ঢাকার অদূরে সাভারে বাবার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে মেয়েকে চাপ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানালে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধারসহ মেয়েটিকে আটক করেন।
আটক মেয়েটির বরাত দিয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ জানায়, মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে বাবা আব্দুস সাত্তার তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। ২০২৩ সালে বাবার বিরুদ্ধে নাটোরে আদালতে মেয়েটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দেন আব্দুস সাত্তার।
একপর্যায়ে তিনি সাভারের মজিদপুর এলাকায় কামরুল ইসলাম সুমন নামের এক ব্যক্তির আবাসিক ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কয়েকমাস আগে মেয়েটি বাবার কাছে আসেন। এরপর বাবা মামলা তুলে নিতে মেয়েকে চাপ দিতে থাকেন। ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটি বাবাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
গতকাল বুধবার (৭ মে) রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান তিনি। ভোর ৪টার দিক ছুরিকাঘাত করে বাবাকে হত্যা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধারসহ মেয়েটি আটক করেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মেয়েকেও আটক করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/সাব্বির/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে
ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।
গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
ঢাকা/এমআর/ইভা