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা বলেছি আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মতো আছেন, নিরপেক্ষ সরকার। আপনি এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) করেন। নির্বাচনের আগে আপনি যেখানে যেখানে রদবদল করা দরকার করেন।’ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি পদ্ধতিতে বদলি ঠিক করবেন বলে জানান তাহের।
আরও পড়ুনকয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এল জামায়াত৫ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গতত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো দাবি তোলা হয়নি জানিয়ে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। তাঁর দল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনো ব্যত্যয় না হলে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, এমন প্রশ্নে জামায়াতের এই নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন যে তিনি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন এবং যেটা করতে হবে, সেটি তিনি করবেন ইনশা আল্লাহ।
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, নভেম্বর মাসের শেষ দিকে গণভোট এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য ‘এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ (সংবিধানের বাইরে বিশেষ ব্যবস্থা) জারির বিষয়ে আলোচনা হয় বলেও সাংবাদিকদের জানান আবদুল্লাহ তাহের।
জুলাই সনদজুলাই সনদে স্বাক্ষর করায় প্রধান উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামায়াতকে। বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন জানিয়ে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা আজকে এটা (জুলাই সনদ) বাস্তবায়নের জন্য ওনার (প্রধান উপদেষ্টা) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। উনি আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে এটা বাস্তবায়ন যদি না হয়, তাহলে এই পরিশ্রম তো পণ্ডশ্রম ছাড়া কিছু নয়। তো সে কারণে উনি বলেছেন, আমি যথাযথ উদ্যোগ নেব।’
‘একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে’—প্রধান উপদেষ্টাকে এমন কথা বলেছে জামায়াত। দলটির নায়েবে আমির বলেন, ‘এটা কনস্টিটিউশন (সংবিধান) নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট, যেটা কোনো সরকার এ রকম (অভ্যুত্থান বা বড় পরিবর্তন) একটি পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।’ একটি আদেশের মাধ্যমে এটা হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতের সঙ্গে একমত হয়েছেন উল্লেখ করেন তিনি।
জুলাই সনদের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির কথা কেউ কেউ বললেও তাতে ভিন্নমত রয়েছে জামায়াতের। এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার মতো স্ট্রেংথ (ক্ষমতা) অধ্যাদেশে নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভেলেন্ট (সমান) টু সাংবিধানিক পরিবর্তন পাওয়ার (ক্ষমতা) এবং অথরিটির দিক থেকে।’ তিনি বলেন, একটি আদেশের মাধ্যম এটাকে বৈধতা দিতে হবে। সেই আদেশের ওপরেই গণভোট হবে। এটা জামায়াত পরিষ্কারভাবে বলে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের কথায় কনভিন্স (রাজি) হয়েছেন বলে আমাদের মনে হয়। আমরা আশা করি, সেদিকে যাবে।’
অভিযোগ পাল্টাপাল্টিজাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনিক রদবদল ও নিয়োগ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ক্রমেই মুখোমুখি হয়ে পড়ছে। গত সপ্তাহে বিএনপি অভিযোগ তোলে যে উপদেষ্টাদের কয়েকজন জামায়াতের পক্ষে কাজ করছেন। প্রকাশ্য কর্মসূচিতে জামায়াতও পাল্টা অভিযোগ করে, কয়েকজন উপদেষ্টা বিএনপির হয়ে কাজ করছেন। গত দুই দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দল দুটির পৃথক বৈঠকে কয়েকজন উপদেষ্টাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দলীয় আনুগত্যের অভিযোগ আলোচনায় এল।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করবে, এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। তবে আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছি, সে লক্ষ্যে প্রশাসনকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করার কথা বলেছি। নির্বাচনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত জায়গাগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন করে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত হ র বল ন জ ল ই সনদ সরক র র ব এনপ র র জন য হয় ছ ন দ র বল ক জ কর আম দ র আপন র আপন ক প রথম ইসল ম করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জিগাতলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে আহত দুই কলেজশিক্ষার্থী
রাজধানীর জিগাতলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে দুই কলেজশিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলফাছ সানি (১৯) ও কাজী ইশতেয়াক মুনিম (১৮)।
বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মোহাম্মদপুর থানার জিগাতলা নেসক্যাফের ভেতরে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই সময় কয়েকজন বন্ধু মিলে আলফাছ ও মুনিম আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় একই কলেজের প্রথম বর্ষের (জুনিয়র) ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী অতর্কিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন ছুরিকাঘাতে আহত হন।
পরে সহপাঠীরা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আহত দুজন বর্তমানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।