কৃষিঋণের ২০ শতাংশ দেওয়া হবে প্রাণিসম্পদ খাতে
Published: 12th, August 2025 GMT
দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষকদের মধ্যে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ব্যাংকগুলো। এই অর্থ যাতে প্রকৃত কৃষকেরা পান, সে জন্য তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং প্রাণিসম্পদ খাতেও ঋণ বিতরণের লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি এবং পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির উপদেষ্টা ও ডেপুটি গভর্নররাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন, সোনালী ব্যাংকের এমডি শওকত আলী খান, ইসলামী ব্যাংকের এমডি ওমর ফারুক খাঁন ও বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের জন্য সহায়তা নিশ্চিত করতে এ বছর ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করাই এর মূল উদ্দেশ্য। এবারের লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এবার কৃষিঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে যুক্ত করা হয়েছে।
নতুন কৃষিঋণ নীতিমালায় নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লিঋণ খাতে যেকোনো পরিমাণে ঋণ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) রিপোর্ট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কৃষি ও পল্লিঋণের আওতাভুক্ত শস্য-ফসল খাতসহ অন্যান্য সব খাতে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত নতুন ঋণ বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে সিআইবি মাশুল মওকুফ করা হয়েছে। মোট বরাদ্দের ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতে এবং ২ শতাংশ সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতি খাতের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কৃষি খাতের ঋণে পুনঃ অর্থায়ন করছে। আমি মনে করি, এই অর্থ বাজেটে বরাদ্দ থাকা উচিত। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ না। এ ছাড়া আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিকভাবে এমন চর্চা করা হয় না। সরকার টাকা দিলে আমরা সেটা ব্যবস্থাপনা করতে পারিআহসান এইচ মনসুর, গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।নীতিমালায় বলা হয়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে ডিপি নোট (১০ টাকা থেকে ৫০ টাকার স্ট্যাম্প/সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী), লেটার অব হাইপোথিকেশন ও ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ছাড়া আর কোনো মাশুল গ্রহণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প রাখার প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া এরিয়া অ্যাপ্রোচ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে অঞ্চলভিত্তিক ফসলের উৎপাদন বা উৎপাদন সম্ভাব্যতাবিষয়ক তথ্যভান্ডার, যেমন কৃষি গবেষণা কাউন্সিল দ্বারা উদ্ভাবিত ক্রপ জোনিং সিস্টেম কিংবা খামারি অ্যাপসে সংরক্ষিত নির্দিষ্ট ফসলের অঞ্চলভিত্তিক উৎপাদন সম্ভাবনা ও উৎপাদনশীলতার তথ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় এজেন্ট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে আদায়কৃত সুদ/মুনাফার কিছু অংশ সংশ্লিষ্ট এজেন্টের সঙ্গে শেয়ার/ভাগাভাগি করার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং পদ্ধতিতে কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালায় উল্লিখিত ফসল ঋণ, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট উপখাতসমূহে ঋণ দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতা বাড়িয়ে ক্ষীরা, কচুর লতি, কাঁঠাল, বিটরুট, কালিজিরা, বস্তায় আদা–রসুন ও হলুদ চাষ, খেজুর গুড় উৎপাদনের ঋণ যুক্ত করা হয়েছে। অঞ্চলভেদে কৃষকের প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ফসলভিত্তিক নির্ধারিত ঋণ ও বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি/হ্রাস করার সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ বিতরণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারী কৃষকদের পুরস্কার প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কৃষি খাতের ঋণে পুনঃ অর্থায়ন করছে। আমি মনে করি, এই অর্থ বাজেটে বরাদ্দ থাকা উচিত। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ না। এ ছাড়া আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিকভাবে এমন চর্চা করা হয় না। সরকার টাকা দিলে আমরা সেটা ব্যবস্থাপনা করতে পারি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ষ ঋণ র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর থেকে মাছ আহরণ বাংলাদেশের কমছে, ভারত-মিয়ানমারে বাড়ছে
বঙ্গোপসাগর থেকে গত তিন বছর বাংলাদেশের মাছ আহরণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। ব্যাপকভাবে কমেছে সামুদ্রিক ইলিশ, কাঁকড়া ও চিংড়ি আহরণ। সাগর থেকে মাছ ধরার পরিমাণ কমতে থাকায় সার্বিকভাবে দেশের মাছের জোগানের গতিও কমে গেছে। যদিও ভিন্ন চিত্র প্রতিবেশী দেশগুলোর। বছর বছর সাগর থেকে মাছ ধরা বাড়িয়ে মাছ আহরণে বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ভারত। এমনকি গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারেও প্রতিবছর বাড়ছে সামুদ্রিক মাছ আহরণ।
সাগর থেকে বাংলাদেশের মাছ আহরণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ঘূর্ণিঝড়কে দায়ী করছেন এ দেশের মৎস্য কর্মকর্তারা। তা ছাড়া অতিরিক্ত মাছ আহরণের কারণেও মাছের মজুত কমে আসছে বলে জানান তাঁরা।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে মোট সামুদ্রিক মাছ আহরণের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৬ হাজার টন। পরের অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৭৯ হাজার টনে। সর্বশেষ গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ২৮ হাজার টনে। অর্থাৎ ২০২২–২৩ অর্থবছরের চেয়ে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে সাগর থেকে মাছ আহরণ প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ কমেছে। গত জুনে শেষ হওয়া ২০২৪–২৫ অর্থবছরে এই পরিমাণ আরও কমেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে এখনো অনুষ্ঠানিকভাবে গত অর্থবছরের তথ্য প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
সমুদ্র খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সাগরে অতিরিক্ত মাছ আহরণের কারণে মাছের মজুত কমে গেছে। এ বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের সামুদ্রিক শাখার সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ২০ বছর আগেও সাগরে বাণিজ্যিক ট্রলারের সংখ্যা ছিল এক শর কম। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৫টিতে। তিনি জানান, সাগরের ৪০ মিটারের ভেতরে মাছ না ধরার কথা থাকলেও এসব নৌযান তা মানছে না। আবার ছোট নৌযানের সংখ্যা এখন ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এসব নৌযানেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা তাদের ব্যবহার করার কথা নয়। পাশাপাশি অবৈধ জালও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি উপকূলের ৫ থেকে ১০ মিটারের মধ্যে মাছ ধরা হচ্ছে। এতে ডিম থেকে নতুন পোনা তৈরির সুযোগ নষ্ট হচ্ছে।
বিশ্বে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ভারত ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ভারতের মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১–২২ সালে সাগর থেকে দেশটির মাছ আহরণের পরিমাণ ছিল ৪১ লাখ ২৭ হাজার টন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৪৪ লাখ ৯৫ হাজার টন মাছ আহরণ করেছে ভারত।
মিয়ানমারের মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২০-২১ সালে সাগর থেকে মাছ আহরণের পরিমাণ ছিল ৩২ লাখ ৯৫ হাজার। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই পরিমাণ আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ১৪ হাজার টনে। অর্থাৎ গৃহযুদ্ধের মধ্যেও দেশটির সাগর থেকে মাছ আহরণ বাড়ছে।
এদিকে বাংলাদেশে সাগরে সবচেয়ে বেশি আহরণ কমছে ইলিশ ও চিংড়ির। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে সাগর থেকে ইলিশ আহরণ তার আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। আর চিংড়ির আহরণ কমেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। কাঁকড়া আহরণও কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি।
সাগর থেকে মাছ আহরণ কমে যাওয়া এবং এ বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপরিচালক মোহাম্মদ শরিফুল আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকেই চিংড়ি আহরণ কমে যাওয়ার তথ্য পাচ্ছিলাম। তাই সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালায় চিংড়ি ধরার ট্রলারের লাইসেন্স আর না বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করি। ২০২৮ সাল পর্যন্ত এসব ট্রলাররের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।’
সাগর থেকে মাছ আহরণ বাড়াতে হলে বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণহীন মৎস্য আহরণকে নজরদারির মধ্যে আনার কথা বলছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি ট্রলারে স্যাটেলাইট ট্রেকার বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রলার ডিজিটাল নজরদারির আওতায় আনার পরামর্শ তাঁর।
এদিকে মাছ আহরণ কমতে থাকায় সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেরাও বিপাকে পড়ছেন। ঋণের দাদনের টাকা শোধ করে লাভের অঙ্ক মিলছে না তাঁদের। কক্সবাজারে পাঁচ হাজারের বেশি মাছ ধরার কাঠের নৌযান আছে। এসব নৌকায় এখন মাছ ধরা পড়ছে কম। কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, টানা ছয় থেকে সাত মাস তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। কয়েক বছর ধরেই মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহের জন্য সাগরে গেলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। কিন্তু মাছ কম পাওয়ায় দাদন পরিশোধ করাই এখন কষ্টকর হয়ে গেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য অধিদপ্তরের ব্লু ইকোনমি সেলের পরিচালক মো. সাজদার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাগরে এখন ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। সাগরের তাপমাত্রাও বেড়ে গেছে। তা ছাড়া জেলিফিশের প্রকোপ বেড়েছে। আর অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের কারণে মাছের মজুত কমছে। তাই মাছ আহরণ আরও কমিয়ে আনতে হবে।
এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির এক সভায় গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘ভারতের জেলেরা যাতে বাংলাদেশে এসে মাছ ধরতে না পারেন, সেটা আমাদের বন্ধ করতে হবে।’
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সারা বিশ্বে সাগর থেকে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টন মাছ ধরা হয়। যার মধ্যে অর্ধেক মাছ আহরণ করেছে এশিয়ার দেশগুলো। ওই বছর বিশ্বের মোট সামুদ্রিক মাছের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশই আহরণ করেছিল চীন, যার পরিমাণ ১ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার টন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়া ওই বছর আহরণ করেছে ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার টন মাছ। আর ভারত আহরণ করেছে ৩৫ লাখ ৯৭ হাজার টন। যেখানে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল বৈশ্বিক মাছ আহরণের মাত্র শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।