‘কেজিএফ’ সিনেমার কাশিম চাচা মারা গেছেন
Published: 6th, November 2025 GMT
কন্নড় অভিনেতা হরিশ রায় মারা গেছেন। এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ৫৫ বছর বয়সে ক্যানসারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ‘কেজিএফ’ ছবিতে কাশিম চাচা চরিত্রে অভিনয় করে আলাদা পরিচিতি পান তিনি।
আরও পড়ুনট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে, ১০ ছবিতে চিনে নিন ‘কেজিএফ’ অভিনেত্রীকে২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন হরিশ রায়। সবশেষ বেঙ্গালুরুর কিদওয়াই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানেই মৃত্যু হয় এ অভিনেতার।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এরপর সেটি ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পাকস্থলীতে।
চিকিৎসার ব্যয় এতটাই বেশি ছিল যে হরিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রতিটি সার্কেলে তিনটি ইনজেকশন প্রয়োজন ছিল তাঁর। যেখানে একটি ইনজেকশনের দাম ৩ লাখ ৫৫ হাজার রুপি। এক সার্কেলের মোট খরচ দাঁড়াত ১০ লাখ ৫০ হাজার রুপি। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের ১৭ থেকে ২০টি ইনজেকশনের প্রয়োজন হতো, যার ফলে চিকিৎসার আনুমানিক খরচ প্রায় ৭০ লাখ রুপিতে পৌঁছেছিল। সেই ব্যয় বহন করতে গিয়ে তাঁর পরিবার হিমশিম খাচ্ছিল।
চলচ্চিত্রজীবনে কন্নড়, তামিল ও তেলেগু চলচ্চিত্রে হরিশ অভিনয় করেছেন। ‘কেজিএফ’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘সামারা’, ‘বেঙ্গালুরু আন্ডারওয়ার্ল্ড’, ‘ওম’, ‘রাজ বাহাদুর’, ‘সঞ্জু ওয়েডস গীতা’, ‘স্বয়ংবর’, ‘নল্লা’।
এই অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রজগতের অনেকেই গভীর শোক জানিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টানা দুই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ফল হয়নি। দ্বিতীয়টিতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল সফরকারী ভারত। কিন্তু পরের দুটি জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা। এর ফলে সিরিজ হারও এড়িয়েছে গৌতম গম্ভীরের শিষ্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) ক্যানবেরায় চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান করে। জবাবে ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর প্যাটেল ও শিভব দুবের বোলিং তোপে ১৮.২ ওভারে মাত্র ১১৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ৪৯ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় ভারত।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ৩ রানে হারল উইন্ডিজ
বিপিএলের ৫ দলের নাম প্রকাশ
বল হাতে ভারতের ওয়াশিংটন সুন্দর ১.২ ওভারে ৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। অক্ষর ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর দুবে ২ ওভারে ২০ রানে নেন ২টি।
ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ও মিডল অর্ডারের তিনজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। ব্যাট হাতে অধিনায়ক মিচেল মার্শ ৪টি চারে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। ম্যাথিউ শর্ট করেন ২৫ রান ২ চার ও ২ ছক্কায়। এছাড়া মার্কাস স্টয়েনিস ১৭, টিম ডেভিড ১৪, জশ ইংলিস ১২ ও জশ ফিলিপে করেন ১০ রান।
তার আগে ভারতের ইনিংসেও টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান এবং মিডল ও লোয়ার অর্ডারের একজন করে ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করেন।
তার মধ্যে শুভমান গিল ৪টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। অভিষেক শর্মার ব্যাট থেকে আাসে ২৮ রান। দুবে ২২ ও সূর্যকুমার যাদব করেন ২০ রান। শেষদিকে অক্ষর ১১ বলে অপরাজিত ২১ ও সুন্দর ১২ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ১৬৭ পর্যন্ত নেন।
অস্ট্রেলিয়ার নাথান এলিস ৪ ওভারে ২১ রানে ৩টি ও অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ৪৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। ব্যাট হাতে ২১ ও বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অক্ষর প্যাটেল।
ঢাকা/আমিনুল