‎‎দেওভোগ পাক্কারোড এলাকায় একটি বহুতল ভবনের পাইলিং কাজের কারণে ‘দেওভোগ সরকারী প্রাথমিক বালক বালিকা বিদ্যালয়’-এ শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। এতে আতঙ্ক হয়ে পড়েন স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা স্কুলটিতে পাঠদানের জন্য তাদের সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে বর্তমানে স্কুলটিতে পাঠদান প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ছে। 

‎এদিকে এ অবস্থায় স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন মডেল গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মনির হোসেন সরদার। মডেল গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামানের পক্ষে তিনি এ স্কুলটি পরিদর্শনে আসেন বলে জানাগেছে। এসময় তার সাথে ছিলেন, মডেল গ্রুপের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো: আল আমিন, মহানগর যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জাকির হোসেন সেন্টু ও সরকার আলমসহ আরও অনেকে।

‎স্কুলটি পরিদর্শন শেষে মনির হোসেন সরদার সাংবাদিকদের জানান, স্কুলটির আশেপাশে বড় বড় ফাটল থাকলেও স্কুলের ভবনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবুও আমরা একটি ভবনের জন্য চেষ্টা করবো।

‎এদিকে ইঞ্জিনিয়ার মো: আল আমিন প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, পুরো স্কুল ভবনটি আমরা ঘুরে দেখেছি। ভবনে কোন ফাটল আমরা পাইনি। ভবনটি ঠিক আছে। তবে ভবনের আশে পাশে যে ফাটলগুলো আছে সেই ফাটগুলোকে বন্ধ করে কিছুদিন দেখা যেতে পারে ভবনটি হেলে যায় কি না? তবে তাদের কথায় আশ^স্ত হতে পারেননি অভিভাবকরা। তারা উপস্থিত সকলের সামনে এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

‎অভিভাবকরা বলেন, বর্তমানে আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। এ স্কুলে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা পড়াশোনা করে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুব বেশি টেনশনে আছি। কারণ, যে কোন মহুর্তে ভবনটি ভেঙ্গে পড়তে পারে।
‎তারা ইঞ্জিনিয়ার আল আমিনকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনি বলছেন ভবনটি ঠিক আছে। কিন্তু সরকারী ইঞ্জিনিয়ার এসে সব পরীক্ষা করে আমাদের বলে গেছে ভবনটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় আমরা কিছুতেই আমাদের বাচ্চাদের এ স্কুলে পাঠাতে পারি না।
‎অভিভাবকরা বলেন, আপনারা প্রয়োজনে এ স্কুলে পাঠদান বন্ধ রেখে অন্যত্র পাঠদানের ব্যবস্থা করেন। কারণ, আমাদের বাচ্চাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা শুনেছি, আমাদের পাশেই মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহু ভবণ অকার্যকর হয়ে পড়ে রয়েছে, এছাড়া চারুকলা কলেজেও এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আপনারা প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলে আপাতত পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখতে পারেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ আম দ র ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিতে খুলনা রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদে ধস, নথিপত্র বিনষ্ট

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় শত বছরের পুরোনো খুলনা জেলা রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভবনে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভবনে থাকা মূল্যবান নথিপত্র বিনষ্ট হয়েছে।

খুলনা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশ থেকে পানি পড়ে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ছাদ নরম হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভবনটির মাঝখানের ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে নথিপত্রের প্রায় ১০০ বই ভিজে গেছে।

আগেও সেখানে ছাদ ধসের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত ভাড়া বাসায় অফিস স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃষ্টিতে খুলনা রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদে ধস, নথিপত্র বিনষ্ট