‘জস’–এর ৫০ বছর, স্পিলবার্গের সিনেমাটি নিয়ে এ তথ্যগুলো জানতেন কি
Published: 20th, June 2025 GMT
মুক্তির পাঁচ দশক পার করছে স্টিভেন স্পিলবার্গ নির্মিত ‘জস’ সিনেমাটি। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে (২০ জুন) সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। সিনেমাটিকে হলিউডের ব্লকবাস্টার যুগের পথপ্রদর্শক হিসেবে মনে করা হয়। কারণ, এর আগে কোনো সিনেমা এত ব্যাপক আকারে মুক্তি পায়নি। ব্যবসায়িক সফলতার সঙ্গে সিনেমাটি তিন বিভাগে অস্কার জয় করে। তবে এই আইকনিক সিনেমার পেছনের গল্প ছিল রীতিমতো এক যুদ্ধ। শার্কের যান্ত্রিক গোলযোগ, বাজেটের লাগামছাড়া বৃদ্ধি, শুটিংয়ের বিপত্তি—একের পর এক চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে তৈরি হয়েছিল ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র। চলুন, জেনে নিই সিনেমাটিকে ঘিরে কিছু চমকপ্রদ অজানা তথ্য।
‘জস’ সিনেমার ৫০ দিনের শুটিং শেষ হয় ১৫৫ দিনে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে কুমার নদে বইঠার ছন্দে জমজমাট নৌকাবাইচ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দিতে কুমার নদে দুই দিনব্যাপী নৌকাবাইচ সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখতে নদের দুই পাড়ে ভিড় করেন কয়েক হাজার দর্শক।
হোগলাকান্দি গ্রামের যুবসমাজের আয়োজনে প্রতিযোগিতাটি হয়। এতে মোট ছয়টি নৌকা অংশ নেয়। এর মধ্যে ‘যুব এক্সপ্রেস’ নামের নৌকাটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
গতকাল দুপুর থেকে নৌকাবাইচ দেখতে আসা দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নানা বয়সী মানুষ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা মুঠোফোনে নৌকাবাইচের দৃশ্য ধারণ করছিলেন। নৌকাগুলো যখন জল কেটে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন নদীর দুই পাড় থেকে দর্শকেরা করতালি ও স্লোগান দিয়ে মাঝি-মাল্লাদের উৎসাহ দিচ্ছিলেন।
প্রতিবছর পরিবার-পরিজন নিয়ে নৌকাবাইচ দেখতে আসেন জানিয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘নৌকাবাইচের পাশাপাশি হোগলাকান্দিতে গ্রামীণ মেলা বসে। এ দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। এই মেলায় একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়, সব মিলিয়ে আনন্দে দিনটি কাটে।’
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার। সে জানায়, ‘এখানে এসে নৌকাবাইচ দেখে খুব ভালো লাগছে। মেলা থেকে মাটির তৈজসপত্রসহ কিছু জিনিস কিনেছি। নাগরদোলায় উঠলাম, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি খেলাম—সব মিলিয়ে খুব ভালো কেটেছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতাটির প্রথম দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আয়োজক কমিটির প্রধান গিয়াস উদ্দিন বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে, নতুন প্রজন্মকে শিকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং সাধারণ মানুষকে বিনোদন দিতেই এই আয়োজন।
হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজ সেবক আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার সভাপতিত্বে এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, সহসাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মোল্যা, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আরিফুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।