ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে দরকার সুশাসন
Published: 20th, May 2025 GMT
ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো এবং নিরাপদ পানির সংকট এড়াতে ব্যক্তি পর্যায় থেকে পানির অপব্যবহার বন্ধের চর্চা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যেসব ফসল উৎপাদনে পানি কম প্রয়োজন, সেসব শস্যের বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য দরকার সুশাসন।
এএলআরডি, বেলা ও পানি অধিকার ফোরামের উদ্যোগে গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভূগর্ভস্থ পানির সংকট: কৃষি ও পরিবেশের ওপর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
মূল প্রবন্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.
রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন বলেন, ঢাকা ওয়াসা ৭১ শতাংশ পানি ভূগর্ভস্থ থেকে উত্তোলন করলেও মেঘনা নদী থেকে পানি আনতে হচ্ছে। অতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে।
পানির সুশাসনে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে এএলআরডির উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি বলেন, গ্রামীণ নারীদের ৭২% কৃষিতে যুক্ত এবং তারা মূলত ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করে টেকসই চাষে অবদান রাখছেন। ইনসিডিন বাংলাদেশের এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, পানি সুশাসনে কৃষক, নারী, আদিবাসী, প্রান্তিক মানুষ ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. শাহাজাহান মণ্ডল বলেন, সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বরেন্দ্র এলাকায় বোরো ধানের আবাদ বন্ধ ও খাল পুনঃখননের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মীর আব্দুস সাহিদ বলেন, দেশে বছরে ৩২ বিলিয়ন ঘনমিটার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন হয়। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুজ্জামান মনে করেন, দেশের পানি সংকট মূলত ব্যবস্থাপনার অভাবে সৃষ্টি হয়েছে। পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার পরিচালক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, পানি আইন ও বিধিমালা হালনাগাদের পাশাপাশি পানির বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি ব্যবহারের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে সরকার কাজ করছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. তরিকুল আলম জানান, উত্থাপিত সুপারিশগুলো বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সভাপতির বক্তব্যে এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, পানির সুশাসন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় প্রয়োজন। বেলার প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম বলেন, আমরা চাই নদীগুলো ফিরে আসুক, পরিবেশ সুস্থ হোক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি রাজার আসন পেয়ে যাবো: অঞ্জনা
অনেক মানুষ বিয়েকে ক্যারিয়ারের জন্য বাধা মনে করেন। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের কারণে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতের দাপুটে অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু পড়ালেখা করেছেন মনোবিদ্যা নিয়ে। স্নাতকোত্তর পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় অঞ্জনার, এরপর পড়ালেখারও ইতি টানেন তিনি। স্বামী সুমন্ত্র বসুর সঙ্গে তিনি চলে যান পাটনায়। এরপর জন্ম হয় তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান অরিত্রর। সংসারে মনোযোগী হন অঞ্জনা।
ছেলে একটু বড় হওয়ার পরে অভিনয়ে মনোযোগ দেন অঞ্জনা। প্রথমে মডেলিং এরপর ছোটপর্দা তারপর বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ‘রাত বারোটা পাঁচ’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে বাই বাই ব্যাংকক, ল্যাপটপ, ব্যোমকেশ ফিরে এলো, অভিমান, কিশমিশ অপরাজিত ইত্যাদি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।
অঞ্জনার ক্যারিয়ার যেমন এগিয়েছে তেমনি ছেলেও ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। অঞ্জনার ছেলে অরিত্র বিদেশে লেখাপড়া করছে। তবে দেশে আসলে মায়ের সঙ্গে হাজির হন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সঙ্গে থাকেন অঞ্জনার স্বামীও। অঞ্জনা প্রমাণ করেছেন, বিয়ে, সন্তানের পরেও চাইলে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়।
আরো পড়ুন:
কারিনা যে কারণে পাকিস্তানে যেতে চান
মিথিলা সম্পর্কে চমকপ্রদ ৬ তথ্য
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, সংসার কখনও ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করেনি? অঞ্জনার সোজাসুজি উত্তর ‘‘বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি একেবারে বিরাট রাজার আসন পেয়ে যাবো? রাজার আসন কেউ সাজিয়ে রেখে বলবে যে— তুমি বিয়েটা ভাঙলেই ওই আসনে গিয়ে বসতে পারবা। না তো! আমি আজকে প্রচণ্ড স্ট্রাগল করছি, আর পারছি না, বিয়েটা ভেঙে দিলাম, কালকে থেকে কী আমি একটা স্মুথ গোলাপ ছড়ানো রাস্তায় হাঁটবো? কালকেউ তো আরেকটা অন্য ধরণের স্ট্রাগলিং লাইফ।’’
এতে বোঝা যায়, বিয়েকে ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র বাঁধা মনে করেন না অঞ্জনা। তিনি মনে করেন মানুষের স্ট্রাগল শেষ হয় না। হয়তো সম্পর্ক বদলে নিলে স্ট্রাগল বদলে যায়।
ঢাকা/লিপি