`গতকালের রায়ের` পর এটা আরেকটা জয়: উপদেষ্টা আসিফ
Published: 18th, November 2025 GMT
“২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো জিতলো এবং গতকালের রায়ের পর এটা আমাদের জন্য আরেকটা বিজয়।”
ফুটবলের এশিয়া কাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ দল ভারতকে পরাজিত করার পর এমন মন্তব্য করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
আরো পড়ুন:
ফুটবল দলকে ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা
২২ বছর পর ভারতকে হারাল বাংলাদেশ
‘গতকালের রায়’ বলতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচু্যত শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশকে ইঙ্গিত করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পালানোর সময় আটক জনির দায় স্বীকার করে জবানবন্দি
রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মো. জনি ভূঁইয়া নামে এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, মিরপুরে দোকানে ঢুকে কিবরিয়াকে গুলি করে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হয়েছিলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে জনি ভূঁইয়া জবানবন্দি দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, আজ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় পল্লবী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হানিফ সেটি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি নেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ‘সি’ ব্লকে হার্ডওয়্যারের একটি দোকানে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আজ রাজধানীর পল্লবী থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭–৮ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা করেন কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার। জনি ছাড়া অপর আসামিরা হলেন সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ কালু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া প্রায়ই পল্লবী থানার বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসে তাঁর বন্ধু মাসুদ রানার সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সেখানে ঢুকে তাঁকে গুলি করেন জনি ভূঁইয়া, সোহাগ কালু ও রোকন। হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন সোহেল ও মাসুম।
আসামিরা কিবরিয়ার চোয়ালে, গলায়, বাঁ কানে, ঘাড়ে, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার পর পালানোর চেষ্টার সময় স্থানীয়রা জনিকে আটক করেন। অন্য আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসিটিভি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সেখানে ঢুকে তাঁকে গুলি করতে শুরু করেন। দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি ও দুজনের গায়ে শার্ট ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল।
আরও পড়ুনমিরপুরে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা১৭ নভেম্বর ২০২৫এ সময় দোকানে নয়জন ছিলেন। দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে গুলি করতে শুরু করলে ভয়ে দোকান থেকে লোকজন বেরিয়ে যান। কিবরিয়াকে দুজন গুলি করেন। এ সময় কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁদের একজন আরও তিনটি গুলি করে দ্রুত বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুনমিরপুরে যুবদল নেতাকে হত্যার পর পালানোর সময় অটোরিকশাচালককেও গুলি১৭ নভেম্বর ২০২৫