পিঁড়ির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আটক
Published: 18th, November 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরামপুরে পিঁড়ির আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী রেহানা বেগমকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের কুঁচিয়া মোড় গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। নিহত হাফিজুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
আরো পড়ুন:
‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়া ছাত্রদল কর্মীকে আসামি করে মামলা
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ সকালে নবান্ন উপলক্ষে স্ত্রী রেহেনা বেগম স্বামী হাফিজুল ইসলাম কাছে নতুন শাড়ি চান। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রেহেনা বসার পিঁড়ি দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন হাফিজুল ইসলাম। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত নারীকে আটক করেছে। মরদেহ দিনাজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ হ ফ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৫ সন্ত্রাসী নিহত
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পৃথক দুটি অভিযানে ১৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল্লাহর সেনাবাহিনী: ফিল্ড মার্শাল মুনির
গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
আইএসপিআর জানায়, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর এই অভিযান দুটি চালানো হয়। নিহত সন্ত্রাসীরা ‘ভারতীয় ছায়া বাহিনী’ ফিতনা আল খাওয়ারিজের সদস্য। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তান নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সন্ত্রাসীদের বোঝাতে ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখওয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় প্রথম অভিযানটি চালানো হয়। এখানে খারজি চক্রের নেতা আলম মেহসুদ সহ ১০ সন্ত্রাসী নিহত হয়। অপর অভিযানটি চালানো হয় উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার দত্ত খেল এলাকায়। এখানে আরো পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওই এলাকায় ভারতীয় মদদপুষ্ট আরো কোনো খারজি লুকিয়ে আছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে নিবিড় তল্লাশি অভিযান চলছে।
এসব অভিযানে সফলতা পাওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যমত্যের সঙ্গে বিদেশি সমর্থিত সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য কাজ অব্যাহত থাকবে।”
তিনি সন্ত্রাসী চক্রের নেতাকে হত্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর সফল কৌশলের প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য থেকে মনোযোগ সরানোর রাজনৈতিক পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরীফ বলেন, “আজম-ই-ইস্তেহকামের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে, নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করছে। আমরা দেশ থেকে সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
এর আগে গত সপ্তাহে আইএসপিআর জানিয়েছিল যে, নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে অন্তত ২৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ