৫ বছরে লেবুজাতীয় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে ২৫%
Published: 24th, June 2025 GMT
দেশে পাঁচ বছরের ব্যবধানে লেবুজাতীয় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে ২৫ শতাংশ, আবাদ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। মাল্টা, কমলা, লেবু ও বাতাবি লেবুসহ লেবুজাতীয় ফলের আবাদ ও উৎপাদনের এই ধারা বাড়লেও মাঝে মাঝে চাষি দাম পান না। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ লেবুজাতীয় ফসলের চাষ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনা কৃষকবান্ধব করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ২০১৯ সালের থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি এই মাসে শেষ হচ্ছে। সমাপনী কর্মশালায় প্রকল্পের অর্জন, মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ড.
কর্মশালায় বলা হয়, ২০১৮-১৯ সালে প্রকল্পভুক্ত এলাকায় লেবুজাতীয় ফসলের উৎপাদন ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯০ টন, ২০২৩-২৪ সালে ২৫ শতাংশ বেড়ে উৎপাদন হয় ২ লাখ ২ হাজার ৩৮০ টন। ২০১৮-১৯ সালে আবাদ এলাকা ছিল ১৩ হাজার ৮০ হেক্টর, ২০২৩-২৪ সালে ৪০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আবাদ এলাকা হয় ১৮ হাজার ৩৬০ হেক্টর। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল ৭৩৪ টন, ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ১৭৭৯ টন। প্রকল্পের আওতায় ৬৫ হাজার ২৮০ কৃষককে প্রশিক্ষণ ও চারা-উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। তাদের আধুনিক ফলচাষ, রোগ ব্যবস্থাপনা, সংগ্রহোত্তর সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ পদ্ধতি শেখানো হয়েছে। লেবুচাষিদের কাছে মানসম্মত চারা পৌঁছে দিতে এ প্রকল্পের আওতায় ২০টি হর্টিকালচার সেন্টারে মাতৃবাগান স্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, লেবু, মাল্টা, কমলা জাতীয় ফসল দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা করোনা মহামারিকালে প্রমাণিত হয়েছে। চাষ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি লেবুজাতীয় ফসলের সঙ্গে সাথী ফসল চাষেরও আহ্বান জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কৃষি বিভাগ, বিজ্ঞানী ও চাষিদের সম্মিলিত চেষ্টায় দেশে ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছেন না। অপরদিকে ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এত বছরেও বাজার ব্যবস্থা শক্তিশালী করা যায়নি। পর্যাপ্ত সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকা, বাজারে পণ্য প্রবেশে সুযোগ কম থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজনে দুর্বলতাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে। ফলে কৃষকের স্বার্থে সরকারকে বাজার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর দিকে জোর দিতে হবে। উৎপাদক ও ভোক্তা দুজনের কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা সরকারকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, কৃষক যখন যে ফসল লাভজনক দেখেন সেই ফসলের দিকে ঝুঁকেন। কিন্তু কখনও কখনও বাম্পার ফলন করেও কৃষক দাম পান না। শ্রম-ঘামের স্বপ্নের ফসল কৃষকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সরকার কৃষকের এমন বঞ্চনা দূর করতে কাজ করছে। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা দূর করতে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি চাষি ও ভোক্তা দুজনের কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা সরকার নিশ্চিত করবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে কৃষিতে নতুনত্ব নিয়ে আসার কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ বছর মেয়াদি কৃষি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ফলে চাহিদা এবং উৎপাদনের হিসাব করে কতটুকু উৎপাদন কীভাবে বাড়াতে হবে সেই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, একটি ফসল একযোগে সারাদেশে বেশি উৎপাদন হলে চাহিদা কমে যায়। ফলে দামও পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে বের হতে চাহিদা, উৎপাদন ও অঞ্চলভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনা করে ফসলের আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ব জ ত য় ফসল র প রকল প র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বুয়েটে স্নাতক শ্রেণির বিভিন্ন লেভেল বা টার্মের সংশোধিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ সেশনের স্নাতক শ্রেণির বিভিন্ন সংশোধিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার নিচের সময় অনুসারে ঘোষণা করা হয়েছে। উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক এন এম গোলাম জাকারিয়া এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
প্রকৌশল অনুষদগুলোর সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য—
প্রকৌশল অনুষদগুলো:
২০২৪-২৫ সেশনের লেভেল-১/টার্ম-২,
লেভেল-২/টার্ম-১।
২০২৩-২৪ সেশনের লেভেল-২/টার্ম-২,
লেভেল-৩/টার্ম-২,
লেভেল-৪/টার্ম-২।
স্থাপত্য বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য—
স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ:
২০২৪-২৫ সেশনের লেভেল-১/টার্ম-২,
লেভেল-২/টার্ম-১।
২০২৩-২৪ সেশনের লেভেল-২/টার্ম-২,
লেভেল-৩/টার্ম-২,
লেভেল-৪/টার্ম-২,
লেভেল-৫/টার্ম-২।
কোর্স রেজিস্ট্রেশন: ২৯ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৫,
বিলম্ব ফিসহ কোর্স রেজিস্ট্রেশন: ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫,
কোর্স অ্যাডজাস্টমেন্ট (Add or Drop): ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২৬।
১. ক্লাস : ২৯-১১-২০২৫ থেকে ১৯-১২-২০২৫: ৩ সপ্তাহ,
২. শিক্ষকের শীতকালীন অবকাশ: ২০-১২-২০২৫ থেকে ২-০১-২০২৬: ২ সপ্তাহ
৩. ক্লাস: ৩-০১-২০২৬ থেকে ১৩-০৩-২০২৬: ১০ সপ্তাহ,
৪. ঈদুল ফিতর ও পরীক্ষা প্রস্তুতির ছুটি : ১৪-০৩-২০২৬ থেকে ১০-০৪-২০২৬: ৪ সপ্তাহ,
৪. পরীক্ষা: ১১-০৪-২০২৬ থেকে ৭-০৫-২০২৬: ৩ সপ্তাহ ৬ দিন,
৫. পরবর্তী টার্মের ক্লাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ : ৬ জুন ২০২৬।
#বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.buet.ac.bd
আরও পড়ুনকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স, নেই বয়সের সীমা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫