আড়াইহাজারে শিল্প কারখানায় গ্যাস সংকট সমাধানের আশ্বাস দিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান
Published: 21st, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তীব্র গ্যাস সংকটে পড়েছে দেড় শতাধিক শিল্প কারখানাগুলো। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তিন মাস ধরে গ্যাস সংকট থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা। কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) ও ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়, কমছে উৎপাদন সক্ষমতা। এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং কারখানা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান মো.
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ দেখতে এসে গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই সংকট উত্তরণের জন্য কাজ করছি।’
তিতাসের এমডির কাছে গ্যাসের অস্বাভাবিক উঠানামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
তিনি সমকালকে জানান, সারাদেশেই গ্যাসের সরবরাহ কম। অন্যদিকে যেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, আড়াইহাজার উপজেলা হচ্ছে সর্বশেষ প্রান্ত। ফলে অন্য মিল কারখানাগুলো গ্যাস টানার পরে আড়াইহাজার এলাকায় এসে গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যার উত্তরণে কাজ করছে।
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই, আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআইয়ে নেমে আসায় কারখানা চালু রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। কেবল গ্যাসের অভাবে অনেক বায়ারের অর্ডার নিতে পারছি না। যে কয়টা অর্ডার রয়েছে লোকসান হলেও বায়ারদের সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহের জন্য তিনগুণ বেশি ব্যয়ে গ্যাসের বদলে তুষচালিত বয়লার ব্যবহার করা হয়। যদি স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ থাকতো তাহলে প্রতি বছরে মিথিলা গ্রুপে প্রায় একশ’ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। এ সময় কারখানার মালিকের কথা শোনেন পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরবর হ
এছাড়াও পড়ুন:
৭০ শতাংশ নির্বাচন সামগ্রী কেনাকাটা সম্পন্ন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন সামগ্রীর ৭০ শতাংশ কেনাকাটা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
সিনিয়র সচিব জানান, মার্কিং সিল, গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, হেসিয়ান ব্যাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সামগ্রী এরইমধ্যে ইসির গুদামে পৌঁছেছে। চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অবশিষ্ট সামগ্রী সরবরাহ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।”
তিনি বলেন, “প্রায় ৭০ শতাংশ কেনাকাটার কাজ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে অবশিষ্ট কেনাকাটাও শেষ হবে। চাহিদা অনুযায়ী সব সামগ্রী সময়মতো পৌঁছে যাবে।”
তিনি জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী— স্ট্যাম্প প্যাড ও অমোচনীয় কালি সরবরাহ করা হবে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই সামগ্রী হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউএনডিপি। এর একটি অংশ চলতি মাসেই আসবে এবং বাকিটা আগামী মাসে।
তিনি বলেন, “স্থানীয় বাজার থেকে আট ধরনের সামগ্রী সংগ্রহ করা হচ্ছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ ও গানি ব্যাগ।
সচিব আশ্বস্ত করে বলেন, “নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলাম, সেই সময়ের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব। নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ে সব নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে।”
ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে থাকবে- ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিল, কালি ও ভোট গ্রহণের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ।
সচিব বলেন, “সময়মতো সামগ্রী পৌঁছানো গেলে নির্বাচন পরিচালনায় কোনো ধরনের বাধা তৈরি হবে না। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/এএএম/এস