কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী ও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী নামাপাড়া ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর হাওরে মারা যান তারা।

পাকুন্দিয়ায় মারা যাওয়ারা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) এবং একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা ১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

আরো পড়ুন: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের যেসব পরামর্শ

আরো পড়ুন:

শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারসহ ৫ দাবিতে আল্টিমেটাম কুয়েট শিক্ষক সমিতির

ক্ষমা প্রার্থনা ও অবস্থান স্পষ্ট করে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে মারা যাওয়া কৃষকের নাম মোহাম্মদ কটু মিয়া (৪০)। তিনি আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো.

সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল শিক্ষার্থীরা।  চরটেকী নামাপাড়া এলাকায় বৃষ্টির কবলে পড়েন তারা। এসময় বজ্রপাত হলে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বর্ষাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক বর্ষাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, “কটু মিয়া বাড়ি থেকে গরু আনতে চমকপুর বন্দের হাওরে যান। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ঠ মইন উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে: রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

এত দিন ধরে আলোচনা ও দলগুলোর স্বাক্ষরের পরেও কেন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রস্তাব এল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উপস্থাপিত বিষয়গুলোর বেশ কটির বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য হয়নি। তারা সেগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও হাজির করেন না। তাদের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫: নাগরিক প্রত্যাশা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এ কথা বলেন। গোলটেবিলের আয়োজন করে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নামের একটি সংগঠন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, রাজনীতিতে অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নিজেরা কতটা সংস্কারপন্থী সেটা জাহির করছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে, নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে একমত হতে আহ্বান জানিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থাৎ রাজনৈতিক বিষয় রাজনীতিগতভাবে মীমাংসা না করে, অন্যভাবে মীমাংসা করার একটা বিষয়ও এর মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এই যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নেই। এটি গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা। গণভোট বিষয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাব এতটাই জটিল যে সাধারণ ভোটারের পক্ষে এগুলো বোঝা কঠিন হবে।

‘চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না’

বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে’ জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এতে এমনটি প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হতে পারে না। তিনি মনে করেন, যাঁরা দেশ চালাবেন, সেই রাজনৈতিক দলগুলোরই উদ্যোগ নিয়ে একটি সমাধানের জায়গায় পৌঁছানো দরকার।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন কেন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ রাখল, তা এখনো বোধগম্য নয়। ব্যাখ্যা না দিয়ে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

সম্পর্কিত নিবন্ধ