আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), লউডস ফাউন্ডেশন এবং থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন (টিআরএফ) সম্মিলিতভাবে মঙ্গলবার (৬ মে) বাংলাদেশ জাস্ট ট্রানজিশন একাডেমির আয়োজন করে।

বাংলাদেশ জাস্ট ট্রানজিশন একাডেমি একটি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। ৬ মে এবং ৭ মে ঢাকায় এই একাডেমি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে দেশের প্রধান স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করে পরিবেশগতভাবে টেকসই ও সহনশীল অর্থনীতি ও সমাজের জন্য জাস্ট ট্রানজিশনের অর্থ কী তা উপলব্ধি ও উন্নত করার লক্ষ্যে আলোচনা করবেন।

একাডেমিতে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে প্যানেল আলোচনা, যুব জলবায়ু উদ্যোক্তাদের উপস্থাপনা, ইন্টারেক্টিভ ব্রেকআউট সেশনসহ নানা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে এবং সরকারের, নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে যৌথভাবে জাস্ট ট্রানজিশনের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বানে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকায় একাডেমি উদ্বোধনকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনীতি ও সমাজ টেকসইতার দিকে এগিয়ে নিতে সরকারের ভিশন ও হস্তক্ষেপে জাস্ট ট্রানজিশনের মূল্যবোধ প্রতিফলিত করা উচিত। এই পরিবর্তন আমাদের শ্রমিক, মাটি ও বাতাসের রক্ষা করবে এবং আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।”

আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, “আইএলওর জাস্ট ট্রান্সিশন ফ্রেমওয়ার্ক শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কথা নয়, বরং তাদের জীবনের প্রভাবিত করে এমন  বিষয়গুলিতে তাদের ক্ষমতায়ন ও কণ্ঠস্বর দেওয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করে।”

সুইডেন দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান নীতিনির্ধারণে খণ্ডখণ্ড পদ্ধতি এড়ানো এবং নারীদের ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের নীতিনির্ধারণ সংলাপ ও প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান, যাতে তারা ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তনের সুফল পায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি বলেন, “জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারকে জলবায়ু অর্থায়নের অংশীদারিত্ব এবং সুবিধা গ্রহণে সহায়তা করছে। যার মধ্যে রয়েছে সবুজ জলবায়ু তহবিল এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।”

উদ্বোধনী সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনের (এনসিসিডব্লিউই) চেয়ারম্যান বাদল খান এবং বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি  আরদাশির কবির। তারা দেশে জাস্ট ট্রানজিশনে শ্রমিক, কমিউনিটি এবং নিয়োগকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।

লউডস ফাউন্ডেশনের ঢাকার প্রধান নওরিন চৌধুরী আইএলওর জাস্ট ট্রানজিশন অ্যাকশন প্রোগ্রাম, এফএও, বাংলাদেশি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং ইউনিলিভার ইএসজি বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় বাংলাদেশের জন্য ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরের অর্থ কী তা নির্ধারণের ওপর প্রথম প্যানেল আলোচনাটি পরিচালনা করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, সুইডেনসহ টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ারস কানাডাও এই অনুষ্ঠানে সহায়তা করছে।

আইএলও-এর সামাজিক অংশীদার, সরকারের মন্ত্রণালয়, লাইন ডিপার্টমেন্ট, কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক সংস্থা, শ্রমিক, যুব সংগঠন ও অর্থায়ন অংশীদাররা এই একাডেমিতে অংশগ্রহণ করে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ এক ড ম সরক র জলব য

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসি হ‌্যালো চেকের লোগো উন্মোচন

বিবিসি হ‌্যালো চেকের লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়।

বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের একটি নতুন ডিজিটাল ইনিশিয়েটিভ বিবিসি হ্যালো চেক। আবহাওয়া-জলবায়ু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জীবন ও জীবিকা, সাইবার অপরাধ, ভুল তথ‌্য-অপত‌থ‌্য, পারিবারিক সহিংসতা, বাল‌্যবিবাহ, স্বাস্থ‌্য ও মিডিয়া ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়মিত সচেতনামূলক কনটেন্ট তৈরি ও সেসব পরিবেশন করছে বিবিসি হ‌্যালো চেক।

লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিবিসি মিডিয়া অ‌্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন। এ সময় বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, বিবিসি মিডিয়া অ‌্যাকশনের পার্টনার সংস্থার কর্মকর্তা, গণমাধ‌্যমের সিনিয়র সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিবিসি হ‌্যালো চেকের লক্ষ‌্য ও উদ্দেশ‌্য তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি কীভাবে হ‌্যালো চেকের কনটেন্টগুলো শহর থেকে গ্রামপর্যায়ের মানুষের কাজে লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকে হ্যালো চেকের কনটেন্ট তৈরি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ