টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্থগিত হওয়া লালন স্মরণোৎসবের নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার এ স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

মধুপুর অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন লালন স্মরণোৎসবের আহ্বায়ক সবুজ মিয়া।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

জুবায়ের হোসেন, ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শোয়েব, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, মধুপুর লালন সংঘের সভাপতি ফরহাদ হোসেন তরফদার, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র সাহা, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. সবুজ মিয়া, উপজেলা হেফাজতের সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাও. মাহমুদউল্লাহ, কারী মোদাচ্ছের হোসেন, গণমাধ্যমকর্মী এস এম শহীদ, আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হামিদ, বাবুল রানা, লিটন সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মরমী কবি লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে মধুপুর লালন সংঘ গত ১২ ফেব্রুয়ারি  লাল স্মরণোৎসব ২০২৫' আয়োজন করে। ইসলামিক কয়েকটি দলের বাধায় অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান স্থগিত করার পর বিষয়টি সমকাল পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও মধুপুর বিএডিসি ক্যাম্পে স্থাপিত সেনা ক্যাম্প থেকে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অবশেষে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে মধুপুর হেফাজতে ইসলাম প্রতিশ্রুতি দেয় অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা কোনো বাঁধার সৃষ্টি করবে না। মধুপুর লালন সংঘ থেকে বিতর্কিত বক্তব্য, তথ্য ও সঙ্গীত উপস্থাপিত হবে না মর্মেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স মরণ ৎসব অন ষ ঠ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি

শ্রমিক সমা‌জের মু‌ক্তির জন‌্য ইসলামী শ্রমনী‌তি প্রণয়ন ও বাস্তবায়‌নের দা‌বিতে রাজধানীসহ দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সমা‌বেশ ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহ‌যোগী সংগঠনগু‌লো।

মহান মে দিবস উপল‌ক্ষে বৃহস্প‌তিবার (১ মে) সকাল থে‌কে এসব কর্মসূচি পালন ক‌রা হয়।

গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না, তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরি বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না।

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে তার নির্বাচনি এলাকায় শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোনো পথ নেই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সে পথেই হাঁটবে।

তি‌নি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মে দিবসে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাটসহ সাংগঠনিক জেলাগুলো সভা-সমা‌বে‌শ ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ