বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিএনপি কখনো আপস করবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল বিএনপি মহাসচিবের। তবে জরুরি কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। সেখানে বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনো আপস করব না। আমরা অবশ্যই আমাদের জাতীয় স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ার চেষ্টা করব। সকল মানুষের, কৃষক–শ্রমিক–মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।’

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি ‘জনগণের সরকার’ গঠন করবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতিতে গণ–অভ্যুত্থানের পর এই বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি জনগণের সরকার আমরা গঠন করতে সক্ষম হব।’ বক্তব্যে অনুষ্ঠান আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানান বিএনপির মহাসচিব।

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রয়াত এই রাষ্ট্রনেতা ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন এবং একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যান।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে সংস্কার নিয়ে যে আলোচনা, তার উদ্ভাবক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তবে জিয়াউর রহমান সংস্কারকাজ শেষ করে যেতে পারেননি।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদ সোহরাব। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন জাসাসের সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব এনপ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদিনীকে হুমকি  

বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ৪ আসামী গ্রেপ্তার হলেও রহস্য জনক কারনে মামলার অপর আসামীরা এখনও অধরা ছোয়ার বাইরে!

এদিকে গা ডাকা দেওয়া এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা  মামলার বাদিনীসহ তার পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার ( ১২ নভেম্বর) বন্দর থানা চত্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমনই অভিযোগ করেন আলমগীর হত্যা মামলার বাদীনি নিহতের  ছোট বোন মোসাঃ কল্পনা বেগম।

তিনি বলেন, তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন (৪৬)’কে হত্যা ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।

উক্ত মামলার ৫ নং আসামী জুয়েল, ৬ নং আসামী আনজু, ১৩ নং আসামী ফরহাদ ও ১৮ নং আসামী রাতুল গ্রেফতার পর কারাগারে আছে। রাতুল ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি না’গঞ্জ জেলা পিবিআই তদন্ত করছে।

এদিকে এজাহার নামীয় সালেহনগর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে সোহেব, বাড়ৈপাড়া এলাকার মৃত আক্কাছ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল প্রকাশ কালু, বড়ৈপারা এলাকার মাসুদের ছেলে মোঃ পারভেজ, শাহীমসজিদ এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে রিপন, বালুচর এলাকার অকিল উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে সুমন, শাহীমসজিদ এলাকার রমজান মাঝির ছেলে রোবেল, শাহীমসজিদ এলাকার আব্দুল ছালামের ছেলে মনির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার কাশেমের ছেলে রাসেল, সালেহনগর এলাকার কামালের ছেলে সুমন ও মহিউদ্দিনের ছেলে রাসেলগং বিভিন্ন মাধ্যমে বাদীনিসহ পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছে বাদীনিসহ তার পরিবারবর্গ। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়াসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হত্যা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদিনীকে হুমকি