বন্দরে ১৯ থেকে ২৭নং ওয়ার্ড পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
Published: 26th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরে ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে ২৭নং ওয়ার্ড পর্যন্ত আবারো বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে র্তীব্র গরম থাকার কারনে ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ লক্ষারচর উত্তরপাড়া, মধ্যপাড়া, দক্ষিনপাড়া, ইসলামপুর, টিক্কারমোড়, নয়াপাড়া, ফরাজিকান্দা, ২০নং ওয়ার্ডের বেপারি পাড়া, মাহামুদনগর, দড়ি সোনাকান্দা, পশ্চিম হাজীপুর, ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া, এনায়েতনগর, সোনাকান্দা নোয়াদ্দা, রুপালি, ছালেহনগর, শাহীমসজিদ, বাংলাদেশ পাড়া, ২২ নং ওয়ার্ডের রাজবাড়ী,আমিন আবাসিক, রেলী আবাসিক, লেজারার্স,বন্দর খানবাড়ী, স্বল্পের চক, ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর, নবীগঞ্জ মাঠপাড়া, নবীগঞ্জ বাগবাড়ী, কবিলেরমোড়, নবীগঞ্জ বড়বাড়ী, ২৪ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ ইসলামবাগ, নূরবাগ, রসুলবাগ, নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা, কাইতাখালি, বক্তারকান্দী, আমিরাবাদ, ২৫ নং ওয়ার্ডের চৌরাপাড়া, উত্তর লক্ষনখোলা, দক্ষিন লক্ষনখোলা, ২৬ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়া, রামনগর, ইস্পাহানী ও সব শেষে ২৭ নং ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া, মুরাদপুর, চাপাতলীসহ এর আশে পাশের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় পানি সংকট তীব্র আকারে ধারণ করেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তর ও ব্যক্তিবর্গেও সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ১৯ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ডে পানির হাহাকার দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২০ নং ওয়ার্ডের মাহামুদনগর এলাকার বাসিন্দা রিপন জানান, পানি সংকটের কারনে চরম অসুবিধা মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এ ওয়ার্ডের গৃহিণীরা। পানি না থাকার কারনে দৈনন্দিন কাজকর্মে মারাত্মকভাবে বেঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা পানির জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।
২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহিদুল গণমাধ্যমকে জানান, ওয়াসা কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে পানি বঞ্চিত হয়ে পরেছি।
ওয়াসা পানি না থাকার কারনে সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া অধিকাংশ এলাকাবাসী মেরিন টেকনোলজি থেকে পানি টেনে বাসা বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহিউদ্দিন সিদ্দিকী জানান, বন্দরে পানি সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অতিতে পানি সমস্যা সমাধানের জন্য এ ওয়ার্ডে আন্দোলন ও মানববন্ধন হয়েছে ।তার পরও কোন সুফল পায়নি এ ওয়ার্ডবাসী।
পানিবিহীন জীবন যাপন চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র ক রন
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু
কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বরুড়ায় দুই স্কুল ছাত্র এবং মুরাদনগরে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং বিল্লাল হোসেন ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) দুপুরে হালকা বৃষ্টির মাঝে মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দুই স্কুলছাত্র বরুড়ার উপজেলার বড়হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর ঘটনায় মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বজ্রপাতে দুই কৃষক মারা গেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত বীর চরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৫) ও উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩২) মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ২ ব্যক্তি।
কোরবানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থনের পাশের একটি মাঠে জমিতে ধান কাটছিলেন ওই দুই কৃষক। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে ঘটনাস্থলে ওই দুই কৃষক মারা যান। পরে এলাকাবাসী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় খবর দেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে দুই জন কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।