বন্দরে যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিযানে মাদক দ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র সহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার  শাহী মসজিদস্থ বৌবাজার এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে,  রফিক মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৫০) ও একই এলাকার আনোয়ারের স্ত্রী শান্তি বেগম (৪৮)।

শুক্রবার (২০ জুন)  সকালে উল্লেখিত এলাকায় মেজর আফসান  ও ক্যাপ্টেন রাজিব (৭ ফিল্ড রেজিঃ আর্টিলারি)র নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এ বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা রুজু করেছে।

জানাগেছে,  বন্দরের  সালেহনগর বউবাজার শাহী মসজিদ এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে,  রফিক মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম ও আনোয়ারের স্ত্রী শান্তি বেগম মাদক কারবারিসহ নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।

এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে  যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ২১ পিচ ইয়াবা, ১২ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ২৩টি বাটন মোবাইল সেট, ২টি টেপ, ১টি চাপাতি, ১ টি  টেটা, ২ টি চায়না কুড়াল, ১১ টি ছুরি, ১টি  ওয়েট মিশিন, ১টি ক্যামেরা, ১ টি সুইচগিয়ার, নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার ২শ ২৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে  ১ হাজার ২৫৯  ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ