আম, কাঁঠাল, চেরি, সরফিগুলা কী নেই ঢাকার এই ফল মেলায়
Published: 20th, June 2025 GMT
‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে কেন, কাঁঠালের হবে কাঁঠালসত্ত্ব।’ সোজা কথা সেলিনা আখতারের।
বাংলা ব্যাকরণে বাগ্ধারা পড়তে গিয়ে ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’র সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এর অর্থ হলো, অসম্ভব বস্তু। আমের আঁশমুক্ত ঘন রস জ্বাল দিয়ে থকথকে হলে তাকে শুকিয়ে শক্ত করা হয়। কয়েক স্তরের থকথকে আমের রস শক্ত করে খাওয়ার উপযোগী করা হয়। এটাই আমসত্ত্ব। কাঁঠালের পাতলা রসে এটা সম্ভব হয় না।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের কৃষি উদ্যোক্তা সেলিনা আখতার অবশ্য সেই ‘কাঁঠালসত্ত্ব’ বানিয়ে ছেড়েছেন। সুবার্তা ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠনের এই প্রতিনিধি বললেন, আমের চেয়ে কাঁঠালের সত্ত্ব বানানো সত্যিই কষ্টের। রোদে শুকিয়ে একে শক্ত করা যায় না। উন্নত জাতের ড্রায়ার বা শুকানোর যন্ত্র আছে এটি বানানোর।
শুধু কি এই একটি খাবার? কাঁঠালের আচার, পিঠাসহ ২৮ ধরনের খাদ্য তৈরি করেন তাঁরা। কাঁঠালের আমসত্ত্বসহ কয়েকটি খাবার দেখা গেল গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ফল মেলায়। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) চত্বরে গতকাল শুরু হয়েছে এ মেলা। চলবে শনিবার পর্যন্ত।
ফল মেলায় প্রায় ৮০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে কাঁঠালের নয়, বরং আমের একচ্ছত্র আধিপত্য চোখে পড়ল।
কত রকমের আম যে উঠেছে এই মেলায়। ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগ ফজলি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরি—এসব দেশি জাতের আম তো আছেই। সঙ্গে আছে থাই কাটিমন, পোকড়ি, হানিভিউ, ব্যানানা, মিয়াজাকি, আপেল ম্যাঙ্গো, কিং অব চাকাপাতসহ আরও বহু জাতের আম।
মেলায় জনপ্রিয় দেশি জাত বলতে যা বোঝায় অর্থাৎ ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগ ফজলি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরির মতো আমগুলো কেনার কয়েকটি স্টল আছে। অন্য যেসব আমের কথা বললাম, সেগুলো আছে প্রদর্শনীর জন্য। সেই প্রদর্শনী করছে মূলত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে প্রথমেই আপনি বিশালকায় যে স্টল পাবেন, সেটিই এই সরকারি প্রতিষ্ঠানের। স্টলে ফল সাজানো থরে থরে। স্টলে থাকা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, ‘দেড় শ র বেশি ফলের প্রদর্শনী করছি আমরা। এর মধ্যে আম আছে ৩০ জাতের বেশি। কিন্তু এগুলো সবই প্রদর্শনীর জন্য।’
নামসহ সাজিয়ে রাখা দেশি ফল দেখছেন দর্শনার্থীরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আম, কাঁঠাল, চেরি, সরফিগুলা কী নেই ঢাকার এই ফল মেলায়
‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে কেন, কাঁঠালের হবে কাঁঠালসত্ত্ব।’ সোজা কথা সেলিনা আখতারের।
বাংলা ব্যাকরণে বাগ্ধারা পড়তে গিয়ে ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’র সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এর অর্থ হলো, অসম্ভব বস্তু। আমের আঁশমুক্ত ঘন রস জ্বাল দিয়ে থকথকে হলে তাকে শুকিয়ে শক্ত করা হয়। কয়েক স্তরের থকথকে আমের রস শক্ত করে খাওয়ার উপযোগী করা হয়। এটাই আমসত্ত্ব। কাঁঠালের পাতলা রসে এটা সম্ভব হয় না।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের কৃষি উদ্যোক্তা সেলিনা আখতার অবশ্য সেই ‘কাঁঠালসত্ত্ব’ বানিয়ে ছেড়েছেন। সুবার্তা ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠনের এই প্রতিনিধি বললেন, আমের চেয়ে কাঁঠালের সত্ত্ব বানানো সত্যিই কষ্টের। রোদে শুকিয়ে একে শক্ত করা যায় না। উন্নত জাতের ড্রায়ার বা শুকানোর যন্ত্র আছে এটি বানানোর।
শুধু কি এই একটি খাবার? কাঁঠালের আচার, পিঠাসহ ২৮ ধরনের খাদ্য তৈরি করেন তাঁরা। কাঁঠালের আমসত্ত্বসহ কয়েকটি খাবার দেখা গেল গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ফল মেলায়। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) চত্বরে গতকাল শুরু হয়েছে এ মেলা। চলবে শনিবার পর্যন্ত।
ফল মেলায় প্রায় ৮০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে কাঁঠালের নয়, বরং আমের একচ্ছত্র আধিপত্য চোখে পড়ল।
কত রকমের আম যে উঠেছে এই মেলায়। ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগ ফজলি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরি—এসব দেশি জাতের আম তো আছেই। সঙ্গে আছে থাই কাটিমন, পোকড়ি, হানিভিউ, ব্যানানা, মিয়াজাকি, আপেল ম্যাঙ্গো, কিং অব চাকাপাতসহ আরও বহু জাতের আম।
মেলায় জনপ্রিয় দেশি জাত বলতে যা বোঝায় অর্থাৎ ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগ ফজলি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরির মতো আমগুলো কেনার কয়েকটি স্টল আছে। অন্য যেসব আমের কথা বললাম, সেগুলো আছে প্রদর্শনীর জন্য। সেই প্রদর্শনী করছে মূলত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে প্রথমেই আপনি বিশালকায় যে স্টল পাবেন, সেটিই এই সরকারি প্রতিষ্ঠানের। স্টলে ফল সাজানো থরে থরে। স্টলে থাকা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, ‘দেড় শ র বেশি ফলের প্রদর্শনী করছি আমরা। এর মধ্যে আম আছে ৩০ জাতের বেশি। কিন্তু এগুলো সবই প্রদর্শনীর জন্য।’
নামসহ সাজিয়ে রাখা দেশি ফল দেখছেন দর্শনার্থীরা