বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফতেপুর বেইলি সেতুর ওপর যানজটের কারণে নাকাল মানুষ। তার ওপর আসন্ন ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেতুটি। কারণ ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকছে ওই এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের ফতেপুর গ্রামে ২০০১ সালে ৯০ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট প্রশস্ত একটি বেইলি সেতু করা হয়। সেতুটি সরু হওয়ায় পাশাপাশি দুটি বড় গাড়ি পার হতে পারে না। এতে প্রায়ই সেতুতে গাড়ি আটকা পড়ে যানজট তৈরি হয়। সেতুর দুই পাশের রাস্তা সরু ও রাস্তার পাশে মাটি না থাকায় গাড়িগুলো রাস্তা দখল করে থাকে। ফতেপুর বেইলি সেতু দিয়ে প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, নবীনগর, হোমনা ও কসবা উপজেলার হাজারো মানুষ কড়িকান্দির মেঘনা নদীর ফেরি দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, শরীফপুর ও ফতেপুর গ্রামের মধ্যে একটি খালের ওপর ৯০ ফুটের মতো লম্বা বেইলি সেতুটি রয়েছে। সেতুর প্রস্থ ১০ ফুটের মতো। সেতুসংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে মাটি না থাকায় সরু হয়ে গেছে। যে কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেতুতে যানজট লেগে থাকছে। এখানে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ফলে চালকদের মধ্যে আগে যাওয়ার একটা প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। যে কারণে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘এই রুটে যখন যাত্রী নিয়ে আসি তখন আতঙ্কে থাকি কতক্ষণ যেন অপেক্ষা করতে হয় সেতু পার হতে। প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে অথচ রাস্তা প্রশস্ত করলে এ সমস্যা থেকে আমরা কিছুটা হলেও মুক্তি পেতাম।’

ট্রাকচালক সোলেমান মিয়া জানান, এই সেতু পার হওয়ার সময় প্রায়ই যানজটে পড়তে হয়। বিশেষ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের বেপরোয়া চলাচলের কারণে এই যানজট বেশি লাগে। দুই পাশের রাস্তা সরু হওয়ার কারণে গাড়িগুলো ঠিকভাবে রাখা যায় না। তার ওপর অটোরিকশার চালকরা আগে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেন। এসব কারণেই প্রতিদিন যানজট তৈরি হয়।?

ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া বলেন, ‘ফতেপুর বেইলি সেতুটা আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য একটা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মালপত্র আনা-নেওয়ার সময় প্রায়ই ট্রাক আটকে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ কারণে ট্রাকচালকরা আসতে চান না। এলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। এখানে যদি 
ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে হয়তো যানজট থাকবে না।’

ফরদাবাদ গ্রামের স্কুলশিক্ষক রুহুল আমিনের ভাষ্য, কোনো কাজে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে যাওয়ার সময় প্রায়ই ফতেপুর বেইলি সেতুতে যানজটে পড়তে হয়। সেতুটি ও রাস্তার প্রস্থ কম হওয়ায় এই যানজট লেগে থাকছে।

সড়ক ও জনপদের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তার পরও সেতুর দুইপাশে ইট দিয়ে এসবিবি করে দেওয়ার চেষ্টা করব বরাদ্দ পেলে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা জানান, থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে পুলিশের ব্যবস্থা অথবা গ্রাম পুলিশ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে ঈদ উপলক্ষে মানুষ নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারে এই সেতু দিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট ল গ ব যবস থ ই য নজট র ব যবস র জন য র ওপর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। 

এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন।  সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। 

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি
  • উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৩৫
  • বন্দরে ডেভিল হান্ট অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা আয়াত গ্রেপ্তার  
  • মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ নারীকে হত্যায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, পরিবার বলছে ষড়যন্ত্র
  • কুমিল্লায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার