ইন্টারনেট গেমের মাধ্যমে বাচ্চারা বিপথগামী হচ্ছে : রিয়াদ চৌধুরী
Published: 5th, May 2025 GMT
মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছিলো। সমাজে বর্তমানে প্রধান সমস্যা হলো মাদক। এ এলাকার যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি দূর্নাম ও রয়েছে। এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছড়াছড়ি ছিলো তা আজ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ৫ আগস্টের পর মাদক নির্মূলে এলাকার অনেকেই কাজ করেছে।
জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমানের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সোমবার বিকেলে ফতুল্লা পোস্ট রোড অফি রোড এলাকায় ফতুল্লা থানা কৃষকদলের উদ্দেগ্যে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। ইন্টারনেটের গেমের মাধ্যমে বাচ্চারা বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে। এ কারনে আত্নহত্যার দিকে ও ঝুকে পরছে কিশোর ও বাচ্চারা। ৫ তারিখের পূর্বে ফতুল্লার মতো সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ প্রতিটি সেক্টর কুক্ষিগত করে রেখেছিলো। তারা নিজেদের মতো করে সকল কিছু চিন্তা করতো।
আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এলাকাবাসীর এগিয়ে আসতে হবে। ইতি মধ্যেই আমরা কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী দমনে জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি।
তারা ও আমাদের কে আশ্বাস দিয়েছে মাদক, কিশোরগ্যাং, ছিনতাইকারীসহ অপরাধ দমনে কাজ সর্বক্ষেত্রে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, সমাজের সকলে সজাগ থাকবেন আওয়ামীলীগের দোসর প্রেত্নাতারা যেনো আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমানের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ আলহাজ তৈয়বুর রহমান, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা তাতি দলের আহবায়ক ইউনুছ মাস্টার, ফতুল্লা ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান উম্মে তাহেরা আখিঁ প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ক দল র
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবানিয়া এলাকার প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মীর হোসেনের পরিবারের তিন সদস্যকে জিম্মি করেছে। এরপর তাঁদের বেঁধে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। ঘরে থাকা এক শিশুর গলায়ও ছুরি ধরেছে ডাকাতদলের এক সদস্য।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মীর হোসেনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন। গতকাল রাতে বাড়িতে তাঁর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছোট মেয়ে ও বড় মেয়ের কন্যাশিশু ছিল। ডাকাতদল হঠাৎ জোরে ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকে। এরপর তাঁর ছেলে ও মেয়েকে হাত বেঁধে পাশের কক্ষে ফেলে রাখে।
মাসুদা আক্তার বলেন, ‘ডাকাত সদস্যরা আমার ছেলে ও ছোট নাতনির গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা আমার কানের দুল, গলার চেইন, মেয়ের কানের দুল, নগদ ৯ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি মুঠোফোন ও একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। ঘরের ভেতর ছয়জন ডাকাত প্রবেশ করলেও বাইরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাতেরা চলে গেলে আমরা একজন আরেকজনের হাতের বাঁধন খুলে পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।’
ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদা আক্তারদের প্রতিবেশী মো. সেলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখি আলমারি খুলে কাপড়চোপড়সহ জিনিসপত্র সব এলোমেলো করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দরজা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত শাবলও ফেলে গেছে ডাকাতেরা। পরিবারের সদস্যরা এখনো আতঙ্কে ভুগছে।’
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে এখন পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনা কেউ জানায়নি। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।