জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে : মাও. রফিকুল
Published: 20th, June 2025 GMT
আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটে জামায়াত যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে মহিলারা সব থেকে ভালো থাকবে। মহিলারা হলো মায়ের জাতি মায়ের জাতির মর্যাদা সবার উপরে।
আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলাদের জন্য স্কুল থাকবে কলেজ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, বিসিএস পরীক্ষা থাকবে।
মহিলারা আর্মি অফিসার হবে, পুলিশ অফিসার হবে, ব্যাংকের ম্যানেজার হবে ইনশাআল্লাহ। মহিলাদের জন্য আলাদা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২০ জুন) সকালে মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ অডিটরিয়ামে রূপগঞ্জ উপজেলা জামায়াত কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,গত চার জলীয় জোট সরকারে আমাদের দুইজন মন্ত্রী ছিলেন একজন আমাদের আমীর অন্যজন সেক্রেটারি জেনারেল। তাহাদের শহীদ করা হয়েছে। মইনুদ্দিন,ফকিরুদ্দিনের দুই বছর আর হাসিনার ১৬ বছর প্রায় ১৮ বছর।
মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এই দুই মন্ত্রীর তিনটা মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি খোঁজা হয়েছে। কিন্তু ১ টাকার দুর্নীতি তারা খুঁজে পায়নি। এতে প্রমাণিত হয় জামাতে ইসলাম দুর্নীতি করেনা।
৫ আগস্টের পর জামাত শিবিরের লোকেরা চাইলে কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতো কিনা। কিন্তু জামাত কোন চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজি, দখলবাজী করে নাই। ক্ষমতায় আসলেও জামাত চাঁদাবাজি করবে না।
আমাদের দলে কোন দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতিবাজ নেই। এই ঘোষণা বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ছাড়া আর কোন দল দিতে পারবে না। কোন দল বলতে পারবেনা আমরা ক্ষমতায় যাব আমাদের দলে কোন চাঁদাবাজ দখলবাজ নেই। এই ঘোষণা আর কেউ দিতে পারবে না। বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী এই ঘোষণা দিতে পারে ইনশাআল্লাহ।
প্রধান অতিথি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের চাঁদাবাজ দখলবাজ ও সন্ত্রাস দুর্নীতি মুক্ত, নৈরাজ্য মুক্ত, আধুনিক ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য লড়াই করছে।
এজন্য আমি সম্মানিত কর্মী ভাইদের সম্মুখে কয়েকটি কথা বলতে চাই। এক নম্বর হল এই দেশের সম্পদের কোন অভাব নাই দুর্নীতি মুক্ত নেতৃত্বের অভাব। কাজেই নেয় নীতি ও ইনসাফ কে ধারণ করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
অ্যাডভোকেট ইসরাফিল হোসাইনের সঞ্চালনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নারায়ণগঞ্জ- ১ রূপগঞ্জ আসনের জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী জননেতা আনোয়ার হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামাতের আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ মমিনুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামাতের সেক্রেটারী মোঃ হাফিজুর রহমান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী ডক্টর ইকবাল হোসেন ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামাতের সহ সেক্রেটারী মোঃ আবু সাইদ মুন্না, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামাতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী খান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের রূপগঞ্জ আমীর মাওলানা ইমদাদুল্লাহ হাসেমী প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ইসল ম র আম দ র ট র পর
এছাড়াও পড়ুন:
বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম ‘গণ-অভ্যুত্থানের শত্রু’ : এনসিপি নেতা আল আমিন
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ও উত্তরণের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীক সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে গণ-অভ্যুত্থানের শত্রু আখ্যা দিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল আমিন। এ সময় তিনি হাতেমকে এ আয়োজনে স্পেস দেয়া উচিৎ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সভায় আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আজ আসার পর দেখলাম একজন স্টেজে এসে ছাত্ররা কীভাবে পড়ালেখা করবে, রেজাল্ট ভালো করবে, ওই পরামর্শ দিচ্ছেন; যে ব্যক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে কীভাবে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে হবে, সেই অনুরোধ করেছিলেন।’
আব্দুল্লাহ আল আমিন আরও বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে সে ছাত্রদের দমনের ব্যাপারে বলেছে। তাকে আমরা এই স্পেস দিতে পারি না। খুবই দুঃখ লেগেছে, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমরা এগুলো জানি। জানার পরও কেন আমরা এটা করি? আমরা কি সব ভুলে গেলাম। এই ভুলে যাওয়া আমাদের উচিত হয়নি।
এর আগে এই এনপিসি নেতা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নানান ধরনের জটিলতা হয়েছে মানে ম্যানেজিং কমিটি এড কমিটি কোথাও কমিটি নাই কোথাও অধ্যক্ষ বা শিক্ষক আছে নাই বা নানান ধরনের ইস্যু সৃষ্টি হয়েছে।
এইজন্য এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল যেই ধরনের চেইন অফ কমান্ডে স্কুল কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে ওভাবে চলতে পারেনি। ছাত্রদের মধ্যেও গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক একটা ট্রমা আছে। আমরা যখন শহীদ পরিবার বা আহতদের সাথে কাজ করি, আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক ধরনের ট্রমা আছে।
তাদের যে আবার পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে হবে। সে মানসিকতা সবার হয়ে ওঠে নাই। আমরা যেই প্রফেশনে ছিলাম অভুত্থানের পরে আবার যে আমাদের কাজটা আমরা করব এই মানসিকতাটা হয় নাই। তো আমাদের পুরা ন্যাশনাল একটা গ্রুমিং এর প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে আমরা দেখছিলাম যে, একিলিস হিল বলতে একটা ব্যাপার আছে। একিলিসের মতো এত বছরে হাসিনা প্রশ্নফাস, জালিয়াতি অটোপাসের মতো নানা ধরনের বড় বড় লুপস তারা রেখে দিছে। কিন্তু তারা উপস্থাপন করছে একটা বিশাল সাফল্য। এই দুর্বলতাটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি এটা সামনে আমাদের জেনারেশন, ছাত্র, দেশের জন্য ভালো হবে।”
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক রুমন রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ, বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শোয়াইব আহমাদ খান, নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আ.ফ.ম. মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সুজন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাইনুদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুদ বিল্লাহ প্রমুখ।