জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের রায়ের আজ। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেবেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়।

আপিলের রায়ে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। 

তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সাজানো কোর্ট খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছিলেন। আশা করছি, আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাবেন।”

গত ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম.

ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।

২০০৯ সালের গত ৫ অগাস্ট খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সলিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

ঢাকা/মামুন/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ বছর র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী তারা

প্রতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব ক্যানসার দিবস। বলিউডের বেশ কজন তারকা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। তাদের সাহসী মনোবল এই লড়াইয়ে জয়ী হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের লড়াকু মনোভাব লাখো ক্যানসার আক্রান্তকে আশার আলো দেখিয়েছে। বিশেষ দিনে বলিউডের এমন সাত তারকাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।

কিরণ খের
২০২১ সালে অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ কিরণ খেরের মাল্টিপল মাইলোমা ধরা পড়ে। এটি এক ধরনের রক্তের ক্যানসার। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসা চলাকালীনও টেলিভিশন রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন এই অভিনেত্রী। এই সংগ্রামে জয়ী হয়ে কাজেও পুরোদমে কাজে ফিরেছেন কিরণ।

রাকেশ রোশান
২০১৯ সালে বলিউড পরিচালক, অভিনেতা হৃতিক রোশানের বাবা রাকেশ রোশানের গলায় স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা ধরা পড়ে। হৃতিক রোশান ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, “বাবা সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ। কয়েক সপ্তাহ আগে ক্যানসার ধরা পড়লেও পুরো উদ্যমে এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”

আরো পড়ুন:

বলিউডের ব্যয়বহুল ৬ বিবাহবিচ্ছেদ

আসছে ‘মুন্না ভাই থ্রি’, যা বললেন পরিচালক

সোনালি বেন্দ্রে
২০১৮ সালে বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রের মেটাস্ট্যাটিক ক্যানসার ধরা পড়ে। চতুর্থ স্টেজে তার ক্যানসার শনাক্ত হয়। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সোনালি লিখেছিলেন, “একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এই লড়াই লড়ছি। কারণ আমার পাশে রয়েছে আমার পরিবার ও বন্ধুরা।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হন সোনালি।

সঞ্জয় দত্ত
২০২০ সালের আগস্টে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। স্টেজ ফোরে ক্যানসার শনাক্ত হলেও কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবেগঘন এক পোস্টে তিনি লেখেন, “শেষ কয়েকটা সপ্তাহ আমার পরিবার ও আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। কিন্তু যেমনটা বলা হয়ে তাকে, ঈশ্বর সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ তার সবথেকে শক্তিশালী সৈনিকদেরই দেন।”

মহিমা চৌধুরী
‘পরদেশ’খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হন। ২০২২ সালে অভিনেতা অনুপম খের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের খবর দেন। পাশাপাশি তাকে ‘হিরো’ বলেও মন্তব্য করেন অনুপম। পরে এক ভিডিও বার্তায় মহিমা বলেন, “আমার কোনো লক্ষণ ছিল না। প্রতিবছরই নিয়ম করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই। এবার পরীক্ষার সময় চিকিৎসক সন্দেহবশত স্তনের টিস্যুর কিছুটা অংশ বায়োপসি পরীক্ষা করতে দেন। পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। অস্ত্রোপচারের পর পুরো টিস্যুর বায়োপসি করানো হয়, তখন খুব সূক্ষ্ম একটা অংশে ক্যানসারের উপস্থিতি পাওয়া যায়।” তবে এ লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন মহিমা।

মনীষা কৈরালা
২০১২ সালে বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এখন কাজ করছেন তিনি। এমনকি নিজের সংগ্রামের জার্নি নিয়ে একটি স্মৃতিকথাও লিখেছেন এই অভিনেত্রী।

তাহিরা কাশ্যপ
২০১৮ সালে অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করেন। তার ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু (DCIS) ধরা পড়ে। যেখানে তার ডান স্তনে উচ্চ-গ্রেডের ক্যানসার কোষ ছিল। চিকিৎসার পর ক্যানসারমুক্ত হন। ২০২৪ সালে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউজিসির সাবেক সচিব ফেরদৌস জামান বরখাস্ত
  • তিন সংস্থার তদন্তেও উত্তর মিলল না রহস্যের
  • তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলে পদ পেলেন সাংবাদিক হেনস্তাকারীরাও 
  • জেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি
  • ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী তারা