রাজধানীর রামপুরায় ছিনতাইকারীরা আল মামুন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আল মামুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম রামপুরার বাগিচারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে আল মামুনের বড় ভাই আল আমিন প্রথম আলোকে জানান, পশ্চিম রামপুরা বাগিচারটেক এলাকায় আল মামুনের বাসা। সেখানে তাঁর বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সন্ধ্যায় বাসা থেকে তিনি বাগিচারটেক ৩ নম্বর গলির আনসার ক্যাম্প–সংলগ্ন জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। মসজিদের কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মাদকসেবীরা তাঁকে মারধর করে এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করে ২৫ হাজার টাকা ও একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.

ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি হাতিরঝিল থানায় জানানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ম ম ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাটিতে বন্যার আশঙ্কা নেই’ 

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) মধ্যরাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। এছাড়া, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রেখে ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। যেখানে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। 

উভয় দিক দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৪১ হাজার কিউসেক পানি। এতে ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা। 

কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নুরুল মিয়া বলেছেন, এমনিতেই কর্ণফুলী নদীতে পানির পরিমাণ বেশি। তার ওপর কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হয়েছে। এতে আমরা আতঙ্কে আছি। খবর পেলাম, এখন ৬ ইঞ্চি খোলা হয়েছে। যদি এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে তবে আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। তাই, পানি ছাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেছেন, যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। এখন খোলা হয়েছে ৬ ইঞ্চি, আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে, এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যেন ৩ ফুটের বেশি খুলতে না হয়। 

তিনি জানান, গতকাল মধ্যরাতে যখন কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলা হয়, তখন পানির স্তর ছিল ১০৮.০৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। ছয় ইঞ্চি পানি ছাড়ার পরও সকাল ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর বেড়ে ১০৮.১২ এমএসএল হয়েছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে হয়তো গেট খোলার পরিমাণ আরেকটু বাড়তে পারে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ