লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষের সুবিধা ও সম্ভাবনা
Published: 13th, May 2025 GMT
দূর থেকে মনে হচ্ছিল সূর্যমুখী ফুলের সমুদ্র। বিশাল এলাকাজুড়ে হাসিমুখে ফুটে থাকা সূর্যমুখী ফুলের রাজ্য হঠাৎ তৈরি হয়নি। লবণাক্ততার কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার এই জমিতে বছর দুয়েক আগেও আমন ধান ছাড়া আর কিছু ফলানোর কথা ভাবতে পারতেন না কৃষক। আমন ধান কাটার পর মাসের পর মাস খালি পড়ে থাকত কয়েক হাজার বিঘা কৃষিজমি। সেখানেই এখন সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর ও ব্র্যাক অ্যাডাপটেশন ক্লিনিক থেকে জানা গেছে, এখানে লবণসহিষ্ণু সূর্যমূখীর জাত হাইসান-৩৩ চাষ হয়েছে পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে। কৃষকরা চলতি মৌসুমে উৎপাদন করেছেন ১ হাজার ৮০০ টন সূর্যমুখী, যা থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার লিটার তেল উৎপাদন করা সম্ভব, যার স্থানীয় বাজারমূল্য ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কৃষকরা সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করেন; পাশাপাশি নিজেরাও তেল ভাঙিয়ে স্থানীয় বাজারে ২৫০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করছেন।
শুরুটা হয়েছিল ২০২৩ সালের মার্চে। এই এলাকায় হাইসান-৩৩ সূর্যমুখীর জাত পরীক্ষামূলক চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা কিছুটা লবণসহিষ্ণু। সঠিকভাবে চাষ করলে ভালো ফলন মেলে। ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির অ্যাডাপটেশন ক্লিনিকের উদ্যোগে সূর্যমুখীর বীজ ভাঙানো ও খোসা ছাড়ানোর মেশিন, সৌরচালিত সেচ পাম্প সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি কৃষকদের বীজ সহায়তা, সেচ, পরিবেশের পূর্বাভাস, সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়।
কৃষকও বুঝতে পারেন, পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক। এটা যেমন তাদের স্বাবলম্বী করতে পারে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক। জলবায়ুসহিষ্ণু উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, পরামর্শ ও সেবার মাধ্যমে কৃষকরা পতিত ও অনাবাদি জমিকে চাষাবাদের আওতায় এবং এক ফসলি জমিকে দুই/তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন।
সূর্যমুখী চাষের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বীজ থেকে তেল উৎপাদন। সরিষার বীজ থেকে তেল করার যেমন মেশিন আছে, চিরাচরিত ঘানিও আছে; কৃষকরা সেই পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল করার সময়। কৃষকরা সূর্যমুখীর বীজ থেকে ভালো মানের তেল উৎপাদন করতে পারছিলেন না। তেলটা হচ্ছিল কালো। কারণ বীজের খোসা না ছাড়িয়ে সরাসরি ভাঙানো হচ্ছিল। এ সমস্যা সমাধানে কৃষকদের কাছে সূর্যমুখীর খোসা ছাড়ানো ও বীজ থেকে তেল ভাঙানোর মেশিন দেওয়া হয়। সূর্যমুখী ফুলের মাঝখানের কালো বৃত্তটি যত বড় হয়, তেলের ফলন তত বেশি হয়।
উপকূলের পতিত জমিতে লবণসহিষ্ণু সূর্যমুখী চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। জলবায়ু ঝুঁকিতে কৃষকরা যেখানে একসময় কিছুই পেতেন না, সেখানে এখন বাড়তি আয়ের উৎস তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে তৈরি করছে কৃষি অভিযোজনের উদাহরণ। ভবিষ্যতে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় সূর্যমুখী চাষ করার ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সূর্যমুখীর তেল শারীরিক সুস্থতায়ও ভূমিকা রাখে। এতে কোলেস্টেরল কম থাকে, যা হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এ জন্য বাজারে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
সূর্যমুখী ফুল যখন একসঙ্গে ক্ষেতজুড়ে ফোটে, তখন নয়নাভিরাম দৃশ্য তৈরি হয়। হাসিমুখে ফুটে থাকা সূর্যমুখী ফুলের হলুদ পাপড়িগুলো পাখি ও দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দূরদূরান্ত থেকে বিপুল দর্শনার্থী-পর্যটক সূর্যমুখী ফুলের মন জুড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। এর মাধ্যমে এগ্রো ট্যুরিজমের একটি সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
সূর্যমুখী ফুল থেকে মধু আহরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। মৌমাছি পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়; রাসায়নিক ব্যবহার কমে যায়। মধু সংগ্রহ ও বিক্রির মাধ্যমে কৃষকরা নিরাপদ ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন; অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারছেন। মৌমাছি পালন ও মধু চাষ কৃষকদের জন্য আয় বাড়ানোর নতুন উপায় তৈরি হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লবণসহিষ্ণু সূর্যমুখী চাষ কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। বাড়তি আয়ের উৎস তৈরির মাধ্যমে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। ধীরে ধীরে পতিত জমির যন্ত্রণা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন; অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে; কমবে ভোজ্যতেলের আমদানির ওপর নির্ভরতা। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে সারাবছর কৃষককে জলবায়ু সহনশীল কৃষিতে ফেরত আনা গেলেই আগামী দিনে টেকসই ও স্মার্ট কৃষি সম্ভব হবে।
মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ
আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।
সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।
সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।
৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’
কারা আছে তালিকায়দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।
দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।
১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।
২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।
কীভাবে এই মূল্যায়ন৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।
ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।
এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।
কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;
কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;
কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;
সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;
কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।