Samakal:
2025-04-30@23:58:40 GMT

সরিষা পুষিয়ে দিল আমনের ক্ষতি

Published: 8th, March 2025 GMT

সরিষা পুষিয়ে দিল আমনের ক্ষতি

ফেনীতে আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় অধিকাংশ আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। ফসল নষ্ট হওয়ার পর জমি খালি পড়েছিল। এ সময় অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করার মতো সময়ও ছিল না। কৃষি বিভাগ চাষিদের পতিত জমিতে সরিষা চাষ করতে বলে। তারা সার ও বীজ দেয়। অনাবাদি সেই জমিতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাফর আহমদ। তিনি বলেন, ‘বন্যার পর চাষিরা ছিলেন দিশাহারা। কারণ আমন ফসলের ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরিষা চাষে আমনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পেরেছি আমরা।’ লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হক জানান, তিনি ৪২ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং গবাদি পশুর জন্য খৈলও মিলছে সরিষা থেকে। পরিবারের চাহিদার অতিরিক্ত তেল বিক্রি করে ভালো আয়ের আশায় আছেন ফজলুল হক।
কৃষকরা জানান, ধানের চেয়ে সরিষা চাষে খরচ কম। তাই বোরো চাষের আগে খরচ পোষাতে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। যেসব জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে, সেখানে বোরো আবাদে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগ সরিষার বীজ, সার দিয়েছে। সরিষা পাকার আগে পাতা ও ফুল ঝরে পড়ে জমিতে জৈব সার তৈরি করে। 
কৃষাণী বিবি খোদেজা ও হাছিনা বেগম বলেন, ‘বন্যায় আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেলে সরিষা চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করেছে। সংসারে তেলের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারছি।’ কৃষি উদ্যোক্তা নেছার উদ্দিন ও মোহাম্মদ রিমন বলেন, ‘বন্যা-পরবর্তী সময়ে ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলনও হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর জেলায় ৬ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর প্রায় ৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে দেড় মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়। চলতি বছর ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ১১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিপন চৌধুরী বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় এমন কিছু ফসল আবাদ করতে চেয়েছিলেন। আমরা তাদের সরিষা আবাদ করতে পরামর্শ দিই। কৃষকরা আমাদের কথা শুনে লাভবান হয়েছেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো.

একরাম উদ্দিন বলেন, ‘ফেনীতে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে সরিষার আবাদ। বাম্পার ফলনও হয়েছে। সরিষা উৎপাদন বাড়ায় ভোজ্যতেলের আমদানি কমিয়ে স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ষ কর ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ