রাজধানীতে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে অভিযান চা‌লি‌য়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম‌্যমাণ আদালত। এ সময় প‌রি‌বেশ দূষ‌ণের দা‌য়ে বি‌ভিন্ন প্রতিষ্ঠান‌কে জ‌রিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ মে) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কুমার পালের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্তভাবে রাখার দায়ে বায়ু দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী অভিযান চালা‌নো হয়। এ সময় ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।

একই দিনে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের মতিঝিল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৮টি মামলার মাধ্যমে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ১২টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।

অন্যদি‌কে, রংপুর জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাত ও বিক্রির অভিযোগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর অধীনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে ১টি মামলার মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৮৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি কয়েকটি সুপারশপসহ দোকান মালিক ও সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা হয়।

এছাড়া বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও যশোর জেলায় ৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। ৪টি মামলায় মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩টি ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে ব‌লেও জা‌নি‌য়ে‌ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবানিয়া এলাকার প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মীর হোসেনের পরিবারের তিন সদস্যকে জিম্মি করেছে। এরপর তাঁদের বেঁধে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। ঘরে থাকা এক শিশুর গলায়ও ছুরি ধরেছে ডাকাতদলের এক সদস্য।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মীর হোসেনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন। গতকাল রাতে বাড়িতে তাঁর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছোট মেয়ে ও বড় মেয়ের কন্যাশিশু ছিল। ডাকাতদল হঠাৎ জোরে ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকে। এরপর তাঁর ছেলে ও মেয়েকে হাত বেঁধে পাশের কক্ষে ফেলে রাখে।

মাসুদা আক্তার বলেন, ‘ডাকাত সদস্যরা আমার ছেলে ও ছোট নাতনির গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা আমার কানের  দুল, গলার চেইন, মেয়ের কানের দুল, নগদ ৯ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি মুঠোফোন ও একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। ঘরের ভেতর ছয়জন ডাকাত প্রবেশ করলেও বাইরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাতেরা চলে গেলে আমরা একজন আরেকজনের হাতের বাঁধন খুলে পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।’

ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদা আক্তারদের প্রতিবেশী মো. সেলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখি আলমারি খুলে কাপড়চোপড়সহ জিনিসপত্র সব এলোমেলো করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দরজা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত শাবলও ফেলে গেছে ডাকাতেরা। পরিবারের সদস্যরা এখনো আতঙ্কে ভুগছে।’

জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে এখন পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনা কেউ জানায়নি। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ