গরু চুরির মামলায় ফেনীর দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আরো পড়ুন:

বরগুনায় ২ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মামলা

শহীদ জসিমের মেয়ে লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা

গ্রেপ্তার আলা উদ্দিন পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকার মজিবুল হকের ছেলে। 

সূত্র জানায়, গত ৫ অক্টোবর মধ্যরাতে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া খুশিপুর এলাকার দুইটি বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়। গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকা থেকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার আলা উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার বলেন, ‍“আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে ভিন্ন মতের রাজনীতি করার কারণে কয়েকটি মামলার আসামি হয়েছিলেন। ওই মামলাগুলোতে তিনি জামিনে আছেন। বর্তমানে নিজ দলের কেউ প্রতিহিংসা করে তাকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছেন।”

দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “যদি এ ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তা দলের জন্য বিব্রতকর। ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যদি তিনি (আলা উদ্দিন) জড়িত থাকেন অবশ্যই তার বিচার হোক। আইন সবার জন্য সমান। এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হবে।”  

দাগনভূঞা থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “গরু চুরির মামলায় আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দাগনভূঞা ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম মল অভ য গ প র এল ক র দ গনভ ঞ ত র কর উদ দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদগাহ মাঠের পুরনো দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আহত ২০

ঈদগাহ মাঠের পুরানো দ্বন্দ্ব নিয়ে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার মধ্য পুংগলী গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে মধ্য পুংগলী গ্রামে হাজী গোষ্ঠী ও বাদশাহ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে টর্চ জ্বালিয়ে সংঘর্ষ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে নবীন বরণে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৪

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদগাহ মাঠে নামাজে সামনে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পুরনো সেই বিরোধের জেরে আজ সকালে আবারো উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত ২০ জনকে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকিউল আজম বলেন, “পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো পক্ষ থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি।” 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ