নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি মসজিদের ইমামকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (৬ মে) উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে হামলার ঘটনাটি ঘটে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৭) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো.

ওবায়দুল্লাহ (৫৮)।  মোহাম্মদ আলী নামে এক আসামি পলাতক।

ভুক্তভোগী মসজিদের ইমামের নাম মাওলানা মো. নোমান সিদ্দিক (৩৫)। তিনি মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম।  

আরো পড়ুন:

শেখ হেলাল ও শেখ তন্ময়ের নামে চাঁদাবাজির মামলা

পঞ্চগড়ের সাবেক ৩ এমপি ও ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৬ জুলাই মধ্যপাড়া জামে মসজিদে পেশ ইমাম হিসেবে যোগ দেন মাওলানা নোমান। কয়েক মাস ধরে মসজিদ কমিটির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে গত ৫ মে মসজিদ কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান কন্ট্রাক্টর নতুন ইমাম নিয়োগের জন্য বর্তমান ইমামকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন। 

ভুক্তভোগী ইমাম মাওলানা নোমান সিদ্দিক বলেন, “আমাকে না রাখার কারণ জানতে চাইলে গালমন্দ করেন হান্নান সাহেব। এরপর আমি নিজেই শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে সাধারণ মুসল্লি, মসজিদের আহ্বায়ক কমিটিসহ স্থানীয় আলেমদের মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে মসজিদে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানাই। এই বিষয়টি ভালভাবে নেননি হান্নান সাহেব।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আজ সকালে হান্নান সাহেবের অনুসারী নাছির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মো. ওবায়দুল্লাহ মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা আমাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি।”  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মধ্যপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান কন্ট্রাক্টরের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।   

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, “এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামিকে বুধবার (৮ মে) সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম মসজ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ বাসায় মিলল অভিনেত্রীর মরদেহ

পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা খানের পচা–গলা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার পাকিস্তানের করাচিতে নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুকালে অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৭। পুলিশের ধারণা, সপ্তাহখানেক আগেই তিনি মারা যান।

আয়েশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক পাকিস্তানি শিল্পী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশা খান কয়েক বছর ধরে একা থাকতেন। শুক্রবার তার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কেউ দরজা খোলেনি। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে অভিনেত্রীর মরদেহ দেখতে পায়। মরদেহ সোহরাব গোথে ইধি ফাউন্ডেশনের মর্গে পাঠানো হয়।

১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা আয়েশা খান পাকিস্তানি বিনোদনজগতের একটি সুপরিচিত নাম ছিলেন। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী খালেদা রিয়াসাতের বড় বোন।

‘আখরি রক’, ‘টিপু সুলতান: দ্য টাইগার লর্ড’, ‘ডালিজ’, ‘ক্র্যাকস’, ‘বোল মেরি ফিশ’, ‘এক অউর আসমান’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোতে কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’, ‘মুসকান’, ‘ফাতিমা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সূত্র: আরব নিউজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ