এক রাতের আড্ডাকে কেন্দ্র করে ‘থার্সডে নাইট’
Published: 26th, November 2025 GMT
অনেক শহুরের কাছেই বৃহস্পতিবার রাত সপ্তাহের ক্লান্তি ঝেড়ে আড্ডা-গল্পে নির্ভার সময় কাটানোর রাত। এমনই এক রাতের আড্ডাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ‘থার্সডে নাইট’। ফ্ল্যাশ ফিকশনটিতে দেখা যাবে, আনন্দমুখর এ রকম একটা সন্ধ্যা কীভাবে হয়ে ওঠে অস্বস্তিকর এক রাত। আজ রাত ১২টায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে এই ফ্ল্যাশ ফিকশন।
২৪ নভেম্বর বিকেলে প্রকাশিত ট্রেলারে দেখা যায়, বন্ধুদের একটি আড্ডা, খানাপিনা, হইচই আর উত্তেজনায় রঙিন। পরে নির্দিষ্ট একটি সময়ের স্মৃতি কেউ মনে করতে পারে না। ভুলে যাওয়া সময়টুকুই রহস্যের কেন্দ্র। পুলিশও সেই হারিয়ে যাওয়া ঘণ্টাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। কী ঘটেছিল? কে সত্য বলছে? কাকে বিশ্বাস করা যায়? এ প্রশ্নগুলো নিয়েই এগিয়ে যায় গল্প।
‘থার্সডে নাইট’–এর দৃশ্য। চরকির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজাহান চৌধুরীকে শোকজ, সতর্ক করেছেন জামায়াতের আমিরও
প্রশাসন নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর 'বিতর্কিত' বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও।
গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সই করা নোটিশটি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তা দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, “আপনার এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। আমরা বক্তব্যটি দেখেছি, যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা ও মূল স্পিরিটকে স্পষ্টভাবে ব্যাহত করেছে। আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।”
নোটিশে আরও বলা হয়, “এরইমধ্যে বিভিন্ন সময়ে আপনি (শাহজাহান চৌধুরী) এই ধরনের সাংগঠনিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী ও শৃঙ্খলা বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। যার ফলে আপনাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি জামায়াত আমিরও আপনাকে ডেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং সতর্ক করেছেন। তারপরেও আপনার মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।”
এর আগেও শাহজাহান চৌধুরী সাংগঠনিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী ও শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করে বলা হয়, “আপনাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমিরে জামায়াতও আপনাকে ডেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং সতর্ক করেছেন। এতদসত্ত্বেও আপনার মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না।”
এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রশাসনকে, প্রশাসনের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। পুলিশকে, ওসিকে আমাদের পেছনে ছুটে আসতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে হয় না। প্রশাসনকে আমাদের কথায় উঠতে, বসতে হবে, মামলা দায়ের করবে, গ্রেফতার করবে। দলের প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওসি সাহেব সকালে আপনার প্রোগ্রাম জেনে নেবেন এবং প্রটোকল দেবেন। এবার জামায়াতকে ক্ষমতায় নিতে আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।”
শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে নিন্দা ও উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিক মহল থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই নোটিশে বলা হয়, “একই সঙ্গে দেশ-বিদেশে আমাদের জনশক্তি এবং সাধারণ জনগণের মাঝেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই বক্তব্যের কারণে ইতিমধ্যে সংগঠনের ভাবমর্যাদা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি, আদর্শ, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের পরিপন্থি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা