জুদ বেলিংহামের গোলে জুভেন্টাসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার দিবাগত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাবেউয়ে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে যদিও মাদ্রিদের খেলায় ছিল ছন্দপতন। তবু জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা সফল।

প্রথমার্ধ থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল মাদ্রিদ। ব্রাহিম দিয়াজ, অরেলিয়ান চুয়ামেনি ও তরুণ আরদা গুলার একাধিকবার পরীক্ষা নেন জুভেন্টাস গোলকিপার মিশেল দি গ্রেগরিওকে। সুযোগ এসেছিল এদার মিলিতাওয়ের সামনেও। কিন্তু তার শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। তবে দি গ্রেগরিওর সেরা সেভটি আসে বিরতির ঠিক আগে। কিলিয়ান এমবাপের শক্তিশালী বাঁ-পায়ের শট কাঁধ ও মুখ দিয়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে পারত জুভেন্টাস। দুশান ভ্লাহোভিচ একদম একা পেয়ে যান থিবো কোর্তোয়াকে। কিন্তু কোর্তোয়ার দুরন্ত রিফ্লেক্সে সে সুযোগ হাতছাড়া হয়। আর সেখানেই আসে টার্নিং পয়েন্ট। ৫৭ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে রিবাউন্ড থেকে গোল করেন বেলিংহাম।

এরপরও থেমে থাকেনি মাদ্রিদ। এমবাপে আবারও গোলের সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু দি গ্রেগরিওর অবিশ্বাস্য সেভে তা আটকা পড়ে। কিছুক্ষণ পর দিয়াজের শটও গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেয় জুভেন্টাসের রক্ষণভাগ। শেষ দিকে ফিলিপ কোস্টিচের একটি শট বিপজ্জনকভাবে গোলের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু কোর্তোয়া দারুণ দক্ষতায় তা প্রতিহত করেন। তাতে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভি আলোনসোর শিষ্যরা।

বেলিংহামের এই গোল ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে তার চতুর্থ গোল। যা অন্য যেকোনো দেশের দলের চেয়ে বেশি।

অন্যদিকে কোর্তোয়া গড়েছেন অনন্য এক মাইলফলক। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এটি ছিল তার ৩০০তম ম্যাচ। ক্লাবের ইতিহাসে কেবল ইকার ক্যাসিয়াস, পাকো বুইয়ো ও মিগুয়েল অ্যাঞ্জেলই তার আগে রয়েছেন গোলরক্ষকদের তালিকায়। পাশাপাশি এটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে তার ৯১তম ম্যাচ, যা কোনো বেলজিয়ান খেলোয়াড়ের জন্য রেকর্ড।

ঢাকা/আমিনুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় কবে হবে, তা জানা যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় কবে হবে, সেই তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায়ের তারিখ নির্ধারণের আগে আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়েছেন।

আজ এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য রাখেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন।

পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।

এরপর মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি চান। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ পর্যায়ে তাঁর (আসামিপক্ষের আইনজীবী) বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেন ট্রাইব্যুনাল।

অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের জবাব দেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের খালাস প্রার্থনা করেন।

পরে ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় কবে দেওয়া হবে, তা আগামী ১৩ নভেম্বর জানানো হবে বলে জানান।

আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন গতকাল বুধবার তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ