বিয়ে ও ফেলে আসা সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন জয়া আহসান
Published: 20th, June 2025 GMT
মডেলিং, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র মিলিয়ে তিন দশক ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন জয়া আহসান। দেশের পাশাপাশি ভারতের কলকাতায়ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করছেন। এক যুগ আগে ‘আবর্ত’ দিয়ে কলকাতার ছবিতে অভিষেক ঘটে তাঁর। এর পর থেকে কলকাতার চলচ্চিত্রে নিয়মিত হয়েছেন। একের পর এক নতুন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছড়িয়েছেন আলো, কুড়িয়েছেন প্রশংসা। সেখানকার প্রযোজক-পরিচালকেরাও তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। আজও একের পর এক কলকাতার সিনেমায় কাজ করে চলছেন। এখন কাটছে তাঁর দারুণ সময়। গত ঈদে দেশের প্রক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দুটি চলচ্চিত্র। এদিকে কলকাতায় আগামী ১৮ জুলাই মুক্তি পাবে ‘ডিয়ার মা’। এসব নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন নন্দিত এই অভিনয়শিল্পী। কাজ নিয়ে কথা বলার ফাঁকে ওঠে এসেছে বিয়ে ও ফেলে আসা সম্পর্কও।
জয়া আহসান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় বছর পর আবার সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ
ভারতীয় ক্রিকেটের রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলী ফের নিজের ঘরেই ফিরছেন। ছয় বছর আগে যেখান থেকে ক্রিকেট প্রশাসনে পা রাখেন, সেই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) শীর্ষ পদে আবার দেখা যাবে তাকে। সাবেক এই অধিনায়ক চলতি বছরই সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, ‘‘তিনি এবারের সিএবি নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেবেন। এমনকি সংগঠনের ভেতরে থেকে জানা গেছে, কোনো নির্বাচন ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করার চিন্তা চলছে। বর্তমান সভাপতি, সৌরভের ভাই স্নেহাশীষ গাঙ্গুলীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পদটি শূন্য হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ ছয় বছর পর আবার বেঙ্গল ক্রিকেটের হাল ধরতে চলেছেন সৌরভ।
আগামী ১৪ আগস্ট সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের চূড়ান্ত সভা এবং ২০ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই সৌরভের নাম ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোচনার ঝড়। প্রশাসনের অভিজ্ঞতা তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে তার অতীত সফল নেতৃত্বের নজিরও।
আরো পড়ুন:
সৌরভের বায়োপিক: রাজকুমার বললেন, নার্ভাস লাগছে
দুর্ঘটনার কবলে সৌরভ গাঙ্গুলির গাড়ি বহর
২০১৫ সালে প্রথমে সিএবির সচিব, এরপর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৌরভ। তার হাত ধরেই বেঙ্গল ক্রিকেটে আসে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া। উন্নত কোচিং স্ট্রাকচার, ট্যালেন্ট হান্ট, রঞ্জি ট্রফিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স; সব কিছুতেই ছিল তার প্রত্যক্ষ নজরদারি। এরপর ২০১৯ সালে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)-এর সভাপতি হন এবং দেশীয় ক্রিকেটকে পৌঁছে দেন নতুন উচ্চতায়।
বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে সৌরভের মেয়াদকালে ভারত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) পায়, যেখানে তরুণ ও চোটপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। তার নেতৃত্বেই আইপিএলের সম্প্রচার চুক্তি হয় ইতিহাস গড়া। যেখানে ২০২৩-২০২৭ মেয়াদে বিসিসিআই রাজস্ব পেয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আবার যখন তিনি সিএবিতে ফিরছেন, প্রশ্ন উঠছে—বেঙ্গল ক্রিকেট কী নতুন করে জাগরণ দেখবে? সম্ভাবনার দরজা যেমন উন্মুক্ত, তেমনি প্রত্যাশার চাপও কম নয়। তবে যাকে ঘিরে এত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, সেই সৌরভের ওপর আস্থা রাখতেই চাইছে ক্রিকেট মহল।
ঢাকা/আমিনুল