দীপাবলি উৎসবের মহানবমীতে শহরের মন্ডপ পরিদর্শনে পূজা পরিষদ
Published: 22nd, October 2025 GMT
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা বা দীপাবলি উৎসবের মহানবমীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শঙ্কর কুমার দে এবং সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের নেতৃত্বে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এদিন শহরের চাষাড়া, আমলাপাড়া, টানবাজার, নিতাইগঞ্জ, মন্ডলপাড়া, দেওভাগ, বাবুরাইলসহ শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে গিয়ে দীপাবলি উৎসবে শরিক হন পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দ এবং সার্বিক খোঁজখবর নেন। সেইসাথে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন, কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মেহেদি উৎসবের মাধ্যমে ইবিতে প্রকাশ্যে এল ছাত্রী সংস্থা
দুই দিনব্যাপী মেহেদী উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এ উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।
আরো পড়ুন:
ইবিকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের
জবি শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সরেজমিন দেখা যায়, বটতলার পাশেই সুসজ্জিত ছাউনি টাঙিয়ে চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বুথ সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য, বাকিগুলোতে উপহার, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন ব্যানার টানানো হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি নতুন সদস্য আহ্বান এবং নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করছে।
উৎসবের প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেককে লাইনে দাঁড়িয়েও মেহেদি নিতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, “ইসলামী ছাত্রসংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। মেয়েরা একে অপরকে মেহেদি দিচ্ছে। এই দৃশ্যটা দেখতেই অনেক ভালো লাগছে, আমি নিজেও দিয়েছি। অনেক সুন্দর একটা আয়োজন করেছে তারা।”
তিনি বলেন, “ওদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমার আগে বিশেষ কোনো ধারণা ছিল না। আগে জানতাম তারা শুধু পর্দা নিয়ে কাজ করে। তবে ইদানিং দেখছি, তারা বেশ ভালো ভালো কিছু কাজ করছে। আশা রাখছি, সংগঠনটি ভালো কিছু করবে।”
সংগঠনটির ইবি শাখা সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মেহেদি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এটি সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার অংশ হিসেবে শুধু ছাত্রীদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। আমাদের শাখা নিয়মিতভাবেই নানাবিধ ইতিবাচক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।”
তিনি আরো বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে এমন আয়োজন বৃহত্তর পরিসরে করা সম্ভব হয়নি। তবে ফ্যাসিস্ট পরবর্তী সময়ে এসে আমরা ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেছি এবং ইনশাআল্লাহ সামনে তা আরো বিস্তৃত হবে। আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে সকল ছাত্রীবোনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী