৩০ ছক্কার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড
Published: 6th, November 2025 GMT
৩০ ছক্কা, ২৪ চার, ৪১১ রান—অকল্যান্ডে চার-ছক্কায় ভরপুর নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শেষটাও হলো নাটকীয়। ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রায় জিতেই গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ বলে ছক্কার সমীকরণ মেলাতে না পেরে ৩ রানে হেরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১২ ওভারে স্কোর ৮১/২। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের স্কোরটা এমনই ছিল। সেখান থেকেই আজ ২০ ওভার শেষে কিউইদের রান ৫ উইকেটে ২০৭। শেষ ৮ ওভারে ১২৬ রান!
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসেও একই গল্প। ১৪তম ওভারে ১০০ ছোঁয়ার পরই হঠাৎ করেই যেন ক্যারিবীয়দের মনে পড়ল ম্যাচটা তাঁদের জিততে হবে। এরপর ইডেন পার্কে ঝড় আবারও চার-ছক্কার ঝড় এবং দলটি প্রায় জিতেই গিয়েছিল। শেষ বলে ম্যাথু ফোর্ড ছক্কা মারলেই তো অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা কিউই পেসার কাইল জেমিসন মাথা ঠান্ডা রেখে স্লোয়ার ডেলিভারি করেই ছক্কা মারতে দেননি ফোর্ডকে। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় আকাশে উঠে যায় বল, আউট না হলেও মাত্র ১টি রানই হয়। তাতে শেষ ৭ ওভারে ১১০ রান তুলেও ৩ রানে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১-এ সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৪তম ওভারটা যখন শুরু হলো, দলটির স্কোর ৯৪/৬। নিউজিল্যান্ড বড় জয় পেতে যাচ্ছে, এমনটা মনে হওয়াই তখন স্বাভাবিক। রোমারিও শেফার্ড, রোভম্যান পাওয়েল ও ম্যাথু ফোর্ডরা অবশ্য অন্যরকম ভাবলেন, ঝড় তুললেন ও দলকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। রোস্টন চেজের বিদায়ের পর শেফার্ড-পাওয়েলের সপ্তম উইকেটে জুটিতে ২৪ বলেই ওঠে ৬২ রান। শেফার্ডের (৪ ছক্কায় ১৬ বলে ৩৪) বিদায়ের ফোর্ডকে নিয়ে পাওয়েল ১৮ বলে যোগ করেন আরও ৪৭ রান। ৩ বলে যখন ৬ রান দরকার জেমিসনে স্লোয়ারে থার্ডম্যানে মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে ক্যাচ দেন ১৬ বলে ৪৫ রান করা পাওয়েল। যাওয়ার আগে ৬টি ছক্কা মেরেছেন পাওয়েল। পরের বলে আকিল হোসেন ১ রান নেন। তাতে শেষ বলে ৫ রান দরকার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেই বলে ১ রান নিতে পারেন ১৩ বলে ২৯ রান করা ফোর্ড।
না জিতলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে শেষ ৫ ওভারে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৭ রান দুলে ভেঙেছে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৮৬ রানের রেকর্ড।
এর আগে ১৩তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের ঝড়ের সূচনা মার্ক চ্যাপম্যানের ব্যাটে। রোমারিও শেফার্ডের ৮ বলের সেই ওভারে উঠল ২৬ রান, ৩ ছক্কা ও ১ চারে যার ২৪-ই চ্যাপম্যানের। ১০, ২৩, ২৩, ৬, ৮, ১১ ও ১৯—শেষ সাত ওভারে রান।
১৭তম ওভারের বৈধ প্রথম বলে চ্যাপম্যানের বিদায়ের পরই রান তোলার গতিটা একটু কমে যায় নিউজিল্যান্ডের। ২৭ বলে ৭৮ রান করার পর ২৮তম বলে আউট হয়েছেন চ্যাপম্যান। ৪টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মেরেছেন হংকংয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ২৫ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন ওপেনার টিম রবিনসন। এ ছাড়া ড্যারিল মিচেল ১৪ বলে ২৮ ও মিচেল স্যান্টনার ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ ছক্কার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড
৩০ ছক্কা, ২৪ চার, ৪১১ রান—অকল্যান্ডে চার-ছক্কায় ভরপুর নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শেষটাও হলো নাটকীয়। ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রায় জিতেই গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ বলে ছক্কার সমীকরণ মেলাতে না পেরে ৩ রানে হেরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১২ ওভারে স্কোর ৮১/২। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের স্কোরটা এমনই ছিল। সেখান থেকেই আজ ২০ ওভার শেষে কিউইদের রান ৫ উইকেটে ২০৭। শেষ ৮ ওভারে ১২৬ রান!
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসেও একই গল্প। ১৪তম ওভারে ১০০ ছোঁয়ার পরই হঠাৎ করেই যেন ক্যারিবীয়দের মনে পড়ল ম্যাচটা তাঁদের জিততে হবে। এরপর ইডেন পার্কে ঝড় আবারও চার-ছক্কার ঝড় এবং দলটি প্রায় জিতেই গিয়েছিল। শেষ বলে ম্যাথু ফোর্ড ছক্কা মারলেই তো অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা কিউই পেসার কাইল জেমিসন মাথা ঠান্ডা রেখে স্লোয়ার ডেলিভারি করেই ছক্কা মারতে দেননি ফোর্ডকে। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় আকাশে উঠে যায় বল, আউট না হলেও মাত্র ১টি রানই হয়। তাতে শেষ ৭ ওভারে ১১০ রান তুলেও ৩ রানে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১-এ সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৪তম ওভারটা যখন শুরু হলো, দলটির স্কোর ৯৪/৬। নিউজিল্যান্ড বড় জয় পেতে যাচ্ছে, এমনটা মনে হওয়াই তখন স্বাভাবিক। রোমারিও শেফার্ড, রোভম্যান পাওয়েল ও ম্যাথু ফোর্ডরা অবশ্য অন্যরকম ভাবলেন, ঝড় তুললেন ও দলকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। রোস্টন চেজের বিদায়ের পর শেফার্ড-পাওয়েলের সপ্তম উইকেটে জুটিতে ২৪ বলেই ওঠে ৬২ রান। শেফার্ডের (৪ ছক্কায় ১৬ বলে ৩৪) বিদায়ের ফোর্ডকে নিয়ে পাওয়েল ১৮ বলে যোগ করেন আরও ৪৭ রান। ৩ বলে যখন ৬ রান দরকার জেমিসনে স্লোয়ারে থার্ডম্যানে মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে ক্যাচ দেন ১৬ বলে ৪৫ রান করা পাওয়েল। যাওয়ার আগে ৬টি ছক্কা মেরেছেন পাওয়েল। পরের বলে আকিল হোসেন ১ রান নেন। তাতে শেষ বলে ৫ রান দরকার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেই বলে ১ রান নিতে পারেন ১৩ বলে ২৯ রান করা ফোর্ড।
না জিতলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে শেষ ৫ ওভারে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৭ রান দুলে ভেঙেছে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৮৬ রানের রেকর্ড।
এর আগে ১৩তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের ঝড়ের সূচনা মার্ক চ্যাপম্যানের ব্যাটে। রোমারিও শেফার্ডের ৮ বলের সেই ওভারে উঠল ২৬ রান, ৩ ছক্কা ও ১ চারে যার ২৪-ই চ্যাপম্যানের। ১০, ২৩, ২৩, ৬, ৮, ১১ ও ১৯—শেষ সাত ওভারে রান।
১৭তম ওভারের বৈধ প্রথম বলে চ্যাপম্যানের বিদায়ের পরই রান তোলার গতিটা একটু কমে যায় নিউজিল্যান্ডের। ২৭ বলে ৭৮ রান করার পর ২৮তম বলে আউট হয়েছেন চ্যাপম্যান। ৪টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মেরেছেন হংকংয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ২৫ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন ওপেনার টিম রবিনসন। এ ছাড়া ড্যারিল মিচেল ১৪ বলে ২৮ ও মিচেল স্যান্টনার ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।