মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছিলো। সমাজে বর্তমানে প্রধান সমস্যা হলো মাদক। এ এলাকার যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি দূর্নাম ও রয়েছে। এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছড়াছড়ি ছিলো তা আজ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ৫ আগস্টের পর মাদক নির্মূলে এলাকার অনেকেই কাজ করেছে।

জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমানের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায়  সোমবার বিকেলে ফতুল্লা পোস্ট রোড অফি রোড এলাকায় ফতুল্লা থানা কৃষকদলের উদ্দেগ্যে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। ইন্টারনেটের গেমের মাধ্যমে বাচ্চারা বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে। এ কারনে আত্নহত্যার দিকে ও ঝুকে পরছে কিশোর ও বাচ্চারা।  ৫ তারিখের পূর্বে  ফতুল্লার মতো সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ প্রতিটি সেক্টর কুক্ষিগত করে রেখেছিলো। তারা নিজেদের মতো করে সকল কিছু চিন্তা করতো। 

আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এলাকাবাসীর এগিয়ে আসতে হবে। ইতি মধ্যেই আমরা কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী দমনে জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। 

তারা ও আমাদের কে আশ্বাস দিয়েছে মাদক, কিশোরগ্যাং, ছিনতাইকারীসহ অপরাধ দমনে কাজ সর্বক্ষেত্রে কাজ করবে। 

তিনি আরো বলেন, সমাজের সকলে সজাগ থাকবেন আওয়ামীলীগের দোসর প্রেত্নাতারা যেনো আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমানের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা  ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ আলহাজ তৈয়বুর রহমান, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা তাতি দলের আহবায়ক ইউনুছ মাস্টার, ফতুল্লা ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান উম্মে তাহেরা আখিঁ প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ক দল র

এছাড়াও পড়ুন:

‘গাড়িটা নৌকার মতো ভাসতেছিল, ড্রাইভাররে বললাম দরজার লক খুলে দিতে’

ঘরে রাখা সাতটি লাশ ঘিরে আহাজারি করছেন স্বজনেরা। তবে বিছানায় শুয়ে থাকা বৃদ্ধ আবদুর রহিমের কোনো সাড়াশব্দ নেই। কেবল চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল পানি। স্ত্রী, শাশুড়ি, তিন নাতনি ও দুই পুত্রবধূকে হারিয়ে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।

আজ বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপালী এলাকার কাসারি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এর আগে ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব জগদীশপুর এলাকায় একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস খালে পড়ে আবদুর রহিমের পরিবারের সাত সদস্য নিহত হন। রহিমের ওমানপ্রবাসী ছেলে আবদুল বাহারকে নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা।

খালে পড়ে গাড়িটা নৌকার মতো ভাসতেছিল, ড্রাইভাররে বললাম দরজার লক খুলে দিতে। সে লক খুলে দিলে সবাই সাঁতার কেটে বের হতে পারতাম। কিন্তু ড্রাইভার লক না খুলে নিজে একটা জানালা দিয়া বের হইয়া গেছে। আমরা কয়েকজন পরে জানালা ভেঙে বের হইছি। আমার মা-মেয়েসহ বাকিরা গাড়িতেই শেষ।আবদুল বাহার, ওমানপ্রবাসী

নিহত ব্যক্তিরা হলেন—আবদুর রহিমের শাশুড়ি ফয়জুন নেসা (৮০), স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৫৫), পুত্রবধূ কবিতা বেগম (৩০) ও লাবনী বেগম (৩০) এবং নাতনি রেশমি আক্তার (১০), মীম আক্তার (২) ও লামিয়া আক্তার (৯)।

চৌপালী এলাকার কাসারি বাড়িতে পাশাপাশি সাতটি ঘর। একপাশে চৌচালা একটি টিনের ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস আবদুর রহিমের। সরেজমিনে বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সাত সদস্য নিহতের খবর পেয়ে ঘরটিতে কয়েক শ মানুষ ভিড় করেছেন। উঠানেও মানুষের জটলা। ঘরে লাশগুলো ঘিরে বেশ কিছু নারী-পুরুষ আহাজারি করছেন। বিছানায় শুয়ে থাকা আবদুর রহিমকে অনেকেই সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে কোনো জবাব নেই তাঁর। একপর্যায়ে বিছানা থেকে কোলে করে তাঁকে উঠানে নিয়ে এসে চেয়ারে বসিয়ে দেন কয়েকজন স্বজন।

উঠানে কান্না করতে দেখা যায় আবদুর রহিমের ওমানপ্রবাসী ছেলে বাহারকে। স্বজনদের নিজের দেশে ফেরার দিনে এমন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। বাহার বলেন, ‘আমি ফিরে আসছিলাম সবাইরে বুকে জড়িয়ে ধরতে, অথচ চোখের সামনে সবাইরে হারাই ফেললাম। কারে ছেড়ে কারে বাঁচাব বুঝতে পারি নাই, আমি এখন কারে নিয়ে বাঁচব।’

সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যুর খবরে ভিড় করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা। আজ সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপালী এলাকার কাসারি বাড়িতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ