বিটরুট প্রাকৃতিকভাবে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে

বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট আছে। নাইট্রেট রক্তনালিকে শিথিল করে। এতে রক্তসঞ্চালন সহজ হয়। তাই বিটরুট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

ব্যায়ামের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটায়

দৌড়বিদ ও খেলোয়াড়েরা বিটরুটের জুস খান। কারণ, এটি শরীরে অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি বাড়ায়। কোনো কাজ করার সময় আপনার শরীর কতটা ভালোভাবে অক্সিজেন ব্যবহার করতে পারে, সেটাই অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি। অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি বাড়লে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা যায়। সহজে ক্লান্তি আসে না।

যকৃতের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়

বিটরুটে বিটেইনস নামের উপাদান থাকে। এটি যকৃতকে কর্মক্ষম রাখে। শরীর থেকে সহজেই ক্ষতিকর পদার্থগুলো বেরিয়ে যায়।

হজমে সহায়তা করে

বিটরুটের আঁশ পেটের জন্য ভালো। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।

আরও পড়ুনরক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াবে যে ১০ খাবার২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

বিটরুটের নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এতে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে করা সম্ভব হয়। এ কারণেই একটু বয়সীদের জন্য বিটরুট এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকারী।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়

বিটরুটে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, আয়রন ও ফোলেট। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখে।

বিটরুটে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী যৌগ আছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পর্যন্ত ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন: শফিকুল

বর্তমান সময়ে যাঁরা ভালো জানেন, তাঁরা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পর্যন্ত ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘সরকার মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) নিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন ও মাইলস্টোন নিয়ে ভুয়া খবরের পরিমাণ ছিল অযাচিত। চট্টগ্রাম পোর্ট এবং উত্তরপাড়া নিয়ে যে পরিমাণ মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছে, তা অকল্পনীয়।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন শফিকুল আলম। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আলোচনায় শফিকুল আলম বলেন, সরকারের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক ১৯৪৭ সাল থেকে ওঠানামা করছে। কখনো ভালো অবস্থায়, কখনো আবার খারাপ অবস্থায়। আইয়ুব খানের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু ’৯০ এর পর সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পেয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতার অবস্থা তলানিতে গিয়েছিল। হাসিনার আমলের সাংবাদিকতার দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চলছে।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বর্তমানে অনেকে মবের ভয় পাচ্ছেন, তবে আমরা কখনো কোনো নিউজ নিয়ন্ত্রণ করব না। এখন প্রশ্ন হলো, সামনে যদি রাজনৈতিক সরকার আসে, তাহলে কি এই সংস্কৃতি থাকবে? বর্তমানে এমন মানুষও মিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছেন, যাঁরা ভালো জানেন, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পর্যন্ত।’

বিদেশে মিসইনফরমেশন ছড়ালে জরিমানা করা হয় উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রতিদিন টক শোতে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমরা মেটাকে ফেসবুকে মিসইনফরমেশন নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।’

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ