কিশোরগঞ্জের বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু
Published: 6th, May 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী ও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী নামাপাড়া ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর হাওরে মারা যান তারা।
পাকুন্দিয়ায় মারা যাওয়ারা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) এবং একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা ১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরো পড়ুন: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের যেসব পরামর্শ
আরো পড়ুন:
শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারসহ ৫ দাবিতে আল্টিমেটাম কুয়েট শিক্ষক সমিতির
ক্ষমা প্রার্থনা ও অবস্থান স্পষ্ট করে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে মারা যাওয়া কৃষকের নাম মোহাম্মদ কটু মিয়া (৪০)। তিনি আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো.
মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, “কটু মিয়া বাড়ি থেকে গরু আনতে চমকপুর বন্দের হাওরে যান। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ঠ মইন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশ থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন স্ত্রী-সন্তানদের কাছে, নির্মাণাধীন সেতুর নিচে পড়ে মৃত্যু
সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্মাণাধীন সেতুর নিচে পড়ে প্রাণ হারালেন মাদারীপুরের মেজবাহ মোড়ল (৩৩)। গতকাল শুক্রবার রাতে নিজ গ্রামে পৌঁছানোর পর শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। আজ শনিবার সকালে পরিবার জানতে পারে, তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে।
গতকাল শুক্রবার রাত দুইটার দিকে শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের আজগর হাওলাদার কান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মেজবাহ উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরের কান্দি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শ্বশুরবাড়ি সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের আজগর হাওলাদার কান্দি গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বাসা থেকে মেজবাহ তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে এক নিকটাত্মীয়ের মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। আজগর হাওলাদার কান্দি এলাকায় পৌঁছালে নির্মাণাধীন সেতুতে ওঠার সময় মোটরসাইকেলটি নিচে পানিতে পড়ে যায়। এতে মাথা ও থুতনিতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
স্থানীয় সূত্র ও স্বজনেরা বলছেন, আজগর হাওলাদার কান্দি এলাকার পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রবাসী মেজবাহ হয়তো বিষয়টি জানতেন না। সেতু আছে ভেবে তিনি উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
আজগর হাওলাদার কান্দির স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত হাসান বলেন, নির্মাণাধীন সেতুতে কাজ চলার কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ছিল না। অন্ধকারে মোটরসাইকেলটি সেতুর নিচে পড়ে গেলে সেটি চালু অবস্থাতেই পড়ে থাকে। মোটরসাইকেলের বাতি জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পান এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন দেন। পরে দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ভোররাতে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে।
মেজবাহর প্রতিবেশী সুজন ব্যাপারী বলেন, ‘মেজবাহ রাত সাড়ে ৯টায় নিজের বাড়িতে আসে। তারপর তার মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের দেখতে শ্বশুরবাড়িতে যায়। যাত্রাপথে সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তদন্ত চলছে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।