বন্দরে যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিযানে মাদক দ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র সহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার  শাহী মসজিদস্থ বৌবাজার এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে,  রফিক মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৫০) ও একই এলাকার আনোয়ারের স্ত্রী শান্তি বেগম (৪৮)।

শুক্রবার (২০ জুন)  সকালে উল্লেখিত এলাকায় মেজর আফসান  ও ক্যাপ্টেন রাজিব (৭ ফিল্ড রেজিঃ আর্টিলারি)র নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এ বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা রুজু করেছে।

জানাগেছে,  বন্দরের  সালেহনগর বউবাজার শাহী মসজিদ এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে,  রফিক মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম ও আনোয়ারের স্ত্রী শান্তি বেগম মাদক কারবারিসহ নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।

এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে  যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ২১ পিচ ইয়াবা, ১২ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ২৩টি বাটন মোবাইল সেট, ২টি টেপ, ১টি চাপাতি, ১ টি  টেটা, ২ টি চায়না কুড়াল, ১১ টি ছুরি, ১টি  ওয়েট মিশিন, ১টি ক্যামেরা, ১ টি সুইচগিয়ার, নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার ২শ ২৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাটিতে বন্যার আশঙ্কা নেই’ 

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) মধ্যরাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। এছাড়া, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রেখে ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। যেখানে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। 

উভয় দিক দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৪১ হাজার কিউসেক পানি। এতে ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা। 

কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নুরুল মিয়া বলেছেন, এমনিতেই কর্ণফুলী নদীতে পানির পরিমাণ বেশি। তার ওপর কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হয়েছে। এতে আমরা আতঙ্কে আছি। খবর পেলাম, এখন ৬ ইঞ্চি খোলা হয়েছে। যদি এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে তবে আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। তাই, পানি ছাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেছেন, যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। এখন খোলা হয়েছে ৬ ইঞ্চি, আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে, এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যেন ৩ ফুটের বেশি খুলতে না হয়। 

তিনি জানান, গতকাল মধ্যরাতে যখন কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলা হয়, তখন পানির স্তর ছিল ১০৮.০৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। ছয় ইঞ্চি পানি ছাড়ার পরও সকাল ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর বেড়ে ১০৮.১২ এমএসএল হয়েছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে হয়তো গেট খোলার পরিমাণ আরেকটু বাড়তে পারে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ