বেরোবিতে তারুণ্যের ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে সেমিনার
Published: 31st, May 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ই-লার্নিং সেন্টার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা ও ভবিষ্যত প্রত্যাশাবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বেরোবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ই-লার্নিং সেন্টার আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তরুণ প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন ও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি কার্যকর সমাজ গড়ে তুলতে পারি।”
আরো পড়ুন:
নেচার ইনডেক্সের গবেষণায় সেরা দশে বেরোবি
দিনাজপুরে মাঝারি তাপপ্রবাহ
তিনি আরো বলেন, “এই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ই-লার্নিং সেন্টার শুধু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে না, বরং এটিকে আমরা একটি গ্লোবাল গবেষণা হাবে পরিণত করতে চাই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণায় অংশ নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ই-লার্নিং সেন্টারের পরিচালক মোঃ জাকিউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোরটেশন এর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট মাসুম এ পাটোয়ারী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ই-লার্নিং সেন্টারের উপ-পরিচালক মো. মাসুদার রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক স্বার্থের সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
তুরস্ক বাংলাদেশকে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। ফলে পারস্পরিক স্বার্থের সব ক্ষেত্রে অব্যাহত সংহতি ও সহযোগিতা করবে তারা। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তুরস্কের সংসদীয় প্রতিনিধিদল এ আশ্বাস দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সফররত পাঁচ সদস্যের একটি তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বাংলাদেশ-তুরস্ক পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন মেহমেত আকিফ ইলমাজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তুরস্কের প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা পূরণে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তুর্কি প্রতিনিধিদল গত শনি–রবিবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশ-তুরস্ক পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানান। শিবিরগুলোতে ব্যবস্থাপনা, সুযোগ-সুবিধাসহ মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শক্তিশালী ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরেন। তিনি বহুমাত্রিক খাতে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও গভীর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির অনুরোধ করেন। তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ এবং আধা দক্ষ পেশাদারদের নিয়োগ শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন জানান, সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউট’–এর একটি শাখা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে। এটা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণকে আরও ঘনিষ্ঠ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।