যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন-প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া বৃহস্পতিবারের সময়সীমা থেকে সরে এসেছেন। একইসঙ্গে তিনি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে সে বিষয়ে রাশিয়ানদের পরামর্শ দেওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির ‘খুব কাছাকাছি চলে এসেছি’: ট্রাম্প

প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার সংশোধনকে স্বাগত জানালেন জেলেনস্কি

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটির জন্য ফ্লোরিডা যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন আলোচকরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি করছেন এবং মস্কো কিছু ছাড়ে সম্মত হয়েছে।।” তবে ট্রাম্প সেগুলো বিস্তারিতভাবে জানাননি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন-ভিত্তিক একটি কাঠামো গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে আসার পর নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে যে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে মস্কোর অনুকূলে থাকা একটি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে পারে।

ট্রাম্প জানান, তার দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো সফর করবেন। ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, যিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আলোচনায় সহায়তা করেছিলেন, তিনিও উইটকফের সফরসঙ্গী হবে।

ট্রাম্প এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউক্রেনকে একটি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য সময় বেধেঁ দিয়েছিলেন। 

তবে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এখন নির্দিষ্ট সেই সময়সীমা থেকে সরে এসেছেন। এখন বলছেন যে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি চুক্তি চান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, “আমার জন্য সময়সীমা হলো যখন আলোচনা শেষ হবে।” 

ব্লুমবার্গ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত ১৪ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের শীর্ষ পররাষ্ট্র নীতি সহকারী ইউরি উশাকভের সঙ্গে এক ফোনালাপে বলেন, তাদের ইউক্রেনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে একসাথে কাজ করা উচিত এবং পুতিনের উচিত ট্রাম্পের কাছে এটি উত্থাপন করা।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উইটকফের নির্দেশনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হোয়াইট হাউজ সফরের আগে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের ব্যবস্থা করার এবং সম্প্রতি সম্পন্ন গাজা চুক্তিকে একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, “ব্লুমবার্গ যে ফোনালাপের উপর ভিত্তি করে তার গল্প তৈরি করেছেন সেই রেকর্ডিং তিনি শোনেননি। কিন্তু তিনি অবাক হননি কারণ ‘একজন চুক্তিকারী এটাই করে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি জানেন, এটি আলোচনার একটি খুব সাধারণ ধরন। আমার মনে হয় উইটকফ ইউক্রেনকে একই কথা বলছেন।”

ট্রাম্প বলেন, চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার প্রভাব বেশি এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছানো ইউক্রেনের সর্বোত্তম স্বার্থে হবে। তার মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনের আরো কিছু ভূখণ্ড ‘যেভাবেই হোক রাশিয়া দখল করতে পারে’।

ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে ইউরোপীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ য ক তর ষ ট র ইউক র ন ইউক র ন র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন-প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া বৃহস্পতিবারের সময়সীমা থেকে সরে এসেছেন। একইসঙ্গে তিনি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে সে বিষয়ে রাশিয়ানদের পরামর্শ দেওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির ‘খুব কাছাকাছি চলে এসেছি’: ট্রাম্প

প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার সংশোধনকে স্বাগত জানালেন জেলেনস্কি

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটির জন্য ফ্লোরিডা যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন আলোচকরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি করছেন এবং মস্কো কিছু ছাড়ে সম্মত হয়েছে।।” তবে ট্রাম্প সেগুলো বিস্তারিতভাবে জানাননি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন-ভিত্তিক একটি কাঠামো গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে আসার পর নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে যে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে মস্কোর অনুকূলে থাকা একটি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে পারে।

ট্রাম্প জানান, তার দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো সফর করবেন। ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, যিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আলোচনায় সহায়তা করেছিলেন, তিনিও উইটকফের সফরসঙ্গী হবে।

ট্রাম্প এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউক্রেনকে একটি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য সময় বেধেঁ দিয়েছিলেন। 

তবে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এখন নির্দিষ্ট সেই সময়সীমা থেকে সরে এসেছেন। এখন বলছেন যে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি চুক্তি চান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, “আমার জন্য সময়সীমা হলো যখন আলোচনা শেষ হবে।” 

ব্লুমবার্গ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত ১৪ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের শীর্ষ পররাষ্ট্র নীতি সহকারী ইউরি উশাকভের সঙ্গে এক ফোনালাপে বলেন, তাদের ইউক্রেনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে একসাথে কাজ করা উচিত এবং পুতিনের উচিত ট্রাম্পের কাছে এটি উত্থাপন করা।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উইটকফের নির্দেশনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হোয়াইট হাউজ সফরের আগে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের ব্যবস্থা করার এবং সম্প্রতি সম্পন্ন গাজা চুক্তিকে একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, “ব্লুমবার্গ যে ফোনালাপের উপর ভিত্তি করে তার গল্প তৈরি করেছেন সেই রেকর্ডিং তিনি শোনেননি। কিন্তু তিনি অবাক হননি কারণ ‘একজন চুক্তিকারী এটাই করে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি জানেন, এটি আলোচনার একটি খুব সাধারণ ধরন। আমার মনে হয় উইটকফ ইউক্রেনকে একই কথা বলছেন।”

ট্রাম্প বলেন, চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার প্রভাব বেশি এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছানো ইউক্রেনের সর্বোত্তম স্বার্থে হবে। তার মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনের আরো কিছু ভূখণ্ড ‘যেভাবেই হোক রাশিয়া দখল করতে পারে’।

ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে ইউরোপীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ