লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৪৫ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। 

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), লিবিয়ার ত্রিপলীর বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে লিবিয়ার বেনগাজী থেকে এসব নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে ফিরিয়ে আনা এসব বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনা ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকাসহ কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার, মেডিক্যাল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১৯টি দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্বের প্রক্রিয়াসহ সব ধরনের অভিবাসনসংক্রান্ত আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা–সম্পর্কিত উদ্বেগকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশের সবই ইউরোপীয় অঞ্চলের বাইরের।

এ স্থগিতাদেশ এমন ১৯টি দেশের মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যাঁদের ওপর গত জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ যুক্ত হলো। এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক শিবিরের একটি অগ্রাধিকারের বিষয়।

অভিবাসন স্থগিতের তালিকায় যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এ দেশগুলোর ওপর গত জুন মাসে সবচেয়ে কঠোর অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

নতুন নীতির বিবরণসংবলিত নথিতে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হওয়া হামলার ঘটনার উল্লেখ আছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ট্রাম্পকে সোমালিয়ার নাগরিকদের নিয়েও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। তাঁদের ‘আবর্জনা’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাঁদের আমাদের দেশে চাই না।’

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্প কঠোরভাবে অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন এবং দেশটির সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে ভিড় করা আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন প্রায়ই অভিবাসীদের বিতাড়িত করার কথা বলছে। তবে এ পর্যন্ত বৈধ অভিবাসনব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি।

আরও পড়ুনতৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প২৮ নভেম্বর ২০২৫

ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার কথা বলছে। এমন পরিস্থিতির জন্য তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকেও দায়ী করেছে।

অভিবাসন সাময়িকভাবে স্থগিতের তালিকায় যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এ দেশগুলোর ওপর গত জুন মাসে সবচেয়ে কঠোর অভিবাসননিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯টি দেশের তালিকায় আরও রয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। এ দেশগুলোর ওপর গত জুনে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্প কঠোরভাবে অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন ও দেশটির সঙ্গে মেক্সিকোর সীমান্তে ভিড় করা আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।

যে আশ্রয়ের আবেদনগুলোর সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে, সেগুলো এখন নতুন নীতির আওতায় স্থগিত বলে বিবেচিত হবে।

নথিতে এমন কয়েকটি সাম্প্রতিক অপরাধের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যা অভিবাসীরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলার ঘটনাটিও আছে।

আরও পড়ুনতৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করায় কী প্রভাব পড়বে৩০ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ