রাঙামাটি সদর উপজেলার জীবতলী এলাকায় রাস্তায় নেমে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর বন্য হাতির আক্রমণে দুই নারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সন্ধ্যায় জীবতলী আগরবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ঝর্ণা চাকমা (৭০) ও সবিতা চাকমা (৮০)।

পাঁচজন যাত্রী নিয়ে রাঙামাটি থেকে জীবতলী চেয়ারম্যানপাড়ার পথে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। জীবতলী আগরবাগান এলাকায় পৌঁছালে বন থেকে হঠাৎ বেরিয়ে আসা একটি হাতি অটোরিকশার ওপর হামলা চালায়। এতে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা গুরুতর আহত হন। একই সময়ে আহত হন সিএনজি অটোরিকশাচালক ত্রিজয় চাকমা (২৩)। অন্য দুই যাত্রী লাফিয়ে প্রাণে বাঁচেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিত্সক এ কে এম মশিয়ত উল্লাহ বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে আহত দুই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় ঝর্ণা চাকমাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত সবিতা চাকমাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছিল। আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা বলেন, হাতির আক্রমণে একজন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে এবং আরেকজন চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাতির আক্রমণে একজন নিহতের তথ্য তাঁদের কাছে এসেছে। নিহত-আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিহত ঝর্ণা চাকমার মেয়ে মিনা চাকমা ও রুনু চাকমা জানান, তাঁদের মা রাঙামাটি থেকে চেয়ারম্যানপাড়া যাওয়ার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। তাঁরা বলেন, ঝর্ণা চাকমার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ বতল

এছাড়াও পড়ুন:

মেক্সিকোতে জেন-জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১২০

মেক্সিকো সিটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।

মেক্সিকোর সিটি পুলিশের বরাত দিয়ে রবিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

সাতক্ষীরায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকো সিটিতে সহিংস অপরাধ ও প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মেক্সিকোর রাজধানীতে মিছিল করেছেন।

শেইনবাউম দাবি করেছেন, অন্যান্য শহরেও অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ মিছিলগুলো সরকারবিরোধী ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা অর্থায়ন করেছেন।

উরুপানের মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যাকাণ্ড সহ হাই-প্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেনারেশন জেড (জেন-জি) শনিবার মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয়।  

হাজারো মানুষ স্বাধীনতার প্রতীক ‘অ্যাঞ্জেল অব ইন্ডিপেনডেন্স’ স্মারক থেকে কনস্টিটিউশন স্কয়ার পর্যন্ত মিছিল করে জাতীয় প্রাসাদের সামনে জড়ো হন, যেখানে প্রেসিডেন্টের দপ্তর রয়েছে।

শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে ‘ব্ল্যাক ব্লক’ হিসেবে পরিচিত মুখোশধারী একদল বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পাথর ছোড়ে এবং পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে আঘাত করছেন এবং অপরদিকে একজন পড়ে থাকা বিক্ষোভকারীকে পুলিশ লাথি মারছে।

প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে স্কয়ার খালি করে। মেক্সিকো সিটির নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাজকেজ সাংবাদিকদের জানান, ডাকাতি এবং হামলা সহ অপরাধের জন্য কর্তৃপক্ষ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা সবাই কার্লোস মানজো’ লেখা ব্যানার উড়িয়েছিল, অন্যরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কাউবয় টুপি পরেছিল।

গত ১ নভেম্বর ডে অব দ্য ডেড উৎসবে যোগ দেওয়ার সময় মানজোকে গুলি করা হয়। তিনি তার শহরে মাদক পাচারকারী দল এবং কার্টেল সহিংসতার বিরুদ্ধে খোলামেলা কথা বলার জন্য পরিচিত ছিলেন।

তিনি দেশকে আতঙ্কিত করে এমন সশস্ত্র কার্টেল সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

শাইনবাউম প্রশাসন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কিন্তু মাদকের বিরুদ্ধে আরেকটি সর্বাত্মক পদক্ষেপের আহ্বানে সাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

বিক্ষোভ মিছিলটির কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, অনলাইনে বট দ্বারা বিক্ষোভ প্রচার করা হচ্ছে।

“যদি তরুণদের দাবি থাকে তবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের স্বাধীনতার সাথে একমত, তবে এখানে সমস্যা হল কে বিক্ষোভ প্রচার করছে।”, তিনি একটি ব্রিফিংয়ে বলেন।

শাইনবাউম আরো বলেন, “মানুষের জানা উচিত যে এই বিক্ষোভ কীভাবে সংগঠিত করা হচ্ছে।” 

শাইনবাউম তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরেই ৭০ শতাংশের এর উপরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন এবং ফেন্টানাইল-পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও তিনি এগিয়ে এসেছেন, যা মার্কিন প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কিন্তু দেশটিতে চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তিনি সমালোচিত হচ্ছেন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন।

চলতি মাসের শুরুতে পেরুর কংগ্রেস শাইনবাউমকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ বা দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।

২০২২ সালের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত পেরুর একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মেক্সিকো সরকার আশ্রয় দেওয়ার পর, পেরু মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কয়েকদিন পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
  • সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেন উপদেষ্টার এপিএস
  • বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
  • সাজা হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ আবেদন করা হবে
  • সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র
  • সংবেদনশীল না হলে কেউ ভালো শিল্পী হতে পারে না: জুয়েল আইচ
  • আশুলিয়ায় পুড়িয়ে দেওয়া একজনের পরিচয় শনাক্ত, কবর থেকে তুলে পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ
  • ৯১ বছর বয়সেও দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি
  • মেক্সিকোতে জেন-জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১২০