ঝিনাইদহের মহেশপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ছবি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.

নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বিকেল ৩টার দিকে প্রথমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরে তারা হাসপাতাল রোড এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরো একটি ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্ট ও পতিত আওয়ামী লীগের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারে না। এদেশে স্বৈরাচার হাসিনা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলেন। তাই দেশের বড় বড় স্থাপনায় নিজের পরিবারের নাম জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ কারণে আজ বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল তারা ভেঙে দিয়েছেন। 

এদিকে, মহেশপুর থানার সামনে অবস্থিত আওয়ামী লীগের উপজেলা অফিস ও শেখ হাসিনার নামফলকও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা বলে খবর পাওয়া গেছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. নাহিদ হাসান বলেন, “শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে তার ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় মহেশপুরে আমাদের এ কর্মসূচি।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটি সদস্য মো. মেহেদী মিরাজ, মো. ইমামুল হোসেন, উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধির মেহেদী হাসান, মো. সম্রাট, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মো. হালিম বাদশাহ, তরিকুল ইসলাম।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ ম জ ব র রহম ন র ছ ত র জনত ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরখানে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরখানে গ‍্যাসের লাইন লিকেজের আগুনে দগ্ধ এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন স্বামী ময়নুল (৪০) ও স্ত্রী আনোয়ারা (৩২)। ময়নুল পেশায় রিকশাচালক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই দম্পতি দগ্ধ হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে একজন আর রাত ১০টার পরে অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, এই দম্পতি উত্তরখানের ভূইয়াবাড়ি বাঁশতলায় একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন। রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন লাইটার দিয়ে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় আগুনে তাঁরা দগ্ধ হন। তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নেভান। পরে দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলের পাশের সড়কে সিটি করপোরেশনের কাজ চলছিল। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় ওই বাসার গ্যাসের লাইন ফেটে যায়। গত কয়েক দিন ধরেই ফেটে যাওয়া লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। সেখান থেকেই গ‍্যাস লিকেজ হয়েছে। পরে বুধবার রাতেই ফায়ার সার্ভিস এসে পুলিশের উপস্থিতিতে গ‍্যাস লাইনের লিকেজ বন্ধ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ