2025-08-02@02:48:38 GMT
إجمالي نتائج البحث: 97

«উৎপ দ ত ফসল»:

    ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে দেশের ২১টি জেলা জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। যার ফলে ৭২ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। আউশ, আমন বীজতলা, শাকসবজি, পাট, ফলবাগানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত। ফলে আগামী কয়েক মাসে কৃষি উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাও কঠিন হবে। কৃষককে বাঁচাতে, ভোক্তার স্বার্থে সর্বোপরি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী জেলা। এসব জেলার কৃষকদের কাছে দ্রুত ছুটে যেতে হবে জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। ফেনী ও নোয়াখালীর পরিস্থিতি আলাদাভাবে বলতেই হয়। গত বছরেও স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছিল এ দুই জেলা। এখনো বন্যার সেই ক্ষত সারেনি। এবার...
    হাইব্রিড বীজের উচ্চফলনের গল্প থেমে গেছে। জমির উর্বরতা শেষ, বাস্তুতন্ত্র শেষ, তলার পানি শেষ—সঙ্গে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। আছে বীজ কোম্পানির প্রতারণা। মাঝখানে কৃষকের বীজভান্ডার থেকে বীজ হাওয়া হয়ে গেছে। বন্যার সময় প্রায়ই এ রকম একটা ছবি পত্রিকায় দেখতে পাই—কলার ভেলায় একজন নারী ছাগল, হাঁস-মুরগি ও কিছু বীজ জড়িয়ে বসে আছেন। একজন নারী সংসার বলতে কী বোঝেন, এটা তারই প্রতীক। এটাই হলো বাস্তুসংস্থান। নারী জানেন, ঝড়, বন্যা, বৃষ্টি, লবণাক্ততায় কীভাবে বিপদ আগলে কৃষি করতে হয়। শিশি, ধামা, ঝুড়ি ও কলসিতে নারীরা বীজ রাখতেন। নারীদের সেই বীজভান্ডার এখন শূন্য। বহুজাতিক কোম্পানি সেই বীজ কেড়ে নিয়েছে।বাংলাদেশ গভীর জলের ধানের আঁতুড়ঘর। এখানে সবচেয়ে বেশি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের গভীর পানির ধান পাওয়া যায়। বাংলাদেশ বেগুনের আদি জন্মভূমি। বেগুনকে বলা হয় শস্য ফসলের ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অব...
    বগুড়ার সেউজগাড়ি কন্দাল ফসল গবেষণা উপকেন্দ্রের গবেষণা খাতের অর্থ লুটেপুটে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ভুয়া বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করতে অধস্তনদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলেছেন তিনি। তাদের মধ্যে রয়েছেন এসএ তারিকুল হাসান, নিরাপত্তা প্রহরী হামিদুল হাসান ও স্টোর কিপার আফরিন জাহান। এ চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে বছরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়ার উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত করতে যান। তিনি বলেন, সবে তদন্ত শুরু করেছি। প্রতিবেদনে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, এই উপকেন্দ্রে বছরে গবেষণা খাতে বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ কিনতে বরাদ্দ দেওয়া হয় অর্ধকোটি টাকা; যার অর্ধেকই আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. তৌহিদুর রহমান। বাস্তবে এখানে...
    ফল-ফসল ও এসব থেকে তৈরি খাবার খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে এসব ফল-ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। আর এতে মারা যায় পোকামাকড়। অনেকটা নির্বিচারেই তাদের প্রাণ যায়। এগুলোর মধ্যে অনেক ভালো পোকামাকড়ও থাকে, যারা প্রকৃতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। ফসল রক্ষায় কীটনাশক ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পোকামাকড়ের অনেক প্রজাতি এখন বিলুপ্তির মুখে। নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, ফল ও সবজিতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করে পোকামাকড়ের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। নিরাপদ বলে বিবেচিত মাত্রায় ব্যবহার কীটনাশকও বড় ক্ষতির কারণ হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ম্যাককোয়ারি ইউনিভার্সিটির এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত রাসায়নিক ক্লোরোথ্যালোনিল পোকামাকড়ের বংশ বৃদ্ধির ক্ষমতা নষ্ট করছে ও মেরে ফেলছে।  ম্যাককোয়ারির স্কুল অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসের গবেষকরা ল্যাবে ব্যবহৃত সাধারণ পোকামাকড়ের মডেল, ফলের...
    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবসর গ্রহণের পর বেদ, উপনিষদ অধ্যয়ন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে সময় কাটাবেন। গতকাল বুধবার তিনি নিজেই এ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান।অমিত শাহর বয়স মাত্র ৬০। তা ছাড়া এ দেশের রাজনীতিবিদেরা সচরাচর অবসর গ্রহণ করেন না। তার ওপর তাঁর মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী যদি কেউ হন, দিনে ১৮ ঘণ্টা যাঁর রাজনীতিতেই কেটে যায়, এমন অমিত শক্তিধর অমিত শাহ হুট করে অবসরের কথা কেন বলতে গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। নানান প্রশ্ন ঘুরছে।বিজেপিতে যেদিন থেকে ‘মোদি যুগ’ শুরু, সেদিন থেকেই মোদি–শাহ নাম এক নিশ্বাসে উচ্চারিত হয়ে আসছে। গুজরাটি রাজনীতিতে যা শুরু, জাতীয় রাজনীতিতেও সেই যুগলবন্দী অব্যাহত। নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে বিশ্বস্ত দোসর বলে পরিচিত অমিত শাহ। এমন ধারণাও আছে যে শাহ–ই হবেন মোদির উত্তরসূরি।হিন্দুত্ববাদী...
    জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নটি যমুনা নদীর তীরবর্তী। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তলিয়ে যায় এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো। বালুগ্রাম দক্ষিণের মর্জিনা বেগম (৪৫) ডান হাতের চার আঙুল দেখিয়ে বললেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কমপক্ষে চারবার বন্যায় ডোবে তাঁদের গ্রাম। বন্যার হিসাব করেই ফসল ও সবজির আবাদ করা হয়। তবে এ বছর ঈদুল আজহার আগে চার-পাঁচ দিনের বন্যা সেই হিসাবেও ‘গন্ডগোল’ বাধায়।আকস্মিক সেই বন্যায় ফসল নষ্ট হয়। রোজগারহীন হয়ে পড়েন কৃষি শ্রমজীবী মর্জিনার মতো অন্য নারীরা। তাঁদের মধ্যে মোসাম্মৎ সীমা বেগমের মতো কেউ কেউ সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। কীভাবে ক্ষতি সামলাবেন, সেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে তাঁদের কপালে।কৃষিতে ছোট-বড় যেকোনো ক্ষতিরই ভাগ নিতে হয় মর্জিনা বেগম, সীমা বেগম, বিজলি আক্তারদের। তবে আয়ের...
    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাওর রক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে সরকার। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি হাওরে বাঁধ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, পর্যটন সুরক্ষা ও নীতিমালা প্রণয়নসহ চারটি প্রধান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউর) শফিকুল কবির মিলনায়তনে হাওরের সংকট ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হাওরের ইকো সিস্টেম পৃথিবীতেই বিরল। এটিকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে। হাওরের সীমানা নির্ধারণ করে কৃষিজমি থেকে মাটি উত্তোলনের মতো ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা হাওর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ‘ভাসমান হাসপাতাল’ চালুর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। পাশাপাশি হাওরের মাছের উৎপাদন ও আহরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দেন। সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপন করেন সংগঠনের...
    ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি গুদামে উপচে পড়ছে চালের মজুত। বাজারে সরবরাহেও ঘাটতি নেই। তারপরও চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। প্রশ্ন উঠেছে  সরবরাহ ও মজুত থাকার পরও হঠাৎ চালের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে কারা?  চাষির ঘাম, সিন্ডিকেটের ফায়দা সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ টন। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ১৫ লাখ টন। অথচ এই অর্জনের ফল ভোগ করছেন না প্রকৃত উৎপাদক। নোয়াখালী জেলার কৃষক কালাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘ধান বিক্রি করছি মণপ্রতি ১১০০ টাকা। অথচ সেই ধানের চাল এখন কিনতে হচ্ছে ৮৫ টাকায়! আমরা দাম পাই না, আবার বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। লাভ করছে কারা?’’ আরো পড়ুন: ...
    দেশে পাঁচ বছরের ব্যবধানে লেবুজাতীয় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে ২৫ শতাংশ, আবাদ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। মাল্টা, কমলা, লেবু ও বাতাবি লেবুসহ লেবুজাতীয় ফলের আবাদ ও উৎপাদনের এই ধারা বাড়লেও মাঝে মাঝে চাষি দাম পান না। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ লেবুজাতীয় ফসলের চাষ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনা কৃষকবান্ধব করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ২০১৯ সালের থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি এই মাসে শেষ হচ্ছে। সমাপনী কর্মশালায় প্রকল্পের অর্জন, মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল...
    জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষক। এই সংকট মোকাবিলায় কৃষিতে অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন কৃষি গবেষকরা। ‘ব্র্যাক এডাপটেশন ক্লিনিক এবং দীর্ঘমেয়াদী কৃষি-পরামর্শমূলক সেবার জন্য আকাসা পোর্টালের সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তাঁরা এসব কথা বলেন। গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে (বিসিডিএম) কর্মশালা শেষ হয়। এর আয়োজন করে ব্র্যাক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও আকাসা প্রকল্প। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মাটির উর্বরতা হ্রাস, উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া, ফসল উৎপাদনে অনিশ্চয়তা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো ঝুঁকি বাড়ছে। এই বাস্তবতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএআরসি, বাংলাদেশ ধান ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ব্র্যাকের মতো সংস্থার কার্যকর সমন্বয় ও অংশীদারত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।...
    কৃষিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং আয়ের নতুন পথ খুলতে পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হচ্ছে কফি ও কাজুবাদাম। পুষ্টিগুণ ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশে কাজুবাদামের চাহিদা ব্যাপক। পাহাড়ি ফল হিসেবে বেশি পরিচিত কাজুবাদামের পুরোটাই একসময় ছিল আমদানিনির্ভর।  মাঠ ফসলের সাফল্যের পথ ধরে এখন উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলেও এগিয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালের জুনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিয়েছে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প। এ প্রকল্পের লক্ষ্য– অনাবাদি জমি কাজে লাগিয়ে আধুনিক, বহুমুখী ও রপ্তানিমুখী কৃষির ভিত শক্ত করা। চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিস্তীর্ণ পাহাড়ি অঞ্চল আগে ‘জুম’ চাষের জন্য পরিচিত ছিল। প্রকল্পের আওতায় এখন এসব জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে কাজুবাদাম ও কফি। শুরুর দিকে যেখানে দেশে কাজুবাদামের চাষ হতো মাত্র ১ হাজার ৮০০ হেক্টরে, সেখানে এখন তা...
    কমলা, লেবু কিংবা মাল্টা– এই লেবুজাতীয় ফলের চাহিদা অনেক বেশি। আগে এসব ফলের বড় অংশ আসত বিদেশ থেকে। রসালো আর পুষ্টিকর এ ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। উৎপাদন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে কৃষকের আয়। এই পরিবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্প। প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৯ সালে। উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় আবহাওয়ায় মানানসই উন্নত জাতের লেবুজাতীয় ফলের চাষ বাড়ানো, আমদানি-নির্ভরতা কমানো এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল আরও বড় লক্ষ্য– কৃষিকে বহুমুখীকরণ, বিকল্প ফসলের মাধ্যমে কৃষকের আয়ের পথ বাড়ানো এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টির সুযোগ তৈরি।  দেশের ৩০ জেলার ১২৩ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ বছর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে ফলদ বাগান বিস্তারে দৃশ্যমান সাফল্য এনে...
    বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক ফলবাগানের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। দেশি-বিদেশি উচ্চমূল্যের ফল ফসলের আবাদ বিস্তৃত হচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তারা কৃষিতে আসার ফলে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগও দ্রুতগতিতে বাড়ছে।  বর্তমানে সীমিত পরিসরে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এর ব্যাপক প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। অধিকতর লাভজনক বাণিজ্যিক বাগান গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই প্রেক্ষাপটে স্মার্ট গার্ডেন, ড্রিপ ইরিগেশন, মালচিং ফিল্ম, ড্রোন, সেন্সর প্রযুক্তি এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থার সমন্বয়ে রূপ নিচ্ছে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা। স্মার্ট গার্ডেন হলো এমন এক আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বাগান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, যেখানে স্বয়ংক্রিয় ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উন্নতমানের ফসল উৎপাদন করা হয়। এখানে তাপমাত্রা, আলো, আর্দ্রতা এবং মাটির গুণাগুণ সেন্সরের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে উৎপাদন ব্যয় কমায় এবং ফলনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।  ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি মাটিতে সুনির্দিষ্ট পরিমাণে পানি...
    চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলে ধান চাষে মানুষ আগ্রহ ফিরে পাচ্ছেন। ফলে বাড়ছে পতিত জমির ব্যবহার। ভালো দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ বেড়েছে প্রায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে। সহনীয় দামে সার-কীটনাশক পেলে অনেকেই ধানের আবাদে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চল। এ অঞ্চলের মধ্যে চাষাবাদ ও ধান উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয় নোয়াখালীতে। তবে গত কয়েক বছর ধরে পুরো অঞ্চলেই বাড়ছে ধানের আবাদ। গত মৌসুমে এ অঞ্চলের ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। চাল পাওয়া যায় ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯৩ টন। চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৮ হেক্টর জমির ধান থেকে চাল উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৬ টন। গত মৌসুমের তুলনায় চালের উৎপাদন বেড়েছে...
    বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কৃষি। এই খাত খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অধিকাংশ ক্ষুদ্র কৃষক উৎপাদনশীলতার অভাব, আধুনিক প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, দুর্বল বাজার সংযোগ ও আর্থিক সংকটের মতো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এসব সমস্যা দূর না হলে কৃষি খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। সমাধান হিসেবে ব্যবসায়িক কৃষি কাজে লাগতে পারে, যেখানে কৃষিকে শুধু জীবনধারণের উপায় নয়, বরং লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হয়। উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক চাষাবাদ, প্রশিক্ষণ, বাজার সংযোগ এবং সহজ ঋণের সুযোগ পেলে ক্ষুদ্র কৃষকরা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও কৃষিকে লাভজনক করতে পারবেন। তাদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কৃষকরা নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। প্রচলিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ঋণগ্রহীতা মনে করে। ফলে সহজ শর্তে ঋণ পেতে ব্যর্থ হন। কৃষিঋণের সুদের হার তুলনামূলক বেশি...
    সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বিদেশফেরত এক ব্যক্তি। জেলায় মসলাজাতীয় ফসল চুইঝালের সফল বাণিজ্যিক চাষ এটিই প্রথম। এই সফলতায় বর্তমানে এলাকার কৃষক, তরুণ ও যুবকেরা চুইঝাল চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলীর বড় ছেলে। প্রায় এক যুগ সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে গ্রামে ফিরে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।সম্প্রতি এক দুপুরে শাহ আলমের চুইঝালের খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে ফসল উত্তোলন করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে সমূলে চুইঝাল গাছগুলো তুলে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা গিয়ে এসব চুইঝাল কিনে নিচ্ছেন।জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশে থাকা অবস্থাতেই ইউটিউবে খুলনা এলাকায় চুইঝাল...
      একসময় কুষ্টিয়ার মাঠ ছিল ধান, গম, ভুট্টা আর নানা সবজির সবুজে ছাওয়া। এখন সে জমিগুলোতে সারি সারি তামাক গাছ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোনো নতুন সবুজ বিপ্লব। কিন্তু এই ‘সবুজ’ যেন এক বিষাক্ত আশ্রয়। জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা, খোকসা ও কুমারখালী উপজেলায় বাড়ছে তামাক চাষ। অর্থনৈতিক লাভের আশায় কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকছেন এই ফসলের দিকে। বিকল্প খাদ্য ফসল উৎপাদন ও বিপণন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই ও পুষ্টিকর ফসল চাষে তামাক চাষিদের উৎসাহিত করতে বিশ্বজুড়ে তামাক মুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে আজ। ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’– এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। তামাক উৎপাদনে কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচনও এবারের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের একটি অন্যতম লক্ষ্য।  তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভন, আগাম টাকা, কৃষি উপকরণ এবং নিয়মিত ‘সাপোর্ট’...
    নওগাঁয় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে আমের উৎপাদন। এ অঞ্চলে পানির সংকট থাকায় অন্যান্য ফসল চাষাবাদ ছেড়ে আম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এছাড়া, এ জেলায় আমের ফলনও ভালো হয়।  চাষি ও কৃষি বিভাগের দাবি, চলতি মৌসুমেও আম উৎপদনে শীর্ষে থাকবে নওগাঁ জেলা। গত বছরের চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেড়ে এ বছর নওগাঁয় আম চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। আম উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার আম বেচা-কেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  নওগাঁয় আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন। নির্ধারিত তারিখের আগে আম পরিপক্ব হলে তা সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সনদ নিতে হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁয় আম্রপালি আমের চাষ সবচেয়ে বেশি...
    কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‍‍“বিদেশে বাংলাদেশের আমের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আম রপ্তানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে।” বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আম রপ্তানি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে প্রকল্পের মাধ্যমে আম উৎপাদন করা হচ্ছে। আম চাষিদের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হবে। স্বল্প মূল্যে হর্টিকালচার সেন্টার হতে কৃষকরা উন্নত জাতের আমের চারা পাবেন।” প্রণোদনার মাধ্যমে হর্টিকালচার সেন্টারে আমের চারা উৎপাদন বাড়াতে উপদেষ্টা নির্দেশ দেন। আরো পড়ুন: ভারতের নিষেধাজ্ঞা: আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কমবে ৩০ শতাংশ জুলাই-মার্চ মেয়াদে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১০.৮৪% বেড়েছে...
    প্রতিবছরই উত্তাপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রের উচ্চতা। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মিঠাপানির এলাকা লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। খালেও পানি নেই। অর্ধেকের বেশি খাল ভরাট হয়ে গেছে। এসবের প্রভাব পড়ছে কৃষিজমিতে। প্রতি মৌসুমে অনাবাদি থাকছে ৯ হাজার হেক্টর জমি। টাকার অঙ্কে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ চিত্র সাগর উপকূলীয় বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায়। খাল ভরাটের কারণে পানির অভাবে সেচ দেওয়া যায় না ফসলি জমিতে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, অতি তাপমাত্রায় পানির প্রবাহ কমে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় পটুয়াখালীর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশিক এলাহি বলছেন, ধান চাষে লবণ সহনশীলতার মাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিএস/এম পর্যন্ত। বোরো এবং সবজি চাষে লবণ সহনশীলতার মাত্রা দশমিক ৭৫ থেকে ১ পর্যন্ত। তালতলীর বেশির ভাগ খালবিল...
    লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার খরস্রোতা ভুলুয়া নদী, এখন মৃত প্রায়। নাব্য সংকট ও অবৈধ দখল আর প্রভাবশালীদের বাঁধের কারণে পলি জমে কমে গেছে নদীর প্রশস্ততা।  ২০২৪ এর ভয়াবহ বন্যার প্রধান কারণ ছিল এই নদীটি। এখন বর্ষার মৌসুম চলে আসায় আবারও বন্যার আতঙ্কে ভুলুয়া নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। অপরদিকে দীর্ঘ বছর ধরে খনন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি শুকিয়ে যায়। এতে চাষাবাদও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নোয়াখালীর সূবর্ণচর ও বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার ওপর দিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে খরস্রোতা ভুলুয়া নদী। এ নদীর দৈর্ঘ্য ছিল ৭৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ছিল ৫০০ মিটার। দখল, অবৈধ বাঁধ নির্মাণ আর পলি জমে নদীর প্রস্থ এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮৫ মিটারে। নদীটি খনন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে হেঁটেই পার...
    আশির দশকের কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদন থেকে শুরু করে সবকিছুতে কৃষক ছিল প্রায় স্বনির্ভর। গৃহস্থের বাড়িতে নতুন ধান আসার পরে মাড়াই শেষে হৃষ্ট, পুষ্ট দানা দেখে বীজ সংগ্রহ করা হতো। বিভিন্ন সিজনে বিভিন্নরকম ধান উঠতো। প্রত্যেক সিজনে ভালো ধান থেকে বীজ আলাদা করে, শুকিয়ে পরিষ্কার মাটির পাতিলে সংরক্ষণ করা হতো। পরবর্তী বীজ রোপণ করা পর্যন্ত একজন নারী দক্ষতার সঙ্গে বীজ সংরক্ষণের কাজটি করতেন। তবে পুরুষেরা এই কাজে একজন নির্দেশক হিসেবে কাজ করতেন। বীজ বা ধান সংরক্ষণের জন্য আলাদা ঘর থাকতো। ধান রাখার ঘরকে বলা হতো গোলাঘর। মাচা তৈরি করে বাঁশের ডোল বা বেঁড়ি অথবা মাটির মটকাতেও বীজ রাখা হতো। বীজ রেখে পাত্রের মুখটা পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে আটকে রাখা হতো। যাতে ময়লা বা পোকামাকড় না ঢোকে। একই প্রক্রিয়ায় তখন...
    চলতি মে মাসেই বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া। তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বাংলাদেশ থেকে চীনে কৃষিপণ্য, বিশেষ করে আম রপ্তানির বিষয়ে সরকার জোরালোভাবে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে আম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। আমের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আমের পাশাপাশি কাঁঠালসহ অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য সরকার কাজ করছে।   বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন কৃষি সচিব।  তিনি বলেছেন, কৃষি উৎপাদনকে টেকসই ও যুগোপযোগী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত সবার জন্য...
    ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো এবং নিরাপদ পানির সংকট এড়াতে ব্যক্তি পর্যায় থেকে পানির অপব্যবহার বন্ধের চর্চা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যেসব ফসল উৎপাদনে পানি কম প্রয়োজন, সেসব শস্যের বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য দরকার সুশাসন। এএলআরডি, বেলা ও পানি অধিকার ফোরামের উদ্যোগে গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভূগর্ভস্থ পানির সংকট: কৃষি ও পরিবেশের ওপর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।  মূল প্রবন্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. সারোয়ার জাহান বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ পানীয় জল এবং ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে। উপকূলীয় অঞ্চলের ৫৩% এলাকায় লবণাক্ততা বেড়ে গেছে, যা কৃষিজমি ও ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।  রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন...
    আসন্ন জাতীয় বাজেটের মূল লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘কৃষি-শিল্প-পাট-সুন্দরবন ও প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায়’ পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে কৃষি-শিল্প-পাট ও পরিবেশ রক্ষায় নাগরিক কমিটি।  বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুতপা বেদজ্ঞ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে কৃষিখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং টেকসই কৃষির উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।  আরো পড়ুন: করমজলে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৫ বাচ্চার জন্ম সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ‘শিল্প বা প্রকল্প নয়’ কৃষিখাতে নিম্নলিখিত দাবি ও প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে- ১. কমিউনিটি সিড ব্যাংক...
    দূর থেকে মনে হচ্ছিল সূর্যমুখী ফুলের সমুদ্র। বিশাল এলাকাজুড়ে হাসিমুখে ফুটে থাকা সূর্যমুখী ফুলের রাজ্য হঠাৎ তৈরি হয়নি। লবণাক্ততার কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার এই জমিতে বছর দুয়েক আগেও আমন ধান ছাড়া আর কিছু ফলানোর কথা ভাবতে পারতেন না কৃষক। আমন ধান কাটার পর মাসের পর মাস খালি পড়ে থাকত কয়েক হাজার বিঘা কৃষিজমি। সেখানেই এখন সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর ও ব্র্যাক অ্যাডাপটেশন ক্লিনিক থেকে জানা গেছে, এখানে লবণসহিষ্ণু সূর্যমূখীর জাত হাইসান-৩৩ চাষ হয়েছে পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে। কৃষকরা চলতি মৌসুমে উৎপাদন করেছেন ১ হাজার ৮০০ টন সূর্যমুখী, যা থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার লিটার তেল উৎপাদন করা সম্ভব, যার স্থানীয় বাজারমূল্য ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কৃষকরা সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করেন; পাশাপাশি নিজেরাও তেল ভাঙিয়ে স্থানীয় বাজারে ২৫০...
    উষ্ণতা ও খরার কারণে ধীরে ধীরে বিশ্বে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুকনো আবহাওয়া বৈশ্বিক ফসল উৎপাদনের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে গম, যব ও ভুট্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ শস্যের বেলায়। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ। সেখানে বলা হয়েছে, প্রায় প্রতিটি বড় কৃষি অঞ্চলে ৫০ বছর আগে যে তাপ ও শুষ্কতা ছিল, বর্তমানে এসব অঞ্চলে তাপ ও শুষ্কতা সে সময়ের চেয়ে বেশি। এসব পরিবর্তন নীরবে গোটা বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে, ফলে কমে যাচ্ছে উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ। স্ট্যানফোর্ডের খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশবিষয়ক কেন্দ্রের পরিচালক ডেভিড লোবেলের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণায় উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তন না...
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য উদ্ধৃত করিয়া সোমবার সমকাল জানাইয়াছে, ২০১৯-২০ অর্থবৎসরে উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ২৬ সহস্রাধিক হেক্টর, যাহা ২০২৫ সালে দাঁড়াইয়াছে ২৩ সহস্র হেক্টর অপেক্ষা কিছু বেশি। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ বৎসরে নাসিরনগর উপজেলায় আবাদযোগ্য জমি হ্রাস পাইয়াছে প্রায় তিন সহস্র হেক্টর। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ ইহার সরাসরি ফল হইবে কৃষি উৎপাদন হ্রাস এবং প্রধান খাদ্যশস্য চাউলসহ প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের জন্য বিদেশমুখাপেক্ষিতা বৃদ্ধি। এক কথায় জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ইহা এক প্রকার অশনিসংকেত বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। প্রসঙ্গত, কৃষিজমি হ্রাসের সমস্যা নাসিরনগরেই সীমাবদ্ধ নহে। সমগ্র দেশেই বিবিধ কারণে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাইতেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের কৃষি শুমারি-২০১৯ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হইয়াছে, প্রতিবৎসর দেশে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাইতেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হারে। উক্ত শুমারিমতে, ২০০৮...
    চলনবিলের পাঁচ বিঘা জমিতে এবার বাঙ্গি চাষ করেছেন মোবারক হোসেন। গত মৌসুমে যে দামে বিক্রি করেছেন, এবার তাঁকে বিক্রি করতে হচ্ছে চার ভাগের এক ভাগ দামে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা এলাকার এই বাসিন্দার ভাষ্য, ক্ষুদ্র মৌসুমি বিক্রেতাদের কাছে তাদের প্রতি বাঙ্গি বিক্রি করতে হচ্ছে ২-৩ টাকায়।  একই অবস্থা চলনবিলের চারপাশের জমিতে বাঙ্গি চাষ করা সব কৃষকের। দেশের বৃহত্তম এই বিলের জমিতে বাঙ্গি চাষ করেন নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও পাবনার চাটমোহরের কয়েক হাজার কৃষক। তাদের অধিকাংশই রসুনের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করেন। সব মিলিয়ে এই চাষ হয় ১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে গুরুদাসপুরেই জমির পরিমাণ প্রায় ৮০০ হেক্টর, তাড়াশে প্রায় ২৫০ হেক্টর।  সিংড়ার বিয়াস এলাকার মো. হযরত আলীর ভাষ্য, চলনবিল এলাকার প্রায় অর্ধেক রসুন...
    গত ৩ যুগে ওসমানীনগরের কালাসারা হাওরের কৃষির চিত্র বদলে গেছে। অপরিকল্পিত আবাসনে নষ্ট হচ্ছে কৃষিজমি। এতে করে অর্ধলক্ষাধিক মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে। ওসমানীনগরের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারের পূর্বে কালাসারা হাওর। এক সময় ওই হাওরজুড়ে ফসলি জমি ছাড়া কিছুই চোখে পড়ত না। পরিবেশ বদলে পরিবর্তন হয়ে গেছে সেই দৃশ্য। গোটা এলাকা পরিণত হয়েছে আবাসিক এলাকায়। যেভাবে কৃষিজমি ভরাট করে বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে আগামী একযুগ পর হাওর এলাকায় কৃষিজমি খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। শুধু এই হাওর নয়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। কৃষিজমির অবাধ ব্যবহারের কারণে ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসছে কৃষির পরিধি, হ্রাস পাচ্ছে কৃষির উৎপাদন। ধানের উন্নত জাত আবিষ্কার না হলে অনেক আগেই খাদ্য ঘাটতি দেখা দিত। এভাবে কৃষিজমি কমতে থাকলে...
    ধূমপান বিষপান– এই স্লোগানের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। তার পরও তামাক চাষ আমাদের দেশে একটি অর্থকরী ফসলের মর্যাদা পাচ্ছে। ফলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। তামাক চাষের মাধ্যমে আমাদের কৃষক অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা লাভবান হলেও এটি যেভাবে পরিবেশ, জলবায়ু, কৃষি, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করছেম তা প্রাপ্ত অর্থনৈতিক মূল্যের সঙ্গে মেলালে দেখা যায় যে, আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি।  ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কৃষি বিপণন আইন প্রণয়ন করে। সেই আইনের তপশিলে বিভিন্ন ধরনের শস্যকে অর্থকরী ফসলের মর্যাদা দেওয়া হয়। সেখানে ক্ষতিকারক পণ্য তামাকও অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এ পণ্যের আইনগত বৈধতা দেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার তামাকবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করা একটি দেশ। তামাকবিরোধী এই আন্তর্জাতিক সনদের প্রধান লক্ষ্য স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন পণ্যের ব্যবহার বন্ধ বা...
    বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও সমাজসেবায় নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। কৃষি, শিক্ষা, উদ্যোক্তা তৈরি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ ছয়টি খাতে ব্যাংকটির বিভিন্ন উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এতে দেশের হাওর অঞ্চলের কৃষকদের আয় বেড়েছে। উন্নত হয়েছে খাদ্যাভ্যাস। খবর বিজ্ঞপ্তিস্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আমাদের সামাজিক উদ্যোগগুলো মূল কার্যক্রমের অতিরিক্ত কিছু নয়; এটি আমাদের পরিচয় এবং আমরা কীভাবে আমাদের সমাজকে সেবা করি, তার অন্যতম মূল বিষয়। আমরা সমাজে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করতে উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষার্থীদের বিকাশে সহযোগিতা, পরিবেশ রক্ষা, কৃষিকে শক্তিশালী করা, উদ্ভাবনে সহায়তা ও প্রয়োজনের সময় সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়—এসব খাতে বিনিয়োগ করছি।’ প্রকল্পের মূল দিককৃষি: দেশের ২৩টি জেলায় ১১টি কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এর...
    বাউবির বিএজিএড প্রোগ্রামের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টার পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ সিমেস্টার পরীক্ষা ২৩ মে শুরু হবে। পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৮ জুলাই। চতুর্থ সিমেস্টার পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৯ জুলাই। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।প্রকাশিত রুটিনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার তত্ত্বীয় অংশ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ব্যবহারিক অংশ চলবে বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। প্রথম দিন দ্বিতীয় সেমিস্টারের মাঠ ফসল উৎপাদনের কৌশল (তত্ত্বীয়), মাঠ ফসল উৎপাদনের কৌশল (ব্যবহারিক) ও ষষ্ঠ সিমেস্টারের শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন চতুর্থ সিমেস্টারের কোনো পরীক্ষা নেই।
    রায়পুর উপজেলার মেঘনার বুকে জেগে ওঠা চরটির নাম কানিবগা চর। চরের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ৮০৯ একর। চলতি মৌসুমে চরের ৪ হাজার একর জমিতে সয়াবিন (তেল জাতীয় ফসল) চাষ করেছেন ২৫৪ জন কৃষক, যারা দখল সূত্রে ও অসিয়তমূলে মালিক। চরে প্রতি বছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদিত হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চরের মালিকানা নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। নতুন করে জমির মালিকানা দাবি করেছেন আরও ১৫০ জন; যাদের অধিকাংশই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। কৃষকরা জানান, ইতোমধ্যে চর দখলের লড়াইয়ে নেমেছে বিএনপির স্থানীয় দুটি গ্রুপ। তারা হামলা-পাল্টা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সয়াবিন লুটে জড়িত বলে তাদের অভিযোগ। চর দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৭ এপ্রিল দুই পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ও আহত...
    খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, কৃষকরা যাতে তাদের আবাদকৃত ফসলের ন্যায্য দাম পায় সে ব্যাপারে সরকার খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করছে। বর্তমানে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে এলেও কৃষকদেরও ন্যায্য দাম পেতে হবে। কারণ, কৃষকরা ন্যায্য দাম পেলে তারা শষ্য উৎপাদনে আরও উৎসাহি হবে। তাই সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। শনিবার (৩ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সিএসডি এলাকায় সাইলো’র নির্মাধিন খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  নারায়ণগঞ্জের খাদ্য গুদামগুলোর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নির্মাণাধীন সাইলো গুদাম পরিদর্শন, কাজের অগ্রগতি যাতে তরান্বিত যাতে করা যায় সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদেরকে পরামর্শ ও উপদেশ দেয়া হয়েছে। মোটামুটিভাবে আমাদের সাইলো গুদামের নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে। আমরা সহসাই এটার মধ্যে মালামাল রাখতে পারবো।...
    দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে সাইফুল শেখের খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। কিন্তু বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ৫৮ হাজার টাকা। কষ্টের ফসলের দাম না পেয়ে ঋণ শোধের চিন্তায় ২৬ মার্চ মেহেরপুরের মুজিবনগরে সাইফুল শেখ (৫৫) পেঁয়াজ খেতেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে জানান তাঁর মেয়ে রোজেফা খাতুন। এর ঠিক ১৮ দিন পর ১৪ এপ্রিল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মাঝপাড়া বাউসা গ্রামের কৃষক মীর রুহুল আমিন (৭০) পেঁয়াজ চাষের লোকসান ও ঋণের ভারে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। দুই রেললাইনের মাঝখানে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রেন আসামাত্রই লাইনে শুয়ে পড়েন। এ আত্মহত্যার ভিডিও ভাইরাল হয়। সাইফুল শেখ ও রুহুল আমিনের এই ঋণ-কিস্তির কারণে মৃত্যুতে আসলে আমাদের দেশের কৃষকের অনেকাংশের চিত্র ফুটে ওঠে। এ রকম ঘটনা প্রায়ই কোথাও না কোথাও...
    মাথার ওপর কড়া রোদ। হাওরজুড়ে এলোমেলো তপ্ত হাওয়া। নতুন সোনালী পাকা ধানের গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। গনগনে এই রোদের মধ্যেই কিশোরগঞ্জের হাওরগুলোতে চলছে অন্যরকম উৎসব। সেখানে কৃষকরা ধান কাটা, শুকানো ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। শুধু কৃষকরা নন, তাদের সহযোগিতা করছে পরিবারের সদস্যরাও। সামর্থ্যবান কৃষকরা এই কাজে শ্রমিকদের ভাড়া করেছেন। ধান কাটার কাজে ব্যবহার হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার। কিশোরগঞ্জে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি করেছে কৃষি বিভাগ। তাদের পরামর্শ ৮০ ভাগ পাকলেই যেন কেটে ফেলা হয় সব ধান। কৃষকরা বলছে, দীর্ঘ খরা না থাকলে ফলন আরো বেশি হতো। লাভ তো দূরে খরচের টাকা উঠবে কিনা সেটা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছেন তারা। কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম ১১০০ টাকা মণ ছিল। বর্তমানে পাকা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৩০ থেকে ৯৫০...
    কক্সবাজারের চকরিয়া ও রামু উপজেলার নদীঘেঁষা অঞ্চলে যেভাবে তামাক চাষ অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিছক কোনো আঞ্চলিক সংকট নয়; এ এক ভয়াবহ জাতীয় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও সচেতনতামূলক প্রচেষ্টার অস্তিত্ব থাকলেও তা মাঠে কার্যত নিষ্প্রভ; তামাক কোম্পানির লোভনীয় প্রতিশ্রুতি আর কৃষকদের আর্থিক অনিশ্চয়তার কাছে তা পরাভূত। মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর চরভূমি, বনাঞ্চল ও কৃষিজমি ধীরে ধীরে তামাকের দখলে চলে যাচ্ছে। এই অশনিপ্রবণতা কেবল কৃষকের জীবিকা নয়, পরিবেশের সাম্য, জনস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের টিকে থাকার সম্ভাবনাকেও চরম ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নে গোলাপ চাষের ব্যর্থতা আর তামাকের ক্ষণস্থায়ী লাভের মোহ এই সংকটকে আরও গাঢ় করেছে। অথচ এই সাময়িক আর্থিক সুবিধার আবরণে লুকিয়ে আছে মাটির উর্বরতার অবলুপ্তি, নদীর দূষণ, মানবদেহে মরণব্যাধির অনুপ্রবেশসহ নানা ক্ষতি। নদীতটে তামাকের আগ্রাসী চাষ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে...
    সম্প্রতি যশোর ও ঝিনাইদহের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্র আর প্রান্তের মধ্যে চিন্তার ব্যবধানটা চোখে পড়েছে। ঢাকায় কান পাতলেই সংস্কার, নির্বাচন, সংবিধান সভা, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য—এ রকম শব্দ কানে আসে। গ্রামে রাজনীতি নিয়ে যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের একটাই প্রশ্ন, নির্বাচন কি হবে, কবে হবে? তবে বেশির ভাগেরই মূল চিন্তা ফসলের দাম নিয়ে। আবহাওয়া এবার ফসলের অনুকূলে। পেঁয়াজ, শীতের সবজি, আলু—তিন ফসলে সাধ্যের চেয়ে বেশি ফলন ফলিয়েছেন কৃষক। কিন্তু তার পুরস্কারটা এতটা কঠোর হবে, তা কি কল্পনা করতে পেরেছিলেন কেউ? লাভ (যদিও এখানে শুভংকরের ফাঁকি আছে। কেননা, কৃষকের শ্রমের দাম এখানে যুক্ত হয় না) তো দূরে থাক, ফসল ফলানোর যে দাম, তা–ই ওঠাতে পারেননি বেশির ভাগ কৃষক।কয়েক দিন আগে রাজশাহীর আড়ানী রেলস্টেশনে মীর রুহুল আমিন নামের ৭০...
    এ বছর প্রায় ৫০ দশমিক ৪৫ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এই তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। ২০০৫ সালে বোরো ধান আবাদের আওতায় জমি ছিল ৪০ দশমিক ৬৪ লাখ হেক্টর। ২০১০ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ দশমিক ৭৮ লাখ হেক্টর, ২০২০ সালে ৪৮ দশমিক ১৫ লাখ হেক্টর, ২০২৩ সালে ৪৮ দশমিক ৫ লাখ হেক্টর। বাংলাদেশে পরিসংখ্যানগত বিভ্রান্তি ও দুর্বল ‘ডেটা ইনটিগ্রিটি’ প্রবল। তাই বোরো ধান আবাদের আওতায় জমির পরিমাণ ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধির এই তথ্য নিয়ে সন্দেহ করার কারণ আছে। অস্থির চালের বাজারের অস্থির সময়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিবিএস, ডিএইয়ের মধ্যে তথ্যবিতর্ক পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে বোরো ধান আবাদের আওতায় জমির পরিমাণকে তথ্য-উপাত্ত ও বাস্তবতার নিরিখে চ্যালেঞ্জ করে এই লেখা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে আবাদি জমি ছিল ৮১...
    কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের কার্যালয়ে ঢুকলে চোখে পড়ে দেয়ালে টাঙানো একটি মানচিত্র। ধান-পেঁয়াজ, আঙুর, বাদামসহ বিভিন্ন শস্যদানা দিয়ে তৈরি হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলার মানচিত্রটি। মানচিত্রে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নকে শস্যচিত্রে ভরিয়ে রাখা হলেও সেখানে লবণের ঠাঁই হয়নি। যদিও উপজেলার ৬ হাজার ৭৬৮ একরজুড়ে এখন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলার আলী আকবরডেইল, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও লেমশীখালী ইউনিয়নের অন্তত ৩ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। অবশিষ্ট জমি খালি পড়ে আছে। উপজেলায় কৃষিজমির পরিমাণ ১১ হাজার ১১৫ একর। চাষির সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০০।কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর উপজেলার প্রায় ১১ হাজার একর জমিতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২০ হাজার ৩৮৩ মেট্রিক টন। চাহিদা ছিল ২১ হাজার ১১৫ মেট্রিক টন। ঘাটতির পরিমাণ ১ হাজার ২৯৮ মেট্রিক টন। উপজেলার লোকসংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার।...
    ‘আমার আব্বা এনজিও এবং সারের দোকান থেকে ঋণ নিয়া পেঁয়াজ চাষ করছিল। দুই বিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ হইছে দেড় লাখ টাকা। কিন্তু বিক্রি করে পাইছে মাত্র ৫৮ হাজার টাকা। ঋণ শোধের চিন্তায় আব্বা পেঁয়াজ ক্ষেতেই বিষপানে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো। আব্বা পেঁয়াজ বিক্রি করছিল ৬০০ টাকা মণ। অথচ এহন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অয় ২ হাজার টাকায়। কারণ এহন কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ নাই। আমার আব্বার মতো কৃষকরা যদি এভাবে ঠইকা আত্মহত্যা করে, তাইলে দেশের মানুষের মুখে খাবার তুইলা দিব কারা?’ ঘাম ঝরানো কষ্টের ফসলের দাম না পেয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগরে কৃষক সাইফুল শেখ অত্মহত্যা করেন। তাঁর করুণ পরিণতির কথা কাঁদতে কাঁদতে তুলে ধরলেন মেয়ে রোজেফা খাতুন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ক্ষুদ্র কৃষকের...
    কাঠামোগত শোষণের শিকার হয়ে প্রান্তিক কৃষকেরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ শোষণ থেকে কৃষককে বাঁচাতে ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষিমূল্য কমিশন গঠন, ন্যায্য বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি, ঋণ ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ ও আমদানি নীতির সংস্কার প্রয়োজন।আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ক্ষুদ্র কৃষকের উৎপাদিত ফসলের মূল্য বঞ্চনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মেহেরপুরের প্রান্তিক কৃষক সাইফুল শেখের আত্মহত্যার ঘটনা সরেজমিন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।খাদ্যনিরাপত্তা নেটওয়ার্কের সভাপতি এম জয়নুল আবেদীন বলেন, কৃষক যখন তার ফসল বাজারে তোলে, তখনই দেখা যায় সে কৃষিপণ্যটি আমদানি করা হচ্ছে। ফলে, কৃষক তার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষককে মেরে ফেলে সস্তায় কৃষিপণ্য কেনার অধিকার কারও নেই। উৎপাদক ও ভোক্তা দুজনের কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত...
    রাজারহাটে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে গত পাঁচ বছরে উপজেলায় ৩৫১ হেক্টর ফসলি জমি কমেছে। এটি ফসল উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।  উপজেলা কৃষি ও পরিসংখ্যান দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৬৩টি গ্রামে ২০০৮ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৮১ হেক্টর। বর্তমানে সে জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৬৩ হেক্টরে। গত ৫ বছরে উপজেলায় ফসলি জমি কমেছে ৩৫১ হেক্টর। বেসরকারি হিসাবে, এ পরিমাণ আরও বেশি। জমি কমার কারণ– জনসংখ্যা বৃদ্ধি, যৌথ পরিবার ভেঙে নতুন ঘরবাড়ি তৈরি, অফিস ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ। এসব তথ্য কৃষি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয় বলে জানান উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এটিএম রিয়াসাদ। এসব তথ্য পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কেন ব্যবস্থা নেয়না তা নিয়ে...
    চৈত্রের দুপুরে খর রোদে যেন আরও শীর্ণ হয়েছে ফরিদপুর শহরের কুমার নদ। তাপ উঠে আসছে মাটি থেকেও। শহরের অম্বিকাপুরের আলো–হাওয়ায় পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের কলমে উঠে এসেছিল ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’–এর মতো সাহিত্যগাথা। ২ এপ্রিল দুপুরে প্রখর রোদের ভেতর গিয়ে দেখা গেল, পল্লিকবির বাড়ির কাছে অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুরে যেন আরেক ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ বানিয়েছেন কৃষক সাহিদা বেগম।সাহিদা মাঠজুড়ে ফলিয়েছেন ‘কালো সোনা’ বলে পরিচিত পেঁয়াজের দানা। কদমের মতো সাদা কেশরের ফুল ফুটে আছে সেখানে। মৌমাছি কমেছে বলে আশপাশে রয়েছে হলদে রঙের ‘হরপা’ নামের একধরনের ফুল গাছ। ওই দিন দুপুরে চড়া রোদে মাঠে ফসলের তদারক করছিলেন সাহিদা। তিনি ফরিদপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নত জাতের পেঁয়াজবীজ উৎপাদন করে পরিচিতি পেয়েছেন।সাহিদা বললেন, ‘পেঁয়াজের সাদা কদম শুকিয়ে গেলে ঝরে পড়ে কালো দানা কিংবা বা বীজ।...
    চাল উৎপাদনের ঘাটতি মেটাতে সরকার বেসরকারি খাতে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। চাল আমদানি উৎসাহিত করতে শুল্ক–করও তুলে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা যাতে চাল আমদানি করেন, সে জন্য চার দফা আমদানির অনুমতির সময় বাড়ানো হয়েছিল। তবে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা এবং সময়সীমা বাড়ানোর পরও অনুমতির ৬৮ শতাংশ চাল আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা।চাল আমদানির সময়সীমা পার হওয়ার পর বাজারে মোটা চালের দাম আবারও বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম ২ শতাংশ বেড়েছে। মোটা চালের দাম ৫০–৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০–৫৭ টাকায় উন্নীত হয়েছে।বোরো মৌসুমের নতুন ফসল বাজারজাত হওয়ার আগপর্যন্ত আমদানির সময়সীমা বাড়ানো দরকার ছিল। আবার একই সঙ্গে কৃষকেরা যাতে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।  খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা পরিচালক, সিপিডিযুক্তরাষ্ট্রের কৃষি...
    বন্যার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় চলছে ধান কাটার কাজ। ব্যস্ত হাতে মাঠের ফসল ঘরে তোলায় কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় বোরোচাষিরা। শ্রমিক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। ধান কাটা মৌসুমের শুরুতেই এবার বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে দ্রুত মাঠের কাজ শেষ করতে শ্রমিকের খোঁজ শুরু করেন কৃষকরা। তবে সংকটের কারণে হতাশ হতে হচ্ছে তাদের। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে ধান কাটা। হাওরে জমির ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সংকটের কারণে তা কাটতে পারছেন না কৃষকরা। যদিও কম্বাইন হারভেস্টারসহ স্থানীয় শ্রমিকের মাধ্যমে কিছু কিছু জমির ধান কেটে ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের কেউ কেউ। এরই মধ্যে আবার আগামী কয়েক দিন হবিগঞ্জসহ সিলেট বিভাগে ভারী বর্ষণ ও উজানের পানি নেমে আসার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এমনটা হলে তলিয়ে যেতে পারে হাওরের...
    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার বাসিন্দা। কয়েক দশক ধরে মরা পদ্মা নদী পারাপারে খেয়া নৌকাই ভরসা দৌলতদিয়া ও উজান চরবাসীর। ঝড়-বৃষ্টিসহ নানা কারণে মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকে খেয়া নৌকার চলাচল। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় চরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার সীমানাঘেঁষে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন। পদ্মাপারের বিস্তীর্ণ এ ইউনিয়নে নানা ধরনের ফসল উৎপাদনের আদর্শ অঞ্চল। পরিবহন সমস্যায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন কৃষক। এ ইউনিয়নের একটি গ্রাম দড়াপের ডাঙ্গী। মরা পদ্মা নদী পার হলেই স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবুও একটি সেতুর কারণে দড়াপের ডাঙ্গী গ্রামের অসংখ্য শিশু-কিশোরের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে ৭-৮ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। এখানে একটি সেতু...
    প্রতিষ্ঠিত গেরস্থ ও বড় চাষিদের বিস্তর ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদনের মূল কাজ করেন স্থানীয় বর্গাচাষিরা। অন্যান্য এলাকার চেয়ে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ফসল উৎপাদনের এ সংগ্রামটা অনেক বেশি কঠিন চাষিদের জন্য। জেলার হাওর অধ্যুষিত অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্গম এলাকাগুলোতে বোরো ফসল আবাদের জন্য ভিটেবাড়ি ছাড়তে হয় সেখানকার বর্গাচাষিদের। সেখানে তারা গড়ে তোলেন মৌসুমি বসতি। বর্ষায় হাওরের এসব অংশজুড়ে থাকে বিস্তীর্ণ জলরাশি। শুষ্ক মৌসুমে হাওরের পানি নেমে গেলে এর দুর্গম অংশে প্রতি মৌসুমে গড়ে তোলা হয় বর্গাচাষিদের অস্থায়ী বসতি। এসব বসতি কোথাও জিরাতি, আবার কোথাও খলাবাড়ি নামে পরিচিত। শত বছর আগে ফসল আবাদের তাগিদ থেকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাধীন মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের সীমানাবর্তী দেখার হাওরে গড়ে উঠেছিল প্রান্তিক চাষিদের প্রথম অস্থায়ী আবাস। সেখান থেকে হাওর অঞ্চলের চাষিদের ঐতিহ্যে পরিণত হয় খলাবাড়ি। বিশাল হাওরের মাঝখানে স্থাপন...
    উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় অধিক লাভে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় তরমুজ চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জেলার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে তরমুজের আবাদ। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে গত বছর জেলায় তরমুজের আবাদ হয় ৩১৫ হেক্টর জমিতে আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৬১৮ হেক্টর জমিতে। অল্প সময়ে বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এখন তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা। ফলন ভালো হওয়ায় দামেও বিক্রি করে খুশি কৃষকরা। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় অধিক লাভে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে তরমুজ চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলার...
    মেঘনার উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে উপযোগী আবহাওয়া ও মাটিতে এবার সয়াবিনের বাম্পার ফলন হওয়ায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ফলন আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।  জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, চাষের বিশেষ উপযোগী হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে সয়াবিন। যে কারণে এই জেলাকে ‘সয়াল্যান্ড’ বলে ডাকার প্রচলন রয়েছে। রবি মৌসুমে ব্যাপকভিত্তিক সয়াবিন চাষ করেন লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। কৃষি বিভাগও চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। আরো পড়ুন: হবিগঞ্জের পাহাড়ে সজনের ফলনে চাষিরা লাভবান  ব্যয় বেশি, তুলার দাম বাড়ানোর দাবি চাষিদের সরেজমিন দেখা যায়, মেঘনার বিশাল চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দেখা যায় সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায়, শুধু সয়াবিন আর সয়াবিন। মৃদূ হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সয়াবিনের সবুজের পাতা। কৃষকরা ব্যস্ত খেত...
    বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য। তাই কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মেরুদণ্ড বলা হয়। আমাদের সংবিধানে কৃষিবিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, জনগণের  স্বাস্থ্যের মান উন্নয়নকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কৃষি বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কৃষিকাজকে বাদ দিয়ে এ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে কৃষি খাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।  উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের জিডিপিতে কৃষি খাত অর্থাৎ ফসল, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শ্রমশক্তির প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মসংস্থান জোগান এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কাঁচামাল সরবরাহ করে। কৃষি সামাজিক কর্মকাণ্ডের এক বিশেষ ক্ষেত্র,...
    একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত আর দুষ্টচক্রের ফসলি জমির মাটি খুবলে নেওয়ায় কঠিন সংকটের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে প্রায় সর্বহারার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন হাওর অঞ্চলের কৃষকরা। এর মাঝেও লড়াই চালিয়ে গেছেন তারা। বোরো আর আমন উৎপাদনের লাগাতার সাফল্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জের কৃষি। বোরো ও আমন ধানের অন্যতম উৎপাদন স্থল হিসেবে পরিচিত জেলার ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার হাওরবেষ্টিত অংশে বসবাসকারী কৃষকরা ২০১৭ এবং ২০২২ সালের ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলা করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের অবস্থার উন্নয়নে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের কৃষি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এরইমধ্যে অনেকাংশে বদলে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ড এবং জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থাপনা। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার পর দেশের অন্যতম এ শস্য উৎপাদন ক্ষেত্র নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা ছিল। ওই...
    পতিত রেজিমে পেঁয়াজের দাম ভয়াবহভাবে বেড়েছিল। রাস্তাঘাটে মানুষ কত টিটকারি, টিকটক, ঠাট্টা করেছে। একদিন গলিতে দেখলাম কিছু উঠতি বয়সের ছেলেরা আঙুরের মতো করে একটা একটা করে পেঁয়াজ ঝুলিয়ে ভিডিও করছে। রাষ্ট্র পেঁয়াজের দাম কমাতে পারেনি। এমনকি পেঁয়াজ চাষ করে দেশবাসীর হাতে তুলে দেয়ার ক্ষমতাও রাষ্ট্রের ছিল না। পেঁয়াজ চাষ বা বাজারে বেচা বিক্রি করা রাষ্ট্রের কাজ না। কিন্তু কৃষকরা যেন সঠিকভাবে পেঁয়াজ চাষ করতে পারে সেই নিরাপত্তা বজায় রাখা রাষ্ট্রের কাজ। দেশবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পেঁয়াজ কিনতে পারে, কৃষক যাতে ন্যায্য দামে তা বিক্রি করতে পারে রাষ্ট্রের কাজ এই বাজার ঠিক রাখা। বিগত রেজিমের কর্তৃত্ববাদী বাজারের লাগাম টানতে পারেনি। বাজার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে নাকানিচুবানি চক্করের ভেতর রেখেছিল। বৈশ্বিক নিওলিবারেল ক্ষমতা মূলত এই বাজার ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার নিওলিবারেল বাহাদুরিকে তোয়াজ করে।...
    জাপানি ‘নিওহো’ জাতের স্ট্রবেরির সঙ্গে আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল জাতের স্ট্রবেরির সংকরায়ণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী এই জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জাপানি জাতটি খুবই ছোট কিন্তু সুগন্ধি ও মিষ্টি। আমেরিকান জাতটি আকারে বড় কিন্তু জাপানি জাতের মতো অতটা মিষ্টি নয়।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন ১০ বছরের চেষ্টায় এই নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। চারা উৎপাদন, নির্বাচন, ট্রায়াল চাষ, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে করতে তিনি ২০২৪ সালে এসে সফল হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাতটির নাম রেখেছেন ফ্রিডম-২৪।শীতপ্রধান দেশের আকর্ষণীয় ফল স্ট্রবেরির বাণিজ্যিক চাষ বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৭ সালে। নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এ দেশে স্ট্রবেরি চাষ একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে নিয়েছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষ চাষিরা সফলভাবে স্ট্রবেরি চাষ করছেন, যা উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে লাভজনক কৃষিতে...
    আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ছিল বেশি। চাহিদার বাড়তি আলু রপ্তানি হতো বিশ্বের ১৬টি দেশে। তিন বছর আগে দুই লাখ টন আলু রপ্তানির রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। আলু রপ্তানির এসব গল্প ধীরে ধীরে ইতিহাস হয়ে যায়। কারণ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাহিদা মেটাতে প্রথমবারের মতো ৯৮ হাজার ৭৩১ টন আলু আমদানি হয়। শুধু আলু নয়, কাঁচামরিচ, টমেটো, গাজর, পেঁয়াজ, সবজিসহ বেশ কিছু কৃষিপণ্য গত দেড় দশকে ধীরে ধীরে আমদানিনির্ভর হয়ে যায়। কমে রপ্তানি। তবে এবার আলুর এত বাম্পার ফলন হয়েছে যে, হিমাগারে রাখার জায়গা নেই। এতে কৃষক দুর্ভোগে পড়লেও ভোক্তা আছেন স্বস্তিতে। বাজারে আলুর দাম কমার কারণে বাড়ছে রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সাড়ে সাত মাসে ২৪ হাজার টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।...
    দেশে ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বাড়ছে, কৃষিজমি কমছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ফসলহানির বিষয়টি প্রায় নিয়মিত। উপরন্তু কৃষিপণ্যের বিরাট অংশ পচে যায় ও নষ্ট হয়। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব তো রয়েছেই। এতে অনেক ফসল আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে কৃষি খাতে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  সম্প্রতি সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি চাল, গম, ভোজ্যতেল, চিনি, ভুট্টা, ডাল, মসলা, ফলের মতো পণ্য আমদানিতে বিপুল ব্যয় হয়। আমরা কৃষি খাতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে আমদানি ব্যয়ের বড় একটি অংশ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আমরা লাভজনক কৃষির কথা মাথায় রেখে উচ্চমূল্যের ফসল আবাদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি।’ চাল উৎপাদন বাড়াতে...
    কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তেল ও ডাল জাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল ফসলের বীজ ও সার বিতরণের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি কার্যালয়। বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। অনু্ষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরে তিল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২০০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে এক...
    ফসলের জাকাত ‘উশর’ গরিবের পাওনা হক। এটি আদায় করা ফরজ ইবাদত। ‘উশর’ ফসল তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক আদায় করতে হয়, বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তিনি (আল্লাহ) এমন যে যিনি সৃজন করেছেন বাগান সুউচ্চ (মাচানে লতানো) ও অনুচ্চ (মাচানবিহীন) এবং খেজুরগাছ ও খেত; তার স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন আর জলপাই ও ডালিম, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য। তোমরা খাও তার ফল যখন ফল পরিপক্ব হয়; আর তার হক (উশর) প্রদান করো তা উত্তোলনের দিনে; আর (উশর প্রদান না করে) সীমা লঙ্ঘন করো না, নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৪১)রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জিনিসের জাকাত আছে, শরীরের জাকাত রোজা।’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৪৫) ভূমিতে উৎপাদিত শস্য তথা ফল-ফসলেরও জাকাত রয়েছে। উশর মানে হলো এক-দশমাংশ। প্রাকৃতিক পানি...
    এখন বৃষ্টির আশাজাগানিয়া মেঘের আনাগোনা নেই আকাশে। হাওরের জমিতে বোরো চাষে তাই সেচই ভরসা। এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। তীব্র সেচ সংকটের কারণে চলতি মৌসুমে ফসলহানির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বোরোর ক্ষেত্রে। কৃষকরা বলছেন, জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। মাঠেই ঝলসে যাচ্ছে কচি ধানের সবুজপাতা। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে আছে সেচের পানির জোগান দেওয়া উৎসগুলো। হাওরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে কৃত্রিম সেচ প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। বৃষ্টি বিলম্বিত হলে কপাল পুড়বে কৃষকের। খাদ্য সংকটের আশঙ্কাও বেড়ে যাবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশি জাতের ধান চাষাবাদে সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। তবে হাইব্রিড প্রজাতির উচ্চফলশীল ধান চাষের ক্ষেত্রে উৎপাদনের সাফল্য নির্ভরই করে পর্যাপ্ত সেচ সুবিধার ওপর। হাইব্রিড ধান চাষের ক্ষেত্রে জমিতে প্রচুর পরিমাণে পানির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয় বলেই সেচের ব্যাপারে কৃষক সচেতন থাকতে হয়...
    দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৫ শতাংশ বা ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। জিডিপিতে কৃষির সরাসরি অবদান ১১ শতাংশ হলেও প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও বাণিজ্য মিলে কৃষি অর্থনীতির অবদান ২৩ শতাংশ। অথচ নগরকেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি অবহেলিত। রপ্তানিমুখী শিল্পে যে রকম গুরুত্ব দেওয়া হয়, গ্রামীণ কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এর একটি কারণ হলো, দেশের রাজনীতিতে কৃষকের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, অংশীদারিত্বও নেই। দেশের রাজনীতি-অর্থনীতিতে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর এমন আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের জন্য কৃষি খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও নীতিনির্ধারকদের কাছে কৃষকের স্বার্থ প্রাধান্য পায় না। এমনকি রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেড় দশকের স্বৈরশাসনের অবসানের পরও না। দেশে কত রকমের সংস্কারের কথা হচ্ছে; কাজ করছে কত রকম কমিশন! কিন্তু কৃষি সংস্কারের...
    ফেনীতে আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় অধিকাংশ আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। ফসল নষ্ট হওয়ার পর জমি খালি পড়েছিল। এ সময় অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করার মতো সময়ও ছিল না। কৃষি বিভাগ চাষিদের পতিত জমিতে সরিষা চাষ করতে বলে। তারা সার ও বীজ দেয়। অনাবাদি সেই জমিতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাফর আহমদ। তিনি বলেন, ‘বন্যার পর চাষিরা ছিলেন দিশাহারা। কারণ আমন ফসলের ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পেরেছি আমরা।’ লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হক জানান, তিনি ৪২ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং গবাদি...
    চার সন্তান নিয়ে মুসলেমা বেগমের অভাবের সংসার। রাজমিস্ত্রি শ্রমিক স্বামীর একার আয়ে তিন বেলা সন্তানদের খাবার জোগান দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই অবস্থায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কেঁচো সার তৈরির কাজ শুরুর করেন মুসলেমা। এখন স্বামীর আয়ের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় কেঁচো সার উৎপাদন করে তাঁদের সংসারের অভাব দূর হয়েছে।মুসলেমা বেগম ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামের মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী। তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে এই দম্পতির। বড় ছেলে মো. আপন নবম শ্রেণি, মেয়ে ফারাহ জান্নাত পঞ্চম শ্রেণি ও আরাফাত হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে আশরাফুল ইসলামের বয়স চার বছর। খোকন মিয়ার ২০ শতক জমির ভিটে ছাড়া কোনো ফসলি জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা চাষের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি।মুসলেমার সংসারের অভাবের খবর জানতে পেরে...
    পাহাড়ের নারীরা আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন। তারা যেমন কর্মঠ তেমনি বিভিন্ন পেশা ও কর্মেও যুক্ত। ফসলের জমিতে কাজ করার পাশাপাশি আফিস ও আদালতেও তাদের সরব পদচারণা রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, হস্ত ও কুটির শিল্পে অবদান রেখে তারা পরিবারের অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখেছেন। মল্লিকা চাকমা থাকেন রাঙামাটির সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রামে। এই গ্রামে নেই গাড়ি চলাচলের কোনো ব্যবস্থা। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মূল সড়ক থেকে উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে ঘণ্টাখানেকের পায়ে হাঁটা দূরত্বে তার গ্রাম।  এই গ্রামে জমিতে মল্লিকা চাষ করেছেন বিলাতি ধনেপাতা। এই ধনেপাতা বিক্রি করে সংসারে আর্থিকভাবে কিছুটা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন তিনি। হাটের আগের দিন ধনেপাতা তুরংয়ে (বাঁশের ঝুঁড়ি) ভরে রাখেন। হাটের দিন ভোরে পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিতে হয় মল্লিকাকে। ধনেপাতা ভর্তি একেকটা তুরংয়ের ওজন ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত...
    রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং তাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চক্রের হাত ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় তাণ্ডব চালাচ্ছে মাটিখেকোরা। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করায় ফসলহানির শঙ্কা বাড়ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। শীতের শুরু থেকে বিভিন্ন হাওর, সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে শুরু হয়েছে মাটি লুটের উৎসব। এর মাঝে সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ার প্রবণতা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক্সক্যাভেটরের মাধ্যমে এসব জমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি ইটভাটা ও বসতভিটার জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কৃষিজমি নষ্টসহ জমির ফসল উৎপাদনের উপযোগিতা হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আর্থিকভাবে সামান্য লাভের আশায় মাটিখেকো চক্রের প্রলোভনে পড়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন অনেক কৃষক নিজেই। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাপকহারে...
    চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায়, সয়াবিনখেত। মৃদু হাওয়ায় দোল খাচ্ছে এর সবুজ পাতা। কৃষকেরা ব্যস্ত রয়েছেন খেত পরিচর্যায়। সম্প্রতি এই দৃশ্য দেখা গেল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া গ্রামে। ইউনিয়নটির প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষক করেছেন সয়াবিনের আবাদ।কেবল এ ইউনিয়ন নয়, লক্ষ্মীপুর জেলার অনেক এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে করা হচ্ছে সয়াবিনের চাষ। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশে মোট উৎপাদিত সয়াবিনের ৮০ শতাংশই মিলছে লক্ষ্মীপুর থেকে। আগে আমন মৌসুম শেষে অনাবাদি পড়ে থাকত ফসলি জমি। এসব জমিতেই সয়াবিনের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকেরা জানান, আগামী মে মাসের দিকে ফলন পাওয়া যাবে।লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে এর চেয়ে আরও ১ হাজার ৬৬০...
    মানবসভ্যতার ইতিহাসে আদি যুগ থেকেই পেঁয়াজের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, রান্নায় যার বিকল্প নেই। খাবার তৈরিতে পেঁয়াজের জুড়ি নেই। পেঁয়াজ সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয় না, বরং কুচি বা ফালি করে কাঁচা অবস্থায় সালাদ তৈরি অথবা রান্নায় উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ বিভিন্ন রকমের হতে পারে– ঝাঁঝালো, মিষ্টি, তিতা। বিশ্বে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রধান দেশ হচ্ছে চীন ও ভারত। তবে আমাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করা উত্তম। উর্বর বেলে-দোআঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য অতি উত্তম হয়। গ্রীষ্মে পেঁয়াজ চাষের জন্য উঁচু জমি দরকার, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে না। জমিতে সেচ ও পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।...
    বাংলাদেশের চরাঞ্চলের মাটি সাধারণত বেলে বা বেলে-দোঁয়াশ প্রকৃতির, যা পানির ধারণক্ষমতা ও জৈব পদার্থের পরিমাণ কম। পাশাপাশি, সেচের সমস্যা, আকস্মিক বন্যা, খরা ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে চরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদনশীলতা তুলনামূলক কম। তবে এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক। গবেষকরা নতুন তিন শস্যবিন্যাস পদ্ধতির মাধ্যমে একই জমিতে বছরজুড়ে তিন ধরনের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছেন। এতে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের জন্য লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর গুজিমারী এলাকায় এ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।  আরো পড়ুন: কাশিয়ানীতে ৫ মাসে ২৩ ট্রান্সফরমার চুরি, সেচ ব্যাহত   ‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’ গবেষণাটি ‘ফসলের উৎপাদনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরীক্ষণ এবং...
     ফসলের ভরপুর ফলনে আনন্দ আবেশের বদলে কখনও কখনও চাষির মন পোড়ে। এই যেমন এবারও দাম না পাওয়া সবজিচাষির চোখে জল দেখেছে দেশ। বাড়তি সবজি সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় প্রতিবছরই ভরা মৌসুমে কৃষক-হৃদয়ে কষ্ট জমে। দীর্ঘমেয়াদি সবজি সংরক্ষণে সরকারিভাবেও কোনো ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় চাষির আর পথ খোলা থাকে না। উপায় না দেখে পানির দরে সবজি বেচে মাঠ খালি করে কৃষককুল। চাষির বেদনার আকাশের মেঘ কাটতে যাচ্ছে অবশেষে। কৃষকের মুখে হাসি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চাষির ঘামে ভেজা খাটুনির সবজি শীতল থাকবে ফারমার্স মিনি কোল্ডস্টোরেজে। ‘কৃষকের শীতল ঘর’ নামে এই হিমাগার দেবে নতুন পথের দিশা। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা এস এম শহীদুল কবির লিপুর ২৫ বিঘা জমির পুরোটাই সমন্বিত খামার। এ মৌসুমে নানা পদের সবজি ফলিয়ে মাঠে মার...
    মৌসুমে সবজি উৎপাদন করে প্রতি বছরই মূল্য পাচ্ছে না কৃষক। পাশাপাশি সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। এতে বছরের পর বছর হাড়ভাঙা খাটুনির পরও মলিন থাকছে কৃষকের মুখ। তবে এই দিন বদলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফসল রক্ষা ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সাভারের রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টারের ‘কৃষকের শীতল ঘর’ নামে হিমাগার তৈরি করা হয়েছে। এতে স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছেন কৃষক। বুধবার কৃষকের এই মিনি কোল্ডস্টোরেজ কার্যক্রম ও খামারি অ্যাপের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, কৃষকের মিনি কোল্ডস্টোরেজ ও খামারি অ্যাপ কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।  কৃষি উপদেষ্টা বলেন, একটা সময় জনসংখ্যার চেয়ে কৃষি জমির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। এখন কৃষি জমি কমেছে, জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। এরপরও কৃষকরা ভালো উৎপাদনের মধ্যদিয়ে আমাদের একটি...
    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পাঞ্চল সাভারে বহুদিন ধরেই গার্মেন্টস সেক্টরের অস্থিরতা নিয়ে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এখন কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখানে শিল্প পুলিশ, থানা-পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, তবে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’ঢাকার সাভারের রাজালাখ এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারে কৃষকের শীতল ঘর-মিনি কোল্ড স্টোরেজ কার্যক্রম ও ‘খামারি’ অ্যাপসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন জনসংখ্যার চেয়ে কৃষিজমির পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু এখন কৃষিজমি...
    সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন রবি মৌসুমে চারদিকে নানান ফসলের সৌরভ এবং সৌন্দর্য উপভোগের জন্য মানুষ কৃষি জমিতে ভীড় করে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরিষা এবং সূর্যমুখী। সূর্যমুখী যেমন সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পুলকিত করে, ঠিক তেমনি ফুলের বীজ থেকে উৎপাদিত হয় উৎকৃষ্ট মানের তেল। খাবার তেলের চাহিদা মেটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এই মৌসুমে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে প্রায় ৩০ বিঘা। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৬ টন সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। সূর্যমুখীর বীজ পশুখাদ্যে ব্যবহৃত হয়, তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে সরিষার ঘানিতে সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল উৎপাদন করা যায়। সূর্যমুখীর বীজ চাহিদার তুলনায় বাজারে যোগান অপ্রতুল। আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষক। নবীনগর উপজেলার শিবপুর, লাউরফতেহপুর, শ্রীরামপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায়...
    দেশের চাহিদার ৮০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদ করে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর সম্ভাবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। পরমাণু শক্তির ব্যবহার করে বিনা উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল সরিষার নতুন জাত ‘বিনা সরিষা-১১’।  বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনা সরিষা-১১ জাতটির পডের (ফল দণ্ড) আকার দেশের অন্যান্য সরিষার জাতের তুলনায় অনেক বড়। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ জাতের সরিষা অধিক ফলন দেয়। মাত্র ৮০ দিনে কৃষক ক্ষেত থেকে ফসল সংগ্রহ করতে পারেন। বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে বিনা সরিষা-১১-এর সঙ্গে বারি সরিষা-১৪ এবং স্থানীয় একটি জাতের সরিষার...
    বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য ও অর্থকরী ফসল মিষ্টি আলু। পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু ভাতের বিকল্প হিসেবে শর্করার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে এ আলুর চাষ হয়। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘কে’ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ আছে। স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু উৎপাদনে ব্যয় বেশি হওয়া এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এ ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।  তবে, আশার কথা হলো, মিষ্টি আলুর উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকদের লাভবান করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন ‘বাউ মিষ্টি আলু-৫’। এটি স্থানীয় জাতের তুলনায় অধিক ফলনশীল ও লাভজনক। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আরিফ হাসান খানের নেতৃত্বে...
    সম্প্রতি আলুসহ সবজির দাম বেশি কমে যাওয়ায় ভোক্তা লাভবান হয়েছেন, কিন্তু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ কৃষি সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে জমিতে ফসল ফলান। সেই ফসল সারাদেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। কোনো কোনো ফসল দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য।  বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে কয়টি সেক্টর কাজ করছে তার মধ্যে কৃষি সেক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। খাদ্য সরবরাহ, আমিষের ঘাটতি পূরণ ও পুষ্টি চাহিদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কৃষক ও কৃষি সম্পদ। আমাদের কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এ খাতে পর্যাপ্ত বাজেট...
    কক্সবাজারের সাগর দ্বীপ কুতুবদিয়ার সব খানে এখন লবণ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। কিছু জমিতে চলছে বোরো চাষ। এর মধ্যে মাত্র ১৪ হেক্টর জমিতে ঝুঁকি নিয়ে তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ১৭ জন চাষি।বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপটির একসময় আয়তন ছিল ৯৯ দশমিক ১৩ বর্গকিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে এখন দ্বীপের আয়তন ২৭ বর্গকিলোমিটারে ঠেকেছে। পেশা হারিয়ে গত তিন দশকে দ্বীপ ছেড়েছেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। লবণ চাষের মহা ধুমধামের মধ্যে ১৭ জন চাষি ঝুঁকি নিয়ে তরমুজ চাষ করে ভাগ্যবদলের ঘটনা মানুষের নজর কাড়ছে। প্রেরণা জোগাচ্ছে উদ্যোগী কৃষাণী কুলসুমা বেগমের গল্প।  উপজেলার আলী আকবরডেইল ইউনিয়নের পুতিন্যারপাড়ায় কুলসুমার বাড়ি। সারা উপজেলায় লবণ চাষ হলেও সেখানকার ৫০০-৬০০ একর জমিতে ধানের চাষ হয়। কুলসুমার স্বামী মো. শাহাদাত কবির অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ...
    এই লেখার অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ সংগ্রামী ঐতিহ্য এখানকার উর্বর মাটি আর দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে নাগরিকদের নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার দুরন্ত সাহস।সেই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নেতৃত্বে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে সশস্ত্র আক্রমণ, ‘মায়ের ভাষা’ বাংলায় কথা বলার অধিকার আদায়ের নিমিত্তে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বরকত–সালাম–রফিক–জব্বারের জীবনদান, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লাখে লাখে ছাত্র–শিক্ষক–তরুণ–যুবক–নারী–শিশু–কৃষক–শ্রমিকের আত্মত্যাগ, নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহস্রাধিক তরুণ–তরুণীর প্রাণহানি আর নানা শ্রেণি–পেশার কয়েক হাজার মানুষের আহত হওয়ার বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন। বারবারই তরুণেরা অগ্রভাগে থেকে দেশের মুক্তিকামী মানুষদের সঙ্গে নিয়ে অসমশক্তির বিরুদ্ধে সাহসী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।যার সূত্রে আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের সার্বভৌমত্ব।জুলাই-আগস্ট ২০২৪–এর আন্দোলনের আলোচিত সেই ভিডিওর কথা কারও ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ‘গুলি করি, মরে...
    আমরা সুইডেনে বা ঢাকায় বসে যখন ‘সার্কুলার প্ল্যাটফর্ম’ কৃষকদের জন্য কী কী সুবিধা আনতে পারে, এমন বিষয়ে আলোচনা করছি, এমন একদিন একটি খবর পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল; ফুলকপির চাষিরা অতি অল্প মূল্যে ফুলকপি বিক্রি করে দিচ্ছেন, এমনকি ফুলকপি বিক্রি করতে না পেরে ফেলেও দিচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অনেক বেশি হয়ে গেছে। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলে অর্থনীতির সূত্র অনুযায়ী দাম কমে যায়; কিন্তু আমরা জানি যে আমাদের দেশে যুগে যুগে চাষিরা তাঁদের শস্যের দাম ঠিকমতো পাননি আর এখনো পাচ্ছেন না। এটা শুধু উৎপাদন বেশি হয়েছে বলে ঘটে না। তা ছাড়া যদি উৎপাদন বেশিই হয়, তাহলে আমাদের দরিদ্র কৃষকদের ঘরে খাবারের অভাব থাকে কেন? এখনো কেন আমরা খাদ্যনিরাপত্তা অর্জন করতে পারিনি? ইউরোপীয় কমিশনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো...
    এবার শীতের যেন কী হলো! মাঘ যায় যায়, তারপরও শীতের কাঁপুনি সেভাবে টের পেল না রাজধানীর মানুষ। উত্তরের কিছু এলাকায় শীতের ঝাপটা থাকলেও তা গতানুগতিক ধারার চেয়ে অনেক কম। জমিয়ে ফেলা ঠান্ডা এ মৌসুমে একেবারেই অনুপস্থিত। উল্টো দিনে ঘরের বাইরে গেলে রোদের তেজে পুড়ছে শরীর। শীতের ব্যাপ্তিও এসেছে কমে। প্রতিবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের চোটে দেশের মানুষ জবুথবু হলেও এবার তার ছিটেফোঁটাও নেই।  জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবেই আবহাওয়ার এই রং বদল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শীতের তীব্রতা ও বিস্তার কমার ফলে সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে কৃষি। ফসলের রোগবালাই বাড়ার পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা ব্যক্ত করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও ঋতুবৈচিত্র্যের কারণে কৃষি, উপকূলীয় অঞ্চল, পানিসম্পদ, বনাঞ্চল, মৎস্য, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাত বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। শীতের দাপট না থাকলে ফসলের ফুল...
    কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “কৃষি খাতের অগ্রগতি টিকিয়ে রাখতে গবেষণার বিকল্প নাই। গুণগত গবেষণা করে ফলাফল কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।” রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধন ও পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আরো পড়ুন: ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক  কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত: কৃষি উপদেষ্টা উপদেষ্টা বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প নেওয়ার সময় কৃষি জমি রক্ষার বিষয়ে ভাবতে হবে। কোনোভাবেই যেন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে কৃষি জমি নষ্ট না হয়।” উপদেষ্টা কৃষি খাতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, “স্বাধীনতার...
    পণ্যের ন্যায্য দাম না পেলে উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন কৃষক। কৃষিপণ্যের যৌক্তিক দাম নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কৃষকের ব্যবসায়িক দক্ষতা তৈরি করতে হবে, যেন তারা বুঝতে পারেন কোন ফসল কতটা চাষ করতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের (খানি) খাদ্য ও পুষ্টি অধিকারবিষয়ক প্রচারাভিযান প্রকল্পের বার্ষিক পরিকল্পনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। খানি সেক্রেটারিয়েট সংগঠন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (প্রান) আয়োজনে সভায় খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার উপায়, সুযোগ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া মহামারি-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকটসহ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে কীভাবে খাদ্য ও নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। খানির সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী বলেন, বাজারে যখন কোনো কিছুর দাম বেড়ে যায় আমরা সবাই উদগ্রীব হই। দাম কমে যখন কৃষককে তার উৎপাদিত...
    বোরো মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন কৃষক। তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী সারা পাচ্ছেন না, যাও পাচ্ছেন, সেটা আবার সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি ৩ থেকে ৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির সরকার-নির্ধারিত মূল্য ২৭ টাকা, ডিএপির মূল্য ২১ টাকা ও এমওপির মূল্য ২০ টাকা হলেও সমকাল-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে কৃষককে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৯-৩৩ টাকা, টিএসপি ৩০-৩৫ টাকা, ডিএপি ২৫-৩৫ টাকা ও এমওপি ২৫-৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। (‘ধান আবাদের সুসময়ে চাষির দুঃসময়’, সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বীজ, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যে এমনিতেই কৃষক সংকটে রয়েছেন। সরকার-নির্ধারিত সারের মূল্যও বেশি। কারণ, আগের সরকারের আমলে ২০২২ সালের আগস্টে ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে সব ধরনের সারের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়।...
    মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে প্রতি বছরের মতো এবারও মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে কৃষকের আশাভঙ্গ হয়েছে বলে জানা গেছে।  কৃষকের ভাষ্য, গত বছরও প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এ বছর ১০ থেকে ১২ টাকায় নেমে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত শেষে বসন্তের আগমনের এই সময়ে আড়িয়ল বিলে শাক-সবজির চাষাবাদ এবং কোথাও কোথাও ধান রোপণ করেছেন কৃষক। ধানের জমির আইলে উৎপাদন করা হয়েছে মিষ্টিকুমড়া ও লাউ। ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান ও শ্রীনগর উপজেলায় আড়িয়ল বিলের অবস্থান। বিলের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে। আড়িয়ল বিলে ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে। বছরের সব ঋতুতেই এখানে ফসল হয়। শ্রীনগর ও সিরাজদীখানে আড়িয়ল বিল থেকে মিষ্টিকুমড়া সংগ্রহের ধুম...
    ভরা মৌসুমে চালের বাজারে আগুন নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। বইয়ে পড়া নানা তত্ত্ব আর তথ্যের গুরুগম্ভীর আলোচনা যখন জমে উঠেছে, তখন পাশ থেকে আলী বাকের বললেন, ‘আসলে আমন ফেল—এটাই সত্যি, আমাগেরও কিনি খাওয়া লাগবি।’আমরা বলছিলাম সিন্ডিকেটের কথা তো চাঁদাবাজির কথা, মজুতদার আর মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্যের কথা; আর সরকারের ব্যর্থতার কথা আছেই। সরকারের ব্যর্থতার বয়ান ছাড়া এখন কোনো আলোচনা জমে না।মালয়েশিয়াফেরত আলী বাকের এখন মন–দিল দিয়ে চাষবাস করেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল বকর আলী। সেখান থেকে ঘোল খেয়ে ফেরত আসার পর এখন আলী বাকের। সে অন্য কাহিনি। মালয়েশিয়ার চক্করে জমিজিরাত হারিয়ে আলী বাকের এখন ‘কন্টাক্ট চাষি’।ভাগ চাষি বা বর্গা চাষি বলে এখন আর কিছু নেই। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে বছরের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে ফসল ফলাতে হয়। আলী বাকের...
    দিন দিন কমে আসছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতা। এক সময় ৪ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া হলেও এখন তার আওতা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে নির্মিত দেশের বৃহত্তম এ সেচ প্রকল্প নিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। এক বছর ধরে দুটি সেচ পাম্প বিকল, খালগুলো ভরাট ও বেদখল, সংস্কার না হওয়া ও লোকবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে কার্যক্রম।  সম্প্রতি জিকে প্রকল্পের আধুনিকায়নে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হলেও সেটি আলোর মুখে দেখেনি। প্রকল্পটি পাস হয়ে বাস্তবায়ন হলে জিকের সেচ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খরাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় কুষ্টিয়া অঞ্চলে ষাটের দশকে ভেড়ামারার মসলেমপুরে পদ্মা নদীতীরবর্তী এলাকায় পাম্প...
    গত সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের অনুসারীরা প্রকৃতি ও পরিবেশ খুবলে খাওয়ার যে ভয়াবহ চক্র গড়ে তুলেছিল, তা এখনও চলমান। ক্ষমতার পালাবদলে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং এসব চক্রের চালকের আসনে এসেছে নতুন মুখ। তাদের হাত ধরে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে বালু ও মাটিখেকোদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড। জেলাজুড়ে মাটিখেকো চক্রের সদস্যরা অব্যাহত রেখেছে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রির তৎপরতা। কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরেও থামছে না এই যজ্ঞ। টপ সয়েল হলো মাটির ওপরের স্তর। মাটির এই স্তরে জৈব পদার্থ এবং অণুজীবের সর্বাধিক ঘনত্ব বিদ্যমান; যেখানে প্রকৃতির অধিকাংশ জৈবিক কার্যকলাপ ঘটে। প্রাকৃতিকভাবে মাটির উপরিভাগের এই স্তরের উর্বরতা ও ফসল উৎপাদনের সক্ষমতা সর্বোচ্চ। তাই কৃষি বা ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ক্ষয় হলে বা হ্রাস পেলে ফসল...
    কেশবপুরের টিটাবাজিতপুরের কৃষক নূর ইসলাম। তিনি প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু এনেছেন সাগরদাঁড়ীর মধুমেলায়। এর সঙ্গে সেলফি ওঠাতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া বিশাল আকৃতির মেটে আলু, বড় মিষ্টিকুমড়া, হাজারী কলার কাঁদি, বারোমাসি কাঁঠালসহ তিন শতাধিক কৃষিপণ্য মধুমেলায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। বিভিন্ন বীজ দিয়ে তৈরি কেশবপুর উপজেলার মানচিত্রসহ ফসল উৎপাদনের দৃশ্য সবাই ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়ীতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু হয়েছে। এর একাংশে উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজন করেছে কৃষি ও প্রযুক্তিমেলা।  সরেজমিন দেখা গেছে, মেলায় প্রদর্শনের জন্য সুজাপুর গ্রামের কৃষক দেবু দাস ৭৩ কেজি ওজনের মেটে আলু এনেছেন। সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোরশেদুল ইসলামের ৪৫ ইঞ্চি প্রস্থ ও ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া এবং হাজরাকাটির জাহাঙ্গীর আলম এনেছেন ১০...
    বরিশাল বিভাগের নদনদীতে লবণাক্ততার পরিমাণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের অন্তত ২০টি নদীর পানি প্রায় শতভাগ লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। অথচ ১০ বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল চারটি। এমন পরিস্থিতিতে লবণাক্ত পানির প্রভাবে এরই মধ্যে বিভাগে ৫২ ভাগ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। আসছে দিনগুলোয় উৎপাদন আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  বরিশাল মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, সেচের জন্য নদীর পানিতে ০ দশমিক ৭ ডিএস পার মিটার এবং মাটিতে ২ ডিএসের নিচে পার মিটার লবণাক্ততা থাকতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি চালানো গবেষণায় দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ ডিএস পার মিটার ও মাটিতে সর্বোচ্চ ২৫ ডিএস পার মিটার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। আগে সাগর সংলগ্ন নদীতে...
    চাঁদপুরের হাইমচরে জমি প্রস্তুত করেও পানি অভাবে বোরো ধান রোপণ করতে পারছে না কৃষক। এভাবে চলতে থাকলে বীজতলায় ধানের চারা বেশি দিন রাখলে ভালো উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে হাইমচরে চরভাঙ্গা, গন্ডামারা, কমলাপুর, ছোট লক্ষীপুরসহ মেঘনা নদীর পূর্ব অঞ্চল সরেজমিন গেলে চাষিরা তাদের এ হতাশার কথা জানান। সেখানে দেখা যায়, চাষিরা জমি প্রস্তুত করেও পানি সংকটে ধান রোপণ করতে পারছে না। দ্রুত পানির প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা। আরো পড়ুন: বানভাসি কৃষকদের আশার আলো বিনাধান-২০ ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, শনিবার শেষকৃত্য মনমোহনের হাইমচরে খাল সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে পানি নামতে না পারায় ফসলের জমি, বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে যায়। গত বর্ষায়ও এলাকার চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড হাইমচরে...
    গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের বাড়ির অদূরেই ব্রহ্মপুত্র। বর্ষাকালে পানি চলে আসে একেবারে বাড়ির কাছাকাছি। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এই নদের পানির দুর্গন্ধে নাক চেপে রাখতে হয়। আফসোসের সুরে বৃহস্পতিবার এই গৃহবধূ বললেন, ‘এখন আর নাক চেপে ধরি না; দুর্গন্ধই স্বাভাবিক মনে হয়।’ ফাতেমা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। এ উপজেলার অধিকাংশ নদনদীর পানি এখন বিভিন্ন শিল্পকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যের কারণে ভয়াবহ মাত্রায় দূষিত হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও শুকনো মৌসুমে বেশির ভাগ নদনদীর পানির রং আলকাতরার মতো কালো হয়ে যায়। এ কারণে উপজেলার লাখো মানুষের জীবনের পাশাপাশি কৃষি, জীববৈচিত্র্যে বিপর্যয় ঘটছে। দূষিত পানির কারণে নদনদীতে এখন মাছ নেই। কমে গেছে ফসলের উৎপাদন। পানির গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তারা নদীতে বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধে দফায় দফায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেও কোনো...
    ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক কারণে হাওর অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট আয়তনের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ হাওর অঞ্চল। অঞ্চলটি সাতটি জেলার ৫৩ উপজেলাকে যুক্ত করেছে। হাওর কেবল প্রাকৃতিকভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এলাকা নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাণিসম্পদ ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এ ছাড়া দেশের মোট গবাদি পশুর প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ এ অঞ্চলে পালন করা হয়। এখানকার প্রাকৃতিক চারণভূমি (বাথান) ও পানির সহজলভ্যতা গবাদি পশুর প্রজনন বৃদ্ধিতে সহায়ক। গবাদি পশু দুধ, মাংস, চামড়া ও সার উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দেশের মোট হাঁসের প্রায় ২২ শতাংশ এ অঞ্চল সরবরাহ করে। কৃষিক্ষেত্রেও হাওরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের মোট বোরো ধানের ৬০ শতাংশ হাওর থেকে আসে। পাশাপাশি নদী, খাল, বিল এবং জলাশয় মৎস্য উৎপাদনের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কৃষিজমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে মাছ...
    নাটোরের লালপুরের চংধুপাইল ইউনিয়নের পুকুন্দা মাঠের কৃষক আবুল মাজন আলী আখ, ধান ও গমের চাষ করতেন।  ফসল বিক্রির নিশ্চয়তা ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লাগাতার লোকসান গুনতে হয়েছে তাঁকে। তাই সমকালীন ফসল ছেড়ে গত বছর ৩০ বিঘা জমিতে তামাক আবাদ করেন। লাভ হওয়ায় আবাদি জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন।   আবুল মাজন আলী বলেন, তামাক চাষে কোম্পানি থেকে বীজ, সার ও ঋণ দেয়। বাড়ি থেকেই উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও এ ফসল আবাদ করছেন। আবুল মাজনসহ স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সমকালীন ফসল আবাদে কোনো সমস্যা হলে কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। অন্যদিকে উৎপাদনের আগেই তামাক কোম্পানি দর নির্ধারণ, বিক্রির নিশ্চয়তা, চাষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ, প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও তারা তামাক...
    ফসলের ভরপুর ফলনে চাষির ঘরে থাকার কথা আনন্দের দোল। সাদাচোখে এটাই সত্য! তবে এখন হিসাব বদলে গেছে। বাম্পার উৎপাদনেও কখনও-সখনও কৃষকের হৃদয় পোড়ে। এই যেমন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার কৃষক মাসুদুর রহমানের দুই চোখে বেদনার জল। তাঁর দুই একর জমিতে জম্পেশ ফলেছে ফুলকপি। শরীরের লবণপানি ঝরিয়ে উৎপাদিত ফুলকপি স্থানীয় মহাস্থান হাটে তোলার পর দাম শুনে মনে যে চোট পেলেন, তা সারার কোনো দাওয়াই নেই! শুধু ভেজা চোখে বললেন, ‘বাড়িত গরু-ছাগল থাকলে তাদেরই খাওয়াতাম। উৎপাদন খরচ বাদ দিলাম, মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত ফুলকপি আনতে কেজিতে যে খরচ হচ্চে, সেই ট্যাকাও পানো না।’ ঠাকুরগাঁওয়ের বর্গাচাষি আসাদুল হক ধারদেনা করে এ বছর ছয় একর জমিতে আগাম আলুর আবাদ করেছিলেন। নিজের পরিশ্রম বাদেও খরচ হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। আলু বেচতে গিয়ে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা! উৎপাদন খরচের...
    বাংলাদেশি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি স্বপ্নধরার উদ্যোগে শুরু হয়েছে প্লট ফার্মিং। এই অভিনব উদ্যোগের ফলে ভূমিহীন কৃষক পাবে চাষ করার জমি। অন্যদিকে শহরের মানুষ পাবে নিজের জমিতে উৎপাদিত ফসল। স্বপ্নধরার এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ফেলে রাখা জমি। সেই সঙ্গে উপকৃত হবে দেশের ভূমিহীন কৃষক।  প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা। মাথাপিছু জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্ন  মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ একর। ছোট্ট এই দেশে বাড়তি মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়ি। ফলে কমে আসছে আবাদি জমির পরিমাণ। একই কারণে কমে আসছে ফসলের উৎপাদন। আর তাই কৃষকের জীবিকাও আজ হুমকির মুখে। অন্য কাজের খোঁজে কৃষক চলে আসছে শহরে। ফলে আবারও বাড়ছে শহরের জনসংখ্যা। আর তাই অনাবাদী জমির পরিমাণ কমিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি।  এই কাজটাই করার উদ্যোগ নিয়েছে...
    ঈশ্বরদীর মানিকনগর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম সরদার। শুক্রবার বিকেলে ক্ষেতের ফুলকপি কেটে ফেলছিলেন তিনি। এ সবজির আবাদ করেছিলেন দুই বিঘা জমিতে। ফলনও ভালো হয়েছিল। উৎপাদিত সবজি বিক্রির পর পাকা ঘর করার ইচ্ছা ইচ্ছা ছিল তাঁর। তবে দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় বাজারে নেওয়ার খরচও উঠছে না। রাগে-ক্ষোভে ক্ষেতের ফুলকপি গাছসহ কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। এ কৃষকের ভাষ্য, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের একই অবস্থা। পাবনার ঈশ্বরদী শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য বেশ পরিচিত। উপজেলায় অন্তত ২১ হাজার কৃষক সবজি উৎপাদনে যুক্ত। এর মধ্যে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক ১৫ জন। উৎপাদিত সবজি যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হলেও কৃষক রয়েছেন বিপদে, দাম পাচ্ছেন না। ফলে মনিরুলের মতো অনেকে ক্ষেতেই মিশিয়ে দিচ্ছেন বা গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন। ক্রেতা কম থাকায় জমিতে...
۱