জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চুরি করা প্রাইভেট কারে ৪০ কেজি গাঁজা, ৩৬৫ পিস ইয়াবা ও দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার আক্কেলপুর-বগুড়া সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার চকবাজার শুভপুর এলাকার মৃত আব্দুল ছাত্তারের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫), জয়পুরহাট সদর উপজেলার সাখিদারপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪২) এবং কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছাইকট গ্রামের রাকিব হোসেনের স্ত্রীর নাসরিন আক্তার (২৫)।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লা থেকে একটি প্রাইভেট কার চুরি হয়েছে বলে পুলিশ খবর পায়। এসময় থানা-পুলিশ পৌর সদরের আক্কেলপুর-বগুড়া সড়কের সোনামুখী মসজিদ এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসায়। একপর্যায়ে চুরি হওয়া সাদা রঙয়ের প্রাইভেট কারটি থামানো হয়। এসময় প্রাইভেট কারের সামনে থাকা একজন লাফিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গাড়িসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পরে জব্দ করা প্রাইভেট কার তল্লাশি করে ১৪টি প্যাকেটে মোড়ানো ৪০ কেজি গাঁজা এবং ৩৬৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।  

গ্রেপ্তার নাজমা বেগম বলেন, পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তারা কুমিল্লা থেকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দূর্গাদহ বাজারে গাঁজা এবং ইয়াবাগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে গাড়িটি চুরি করা কিনা তা তিনি জানেন না।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, কুমিল্লা থেকে একটি প্রাইভেট কার চুরি করে নিয়ে আসছিল এমন সংবাদ পেয়ে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। গাড়িটি আটক করে থানায় এনে তল্লাশি করলে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। আটক তিনজনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে শহীদদের স্মরণে কোরআন তেলওয়াত ও এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক রায়হান কবীর বলেন, আমরা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। এখনো এই দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। 

এই ষড়যন্ত্র সকলে মিলে রুখে দাড়াতে হবে। আর রুখে দাড়াতে ব্যর্থ হলে যেকোন ভাবে ফ্যাসিষ্টরা আবার থাবা মারতে পারে। তাই সজাগ দৃষ্টি রাখার আহব্বান জানান জেলা প্রশাসক।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ১৪ই ডিসেম্বর জাতিকে মেধা শূন্য করার জন্য নির্বিচারে শিক্ষক,কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ মেধাবীদের হত্যা করা হয়েছিল। এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

তাদের তৎপরতা এখনো চলছে। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এসময় বক্তারা বুদ্ধিজীবি হত্যার সঠিক ইতিহাস তোলে ধরেন। 

জেলা প্রশাসক রায়হান কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হুসাইন সার্বিক, জনাব তারেক আল মেহেদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড: সাখাওয়াত হোসেন এড : আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মাওলানা মঈন উদ্দিন, মাওলানা আঃ জব্বার, ইসলামি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, ইলিয়াস আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর আলম, নিরব রায়হান আহ্বায়ক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এছাড়াও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন, সুদান ট্র্যাজেডিতে শোক
  • ওসমান হাদিকে গুলি: প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সলের স্ত্রী-শ্যালকসহ তিনজনকে আটক
  • শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা
  • অসহায় রিকশাচালক পরিবারের মুখে হাসি ফোটালো নারায়ণগঞ্জ বসুন্ধরা শুভসংঘ
  • গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
  • চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ২