ভালো কাজগুলো নিচে পড়ে গেছে, অভিযোগ বিষয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট
Published: 3rd, May 2025 GMT
চারদিক থেকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। ক্রিকেট বোর্ডের অর্থ এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তরের অভিযোগ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ব্যবসা নিয়েও তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তা।
নিজের দিকে ধেয়ে আসা অভিযোগগুলোকে পক্ষপাতিত্বমূলক অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা বলে আখ্যায়িত করেছেন ফারুক আহমেদ। ভালো কাজগুলো সামনে আনা হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমরা আসলে অনেক সময় আমি জানি না, ভালো কাজগুলো নিচে পড়ে যায় বাইরের প্রভাবে।”
শনিবার (৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন ফারুক আহমেদ। তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের আলীগ নেতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, বিসিবির টাকায় তাকে হোটেলে রাখার অভিযোগও উঠেছে ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট রেজিম কিন্তু ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে বানানো। এটা নিয়ে আমি দীর্ঘ আলোচনা করতে চাই না…। ফ্যাসিস্টের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। ফ্যাসিস্ট রেজিমের সঙ্গে যদি সম্পর্ক থাকত, আমি আজকে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতাম না। আমি কিন্তু বিসিবি প্রেসিডেন্ট এই নতুন সরকারের সময়ে। এটা কিন্তু আপনাদের বুঝতে হবে। নতুন সরকার যদি ফ্যাসিস্টের সঙ্গে বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা দেখত, তাহলে কিন্তু আমি এখানে আসতাম না আজকে।”
টাকা ট্রান্সফার নিয়ে নতুন কোনো মন্তব্য করেননি ফারুক আহমেদ। আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করে বিসিবির স্বার্থে এটি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছিল বোর্ড।
ফারুক আহমেদ গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ভালো কাজের প্রশংসা করব, খারাপ কাজের সমালোচনা হবে। এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। কিন্তু, মাঝে মাঝে ভালো কাজগুলো নিচে চাপা পড়ে যায় এই খারাপ কাজের ভিড়ে। সো আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, বিকজ আপনারা যদি সত্যিটা তুলে ধরেন এবং আনবায়াসডলি কাজ করেন, আমার মনে হয় যে, আননেসেসারি সমালোচনামুক্ত হতে পারি।”
“এটা আমার সবার কাছে রিকুয়েস্ট থাকবে, কেননা আমি এমন এক জন মানুষ, আপনারা যদি গঠনমূলক সমালোচনা করেন, সেটা কিন্তু অ্যাকসেপ্টেড। কিন্তু, কিছু বিষয় আছে আননেসেসারি সমালোচনা; আশা করি, না করলেই ভালো। আমাদের মেইন ফোকাসটা সরে যায় তাহলে। আমার মেইন দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়া, ওইগুলোতে আমার যে ত্রুটিগুলো আছে, সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব, তারপরে বাকি কাজ,” যোগ করেন ফারুক আহমেদ।
ঢাকা/রিয়াদ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডসহ ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
প্রাথমিক উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করি, সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হবে। প্রকল্পের ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যারা বাস্তবায়ন করবে, তাদের প্রশিক্ষণও চলছে। আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে সেপ্টেম্বরেই মাঠে নামা যাবে।’ তিনি আরও বলেন, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজুড়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে বড় প্রকল্পটি ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হবে, অন্য প্রকল্পটি কক্সবাজার ও বান্দরবানে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়াসহ প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ এবং পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষার বাইরে থাকলেও তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা চালু আছে।
সরকারি বিদ্যালয়ে সময় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১ বছরে মাত্র ১৮০ দিন স্কুল থাকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংযোগ যদি না থাকে, তাহলে শেখার সুযোগ সীমিত হয়। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে রূপান্তর করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি যাচাই ও অনুমোদন করার জরুরি নির্দেশনা০৩ আগস্ট ২০২৫এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং পরিচালক (নীতিনির্ধারণ ও কার্যক্রম) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁরা মাঠপর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫: প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনবিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ই-ভিসা চালু করল যুক্তরাজ্য৭ ঘণ্টা আগে