বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নানের সপরিবারে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 5th, May 2025 GMT
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্ত্রী তাহমিদা বেগম, ছেলে শেখ লাবিব হান্নান এবং মেয়ে সানজিদা আক্তারসহ ১২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক পাঁচটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। দুদকের অনুসন্ধান টিমের তদন্ত কর্মকর্তারা এই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল নিক্ষেপ, ভিডিও ভাইরাল
পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশঙ্কা
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন, এস আলম গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও আলোচিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের (এস আলম) দৌহিত্র আরিফ আহমেদ,সনি, জাফর আহমদ ও তার ছেলে রিয়াদ আহসান। পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মঞ্জুর আহসান ও স্ত্রী নার্গিস খানম। জিলস ওয়ারস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন তারেক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম মো.
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার উপ-পরিচালক তানজির হাসিব সরকার। আবেদনে বলা হয়, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শেখ আব্দুল হান্নান এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে শেখ আব্দুল হান্নান এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশযাত্রা আটকানো আবশ্যক।
আরিফ সনির নিষেধাজ্ঞার আবেদনে সংস্থার সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী বলেন, আরিফ আহমেদ সনির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আরিফ আহমেদ সনি, রিয়াদ আহসান, জাফর আহমদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (চট্টগ্রাম, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায় এবং দেশের বাইরে মালয়েশিয়া ও তুরস্কসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা চট্টগ্রাম ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বলে আবেদন বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
মঞ্জুর আহসান এবং তার স্ত্রী মোছা. নার্গিস খানমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, মঞ্জুর আহসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সরকারী অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অবিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ অবস্থায় তারা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, এ জন্য তাদের বিদেশগমন রোধ করা প্রয়োজন।
জহির উদ্দিন তারেক এবং জসিম মো. আল আমিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সহকারি পরিচাএক বিলকিস আক্তার।
আবেদনে বলা হয়, জহির উদ্দিন তারেক, জসিম মো. আল আমিনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচার, সরকারের শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বংশাল শাখা থেকে ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তাদের পাচার করা অর্থ পুনরূদ্ধার করা দুরুহ হয়ে পড়বে। তারা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বিদেশ গমন রহিতকরণের নিষেধাজ্ঞা অতীব জরুরি।
মেহেদী হাসানের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগসংশ্লিষ্ট মেহেদী হাসান দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানতে পারায় তার বিদেশ গমন আটকে এই নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এম/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ দ শ ত য গ কর অন য ন য আহস ন করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নানের সপরিবারে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্ত্রী তাহমিদা বেগম, ছেলে শেখ লাবিব হান্নান এবং মেয়ে সানজিদা আক্তারসহ ১২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক পাঁচটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। দুদকের অনুসন্ধান টিমের তদন্ত কর্মকর্তারা এই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল নিক্ষেপ, ভিডিও ভাইরাল
পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশঙ্কা
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন, এস আলম গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও আলোচিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের (এস আলম) দৌহিত্র আরিফ আহমেদ,সনি, জাফর আহমদ ও তার ছেলে রিয়াদ আহসান। পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মঞ্জুর আহসান ও স্ত্রী নার্গিস খানম। জিলস ওয়ারস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন তারেক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম মো. আল আমিন। ওরিয়ন গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট মেহেদী হাসান।
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার উপ-পরিচালক তানজির হাসিব সরকার। আবেদনে বলা হয়, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শেখ আব্দুল হান্নান এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে শেখ আব্দুল হান্নান এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশযাত্রা আটকানো আবশ্যক।
আরিফ সনির নিষেধাজ্ঞার আবেদনে সংস্থার সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী বলেন, আরিফ আহমেদ সনির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আরিফ আহমেদ সনি, রিয়াদ আহসান, জাফর আহমদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (চট্টগ্রাম, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায় এবং দেশের বাইরে মালয়েশিয়া ও তুরস্কসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা চট্টগ্রাম ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বলে আবেদন বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
মঞ্জুর আহসান এবং তার স্ত্রী মোছা. নার্গিস খানমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, মঞ্জুর আহসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সরকারী অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অবিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ অবস্থায় তারা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, এ জন্য তাদের বিদেশগমন রোধ করা প্রয়োজন।
জহির উদ্দিন তারেক এবং জসিম মো. আল আমিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সহকারি পরিচাএক বিলকিস আক্তার।
আবেদনে বলা হয়, জহির উদ্দিন তারেক, জসিম মো. আল আমিনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচার, সরকারের শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বংশাল শাখা থেকে ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তাদের পাচার করা অর্থ পুনরূদ্ধার করা দুরুহ হয়ে পড়বে। তারা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বিদেশ গমন রহিতকরণের নিষেধাজ্ঞা অতীব জরুরি।
মেহেদী হাসানের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগসংশ্লিষ্ট মেহেদী হাসান দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানতে পারায় তার বিদেশ গমন আটকে এই নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এম/রাসেল