ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিএনই এক্সপ্লোরেটরি গ্র্যান্ট অর্জন করল এআইইউবি
Published: 22nd, April 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের দুটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন (টিএনই) এক্সপ্লোরেটরি গ্র্যান্ট প্রোগ্রামের অধীনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য অনুদান অর্জন করেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)।
এআইইউবি ও বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটি (বিসিইউ) যৌথভাবে ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক পেশাদার সনদ প্রদান কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে বিসিইউর পক্ষে কাজ করবেন জাভায়েদ বাট, আশিকুল খান ও মুহাম্মদ আদনান। এআইইউবির পক্ষে অংশগ্রহণ করছেন মো.
এ ছাড়া এআইইউবি, নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার প্রসারে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। এই উদ্যোগে এনটিইউর ডেভিড জে ব্রাউন ও আরিফ রহমান, এআইইউবির মাশিউর রহমান, জাবির রিসালা তাসিন খান, বুয়েটের মো. রুবায়েত হোসেন মণ্ডলসহ অনেক বিশিষ্ট গবেষক অংশ নিচ্ছেন।
গবেষণা উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল এবং এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশনের সম্ভাবনা ও সামাজিক মূল্য বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এই অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্প দুটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির উদ্বেগ আদালত অবমাননার শামিল: ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মামলা, রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করেছে।
বুধবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। এর আগে গতকাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল এনসিপি।
দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া নিয়ে এনসিপির উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেনের পক্ষে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা। তা ছাড়া ২০২০ সালে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এটি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়; বরং মোকদ্দমাটি আরও আগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।
নির্বাচনী মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ে হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এনসিপির এ জাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবিরকারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ করেননি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে, তা এককথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আদালত যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায়বিচার হয়নি বলে মনে করে, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বক্তব্য ওই উচ্চ আদালতে রাখারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেসনোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়।’
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতার ইশরাক হোসেনকে গত ২৭ মার্চ মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর এক মাস পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে শপথ গ্রহণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তবে কবে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।